০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: ‘তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের’ নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে আখ্যায়িত করেছে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশেন। একই সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার বিষয়ে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে জুডিশিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে আইনজীবীদের এই শীর্ষ সংগঠন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় এসব সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আইনজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হরতাল চলাকালে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকাসহ সাত দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানোর প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয় এতে।
সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে গতকাল এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বারের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট এম খালেদ আহমেদ। সভায় সিদ্ধান্তগুলো উপস্থাপন করেন বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এর আগে এসব সিদ্ধান্তের পক্ষে আইনজীবীরা বক্তব্য দেন।
গৃহীত প্রস্তাবে আরো বলা হয়, সারা দেশে বাসে আগুন, পেট্রলবোমা ইত্যাদির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। এই সভা এসব বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। একই সাথে ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দায়ী করছে। সভা প্রতিনিয়ত তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ডকে এই সভা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যায়িত করে। তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার বিষয়ে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি জুডিশিয়াল তদন্ত কমিটি গঠন করে সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছে।
প্রস্তাবে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশে আইনজীবীদের নামে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলীসহ অসংখ্য আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সভা আটক সব আইনজীবীর মুক্তি দাবি করছে।
সভা অবিলম্বে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি জানাচ্ছে। সভা প্রধান বিচারপতির অনুরোধে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীদের স্বার্থে সব বিজ্ঞ সদস্যকে সদস্যপদের আইডি কার্ড পরিধান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একই সাথে অ্যাডভোকেট কার্কদের সমিতির নির্ধারিত পোশাক ও আইডি কার্ড পরিধান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
উৎসঃ ঢাকার নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন