শেরেবাংলা নগরের আমেনা আরো একটি বারের জন্য কাঁদতে চান। মানুষ বলে কাঁদলে কষ্ট কমে। আমেনার বড় ইচ্ছা কান্নার মাঝে তার গাল বেয়ে আবার দু’ফোঁটা গরম অশ্রু গড়িয়ে পড়বে। তাতে হয়তো তার কষ্টটা একটু হালকা হত! কিন্তু আমেনার এই আকুতি আর পূর্ণ হবে না কোনদিন। তার কান্না আর অশ্রু হবে না, নীরবই থেকে যাবে। কারণ, বুলেট দিয়ে তার চোখের আলো কেড়ে নেয়া হয়েছে চিরদিনের জন্য।
সিলেটের কিশোরী শর্মী দেব এবার আর বন্ধুদের সাথে মজা করে ছবি তুলতে পারবে না এসএসসি’র রেজাল্টের পর। রেজাল্ট পাবে কোথায়? সে তো পরীক্ষাই দিতে পারছে না। উল্টো চোখ হারানোর ভয়ে দিনরাত কাটছে তার। একটা বুলেটেই তার সব স্বপ্ন ধূসর হতে চলেছে।
টাঙ্গাইলের ছেলে শহীদুল, ময়মনসিংহের শরীফুল আর মেহেদী, কেরানীগঞ্জের শাকিল ও পিয়াল- এদের কারো বিরুদ্ধেই তেমন কোন অভিযোগ নেই। কিন্তু তাদের কেউ হাত-পা হারিয়েছেন। কেউ হারানোর শংকায় আছেন। কাউকে ধরে গুলি করা হয়েছে, কেউ রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার ঠিকানা এখন পঙ্গু হাসপাতাল। বুলেটবিদ্ধ এই নিরীহ মানুষগুলো রাতদিন নীরবে কাঁদছেন। দুঃখ আর কষ্টের কথাগুলো বলে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ারও সাহস নেই তাদের। কারণ, অভিযুক্তরা প্রায় সবাই মহাক্ষমতাধারী আইনশৃংখলা বাহিনীর মানুষ। তারা পুলিশ অথবা র্যাবের এক শ্রেণীর দাপুটে সদস্য। তাদের কেউ কেউ সরকারের কাছ থেকে বাহবা কুড়াতে অতি উৎসাহী হয়ে এসব কাজ করেছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এমন গুলিবিদ্ধ এবং অন্যান্যভাবে আহত হয়ে পঙ্গু হওয়া মানুষের সংখ্যা ২শ’ ৬৯ জন। রাজনৈতিক সহিংসতা দমনের নামে পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পঙ্গু হওয়াদের মধ্যে আছেন ব্যবসায়ী, ছাত্র, মুদি দোকানদার থেকে শুরু করে একেবারে সাধারণ পথচারী পর্যন্ত। তাদের কেউ পুলিশের পূর্ব আক্রোশের শিকার, কেউ রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার। ঘটনাগুলোর সাথে র্যাব-পুলিশের নাম জড়িত থাকায় ভয়ে ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াতে আসছে না কেউ। পঙ্গুদের কেউ পুলিশ প্রহরায়, কেউ কারাগারের কারারক্ষী ও পুলিশের যৌথ প্রহরায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। স্বজনরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। দুই একজন মুখ খুললেও নাম প্রকাশ করতে চান না। গতকাল এই প্রতিবেদককে পা হারানোর একজন ক্ষোভ আর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সাংবাদিকদেরকে বলছেন, ‘এসব বলে কি লাভ? আমার একটি হারিয়েছি পা-ও হারাবো। সাংবাদিকের লেখা কোন কাজে আসে না, বরং ক্ষতি হয়।’
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে এমন রোগীও রয়েছেন যাদের গত ২৫/২৬ দিনেও আদালতে হাজির করা হয়নি। কোন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কারারক্ষী বলেন, পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ আশংকাজনক কোন আসামীকে জেল কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে না। ফলে পুলিশের প্রহরায় তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আংশিক সুস্থ হলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন সিনিয়র নার্স জানান, গত ৫ জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত পুলিশ কেইস হিসেবে ২৮৫ জন পঙ্গুকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়নি এমন আর কয়েকশো রোগী (পঙ্গু) ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ময়মনসিংহের মেহেদী হাসান ফয়সাল (২৫) একজন মুদি দোকানদার। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দোকানের মালামাল কিনতে বের হলেই শহরের জামতলা এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে মারধর করে গভীর রাতে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার চোখ বেঁধে দৌড় দিতে বলা হয়। মেহেদী দৌড় দিতে অস্বীকার করলে পুলিশ তার পায়ে গুলি করে। পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি মেহেদীর বাবাকে টেলিফোন করে জানানো হয়, ‘আপনার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।’ একই অবস্থা ময়মনসিংহের শরীফুল ইসলামেরও। তিনি একজন বাস শ্রমিক। ১১ ফেব্রুয়ারি শহরের ইটখোলা এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আটক করে মুখ বেঁধে গভীর রাতে ময়মনসিংহের বিশ্বরোডের নির্জন এলাকায় নিয়ে দৌড়ে পালাতে বলে। সে দৌড়ে পালাতে না চাইলে পুলিশ খুব কাছ থেকে তার পায়ে গুলি করে গত বৃহস্পতিবার পঙ্গুতে ভর্তি করে। তার ছোট ভাই আরিফকে পুলিশ টেলিফোনে খবর জানায়। শরীফ পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার পঙ্গুত্বের কারণে পরিবারের সদস্যরা চোখে অন্ধকার দেখছেন। চিকিৎসার খরচও যোগানো সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাকিল ও পিয়াল পঙ্গুত্বের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। আবার পুলিশের ভয়ে মুখ খুলছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের এক অভিভাবক জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারেন শাকিল ও পিয়াল ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান টাঙ্গাইলের শহীদুল ইসলাম। তাকেও পুলিশ আটক করে পায়ে গুলি করে গুরুতর আহত করে। তার পরিবারের এক সদস্য কেঁদে কেঁদে বলেন, অবরোধের সময় পিকেটিং করার অভিযোগে শহীদুলকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের কাছে বহু কাকুতি-মিনতি করে অর্থের বিনিময়ে অবরোধের মামলায় গ্রেফতার না দেখিয়ে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অবরোধের মামলায় জামিন হয়না। ডাকাতির মামলায় জামিনের আশা আছে।
রাজধানীর দক্ষিণখানের আজমপুর এলাকায় ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ ফয়েজ আলী পায়ে গুলিবিদ্ধ। আশংকাজনক অবস্থায় হাজী ফয়েজ এখন পঙ্গু হাসপাতালের ইমারজেন্সী ওয়ার্ডে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১২ জানুয়ারি সকালে আজমপুরের তারই প্রতিবেশী নুরুল হাসানের বাড়ীর সামনে থেকে পুলিশ আকস্মিকভাবে তার জামার কলার চেপে ধরে বলে, ‘থানায় চল’। কারণ জানতে চাইলে পুলিশ প্রকাশ্যে তার কোমরের নিচে গুলি করেন। গুলিটি ফয়েজের পা ভেদ করে ওই সড়কের এক মাছ বিক্রেতার শরীরে আঘাত করে। ফয়েজ আলীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে জয়নাল পিস্তল উঁচিয়ে অন্য পুলিশ সদস্যকে নিয়ে দ্রুত এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। ফয়েজের স্ত্রী রেহানা ফয়েজ বলেন, আমার স্বামী ব্যবসা করে। সে আওয়ামী লীগের সমর্থক। কোন দিন মিছিল মিটিং-এ যায়নি। বাড়ির পাশে আরও একটি বাড়ি নির্মাণ করছেন তারা। এজন্য বাসা থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে বের হয়েছেন। ঘটনার পর তার সঙ্গে থাকা টাকা পাওয়া যায়নি। ফয়েজকে গুলি করে তার কাছ থেকে পুলিশ টাকা নিয়ে গিয়েছে। ফয়েজ আজমপুর আইয়ুক মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী। এসআই জয়নাল তার কাছে কিছুদিন ধরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডার বানিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছিল এসআই জয়নাল।
তবে দক্ষিণবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম অর রশিদ তালুকদার ইনকিলাবকে জানান, ফয়েজসহ বিএনপি-জামায়াতের লোকজন অবরোধের পক্ষে মিছিল করছিল। পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। মিছিল থেকে ফয়েজকে আটক করতে গেলে পুলিশের সাথে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হাতাহাতি হয়। ঐ সময় এসআই জয়নালের কোমর থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। পিস্তল নিয়ে টানা হেঁচড়াকালে ফয়েজ গুলিবিদ্ধ হয়।
১২ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় পুলিশ গুলি করেছে আতাউর রহমান (২৭) নামে এক যুবককে। পুলিশ দাবি করছে, বিআরটিসি’র একটি বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের চেষ্টার সময় গুলিতে সে আহত হয়েছে। হাসপাতালে আহত আতাউর ও তার পরিবার জানায়, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তার ডান পায়ের হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছে। আতাউরের বাবার নাম জসিম উদ্দিন। নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। তিনি অ্যামব্রয়ডারির ব্যবসা করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি কাওছার (৩০) নামে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরেন। তিনি টেম্পোযোগে তার বাসাবোর বাসায় যাচ্ছিলেন। শাহজাহানপুর আমতলায় রাস্তার ওপর লোকজনের জটলা দেখে টেম্পুর অন্য যাত্রীদের সাথে তিনিও নামেন।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করলে লোকজন দৌড় দেয়। এ সময় পুলিশ কাওসারকে ধরেই তার পায়ে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপকারী উল্লেখ করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে পুলিশ। আহত কাউসার জানান, তিনি মাদারটেক চৌরাস্তায় কাঁচামালের ব্যবসা করে সংসার চালান। কোনো রাজনীতিও করেন না।
সাতক্ষীরার দিনমজুর ফারুকের এক পা কেটে ফেলা হয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ফারুক। গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতাল বেডে শুয়ে শুয়ে কাঁদছিলেন ফারুক। তার সাথে কথা বলতে গেলে পুলিশ এ প্রতিবেদককে বাধা দেয়।
গত ২১ জানুয়ারি গভীর রাতে পুলিশ লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের প্রবাসী মহীনউদ্দিনকে আটক করে তার কাছে চাঁদা দাবী করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় খুব কাছ থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তার পায়ে গুলি করে পুলিশ। এরপরও পুলিশ ক্ষান্ত হয়নি, কয়েকটি মামলার আসামী করা হয়েছে। মহীনউদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, আমার স্বামীকে কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ আটক করেছে।
এছাড়া সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কাজির হাটে পুলিশের গুলিতে আহত আবদুল মজিদ, চুয়াডাঙ্গার মতিউর রহমান, বাগেরহাটের নয়ন, ঢাকার মোহাম্মদপুরের রাসেল সোহরাব, বি.বাড়ীয়ার আনিসুর রহমান, গাজীপুরের ফুল মামা, নাদির, নোমান, চাঁদপুরের আবদুল বাকের, গোপালগঞ্জের রুবেল, ময়মনসিংহের নাফি আহম্মদ, মানিকগঞ্জের খোরশেদ আলম, শরিয়তপুরের মনির হোসেন কুমিল্লার মাসুম, স্বপন, নোয়াখালীর এরশাদ উল্ল্যা লেলিন, জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকার কদমতলীর হামিদ, রাজ্জাক, মাসুম, নাজমুলসহ অন্যরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার জানান, অবরোধ সহিংসতায় রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসা সেবায় তেমন সমস্যা হচ্ছে না। অপরদিকে হাসপাতালের অন্য এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অতিরিক্ত রোগীর চাপে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামীদের কারণে কারারক্ষী ও পুলিশের উপস্থিতিতে চিকিৎসায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৫ পুলিশ সদস্যকে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করেছেন গুলি করে মানুষদের আহত করার জন্য। গুলিবিদ্ধদের পরিচয় তুলে ধরা হচ্ছে হামলাকারী, নাশকতাকারী, পরিকল্পনাকারী ও জড়িত সন্দেহকারী হিসেবে। তবে গুলিবিদ্ধরা বলছেন, তারা নিরপরাধ। তারা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নন। এ অভিযোগের বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়ে বলছেন, গ্রেফতার বাণিজ্য ও গুলি ছোঁড়ার অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ এসব বিষয় খোঁজ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ইনকিলাবকে বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটকের পর গুলি করে পঙ্গু করা কিংবা গুলি করে মেরে ফেলার মতো ঘটনা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তিনি বলেন, এটা শুধু মানবাধিকার লংঘনই নয়, আইনের বিধান অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধও বটে। যোগাযোগ করা হলে মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, পুলিশের গুলিতে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, তাঁদের অনেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দিনমজুর, লেগুনাচালক, ছাত্র ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদের ক্ষতচিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে, পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। এটা মানবাধিকারের চরম লংঘন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন