০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন খান মিঠুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার জ্যামাইকার বাসা থেকে। তবে তিনি কবে মারা গিয়েছেন তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তার বাসা থেকে নিউইয়র্ক পুলিশ গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দরজা ভেঙ্গে মৃত দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জসিম উদ্দিন খান মিঠুর লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা করে জানানো হবে কবে এবং কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৮ বছর। যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের সভাপতি ও জসিম উদ্দিন খান মিঠুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাজী আজিজুল হক খোকন এনাকে জানান, জসিম উদ্দিন খান মিঠু গত ১ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি সংবাদ সম্মেলনকে সফল করার জন্য ৩১ জানুয়ারি রাতে কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি অনুষ্ঠানের দিন আসতে পারনেনি। আমি তাকে তার সেলফোনে কল করি। ঐ সময় তিনি আমাকে জানান যে, তার প্রেসার বেড়েছে। তিনি প্রেসারের ওষুধ নিয়ে বাসায় যাচ্ছেন। এরপর দুই দিন আমি তাকে তার সেল ফোনে কল করতে থাকি। কিন্তু তার ফোনের কোন উত্তর পাচ্ছিলাম না। ফোনটি বন্ধ ছিলো বলে আমার কাছে মনে হচ্ছিলো। আমি ভেবেছিলাম, হয়ত বিল দেয়নি যে কারণে ফোন বন্ধ রয়েছে। এরপর আমি তার প্রিয় রেস্টুরেন্ট জ্যামাইকার স্টার কাবাবে যাই। যেখানে তিনি নিয়মিত সন্ধ্যায় থাকতেন। সেখানে গিয়েও তার হদিস পাইনি। কোন উপায় না দেখে তার একই বাসার উপরে থাকা জাফর সাহেবকে ফোন করি। জাফর সাহেব আমাকে জানালেন, তিনি মিঠুর কোন খবর জানেন না। কারণ তিনি রাতে কাজ করেন এবং দিনে ঘুমান। পরদিন তিনি কখন কাজে যাবেন জানতে চাইলে জানান, বিকাল তিনটায়। এরই মধ্যে যুবরাষ্ট্র যুব লীগের নেতা কলিন্স মিঠুর ১৭৭-৪০, ১০৫ এভিনিউর বাসায় যান। বাসায় গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ, কোন সাড়া শব্দ নেই। তিনি বেশ কয়েকবার দরজায় কড়া নাড়েন এবং চিৎকার করে ডাকতে থাকেন। কোন সাড়া না পেয়ে তিনি পুলিশ কল করেন। পুলিশ এসে দেখতে পান যে মিঠুর নিথর দেহ তার বিছানায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ পরে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ( ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা) তার লাশ মর্গে রয়েছে।
এ দিকে মিঠুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ পরিবারসহ পুরো কম্যুনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ কম্যুনিটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মিঠুর বাসায় ছুটে যান। কাজী আজিজুল হক জানান, তার লাশ দেখে মনে হয়েছে ২/৩ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বাসায় একা থাকার কারণে কেউই তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেননি। তিনি আরো বলেন, মিঠুর মৃত্যুর খবর তার পরিবারকে দেয়া হয়েছে। দেশে তার বাবা, মা এবং ভাই বোন রয়েছে। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায়। লাশ পাওয়ার পরই নামাজে জানাজা কোথায় হবে তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জানাজার সময় এবং স্থান ঠিক না হলে মিঠুর লাশ তার দেশের বাড়িতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন কাজী খোকন।
উৎসঃ ঢাকার নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন