প্রধানমন্ত্রী আজ কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বক্তব্য দিয়েছেন। কেঁদেছেন আগুনে দ্বগ্ধ/নিহতদের জন্য। বক্তব্যে তিনি অগ্নিদ্বগ্ধদের সান্তনা দিলেন। বিরোধী দলকে অগ্নিদ্বগ্ধের দায়ে দুষলেন! বিরোধীদলের জন্য আল্লাহর গজব/বদদোয়া কামনা করলেন এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা করার তাই করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন। কিন্তু কেন তার দলের নেতা-কর্মীরা পেট্রোলবোমা বানায় ও ফাটায় এবং প্রশাসনের কাছে গ্রেফতার হয় তার মর্মার্থ ব্যক্ত করলেন না। তিনিই বা কেন চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করলেন তাও বললেন না। কি করে বলবেন? স্বৈরশাসকরা তো এমনই হয়- "যতদোষ নন্দঘোষ"। ক্ষমতাই যেখানে সবকিছু। ক্ষমতার কাছে বোধ-বিবেক সব বিকিয়ে দেয়া।
তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধীমতের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন। কথিত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনা সব দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেবার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অথবা শুধুমাত্র বাকশালের প্রেতাত্নার হিংস্র ভয়াবহতাকে ছড়িয়ে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করার বাসনায় কথিত ক্রসফায়ার নাটক মঞ্চস্থ করছেন। যেখানে আইন-আদালত আছে সেখানে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পূর্বেই যাদের কথিত বন্দুকযুদ্ধ নাটকে হত্যা করা হয়েছে, বাসা-বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে হাতে পায়ে বুকে গুলি করে জনমের তরে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে, তাদেরকে/তাদের পরিবারকে কে সান্তনা দেবে? কে তাদের জন্য কাঁদবে?
যারা পাখির মত মানুষ হত্যা করে, হত্যার হুকুম দেয়, তাদের উপর কি আল্লাহর গজব পড়বেনা? নিশ্চয় আল্লাহই ভাল জানেন কার উপর আল্লাহর গজব নেমে আসবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন