ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সরকারের ক্লিনিকেল মৃত্যু হয়ে গেছে ! - মিনার রশিদ

বর্তমান সরকার যে ক্লিনিকেলি ডেড অথবা ব্রেইন ডেড অবস্থায় পৌছে গেছে তার অনেকগুলি নমুনা স্পষ্ট হয়ে পড়েছে। মেডিকেল পরিভাষায় ক্লিনিকেল ডেথ আর ব্রেইন ডেথে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। সরকারের সেটিও সম্পন্ন হয়ে গেছে।
আমরা জানি যে Brain death is a complete and irreversible loss of brain function. এই অবস্থায় কৃত্রিম যন্ত্রের সাহায্যে হৃদপিন্ড ও ফুসফুসকে চালু রাখা হয়। কেউ এই অবস্থায় পৌছে গেলে আর জীবন ফিরে পায় না।
একজন মানুষের মত একটি সরকারেরও মগজ ,হৃদপিন্ড ও ফুসফুস থাকে। ঘেন্না-পিত্তি -লজ্জা -শরম প্রভৃতি অনুভূতিগুলি কাজ না করলে বোঝা যাবে সরকারের ক্লিনিকেল মৃত্যু অথবা ব্রেইন ডেথ হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার এই সিম্পটম স্পষ্ট করেছে।
টকশোতে যারা সরকারের বিরোধিতা করেন তাদেরকে আওয়ামীলীগের টপ টু বটম টকমারানী হিসাবে গণ্য করেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানে দুদিন আগেও টক শো ওয়ালাদের শাসালেন সেখানে ইনু বলেন, মিডিয়া এখন সকল সময়ের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করছে। অথচ দেশের মানুষ দেখেছে কীভাবে এই ইনুরা দেশের ভিন্ন মতালম্বী মিডিয়াকে সরাসরি গলা কেটে হত্যা করেছে। বাকিদের অন্ডকোষ কেটে খাসি,বলদ ও খোজা বানিয়ে রেখেছে। তারপরেও কি বলবেন এই ইনুদের লজ্জা বলে কিছু অবশিষ্ট আছে?

আসল কথা হলো এই ইনুরা সত্তর সালে আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি করতে পারে নি এবার তা করতে পেরেছে। মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানো বা ষোলই আগষ্টে ট্যাংকের উপরে নাচার চেয়েও বড় মজা এবার করতে পেরেছে। কী আনন্দ আজ ইনু-মেননদের আকাশে বাতাসে ! আওয়ামীলীগ নামক দলটিকেও তাদের মত লেজকাটা দল বানিয়ে ফেলেছে।
প্রশাসন নামক কৃত্রিম যন্ত্রের সাহায্যে হৃদপিন্ড ও ফুসফুসকে চালু রাখা হয়েছে। বর্ডার খালি করে দেশের ভেতরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যাপারটা হয়েছে এক বিদেশিনীর গ্রামের চাচা শ্বশুরকে সম্মান দেখানোর মত। গ্রামের পোলা বিদেশিনী বউ নিয়ে গ্রামে এসেছে। আসার আগে বউকে স্থানীয় আদব কায়দা জানিয়ে দিয়েছে। মুরব্বী দেখলে নববধূর মাথায় ঘোমটা টানার কথাও বলেছে। থিওরিটিকেল সেই জ্ঞানের প্র্যাকটিকেল শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের এক চাচাকে দেখিয়ে বলে, ইনি তোমার চাচা শ্বশুর। সাথে সাথেই স্কার্টের কাপড় উল্টিয়ে নববধূ মাথায় ঘোমটা টেনে দেয়। মাথাটি ঢাকলেও অন্য দিক যে উন্মুক্ত হয়ে গেলো সেদিকে খেয়াল নেই । 
ব্রেইন ডেড সরকারও তাই করছে। 
সরকার এক দিক ঢাকতে আরো স্পর্শকাতর দিক উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখন স্পর্শকাতর বর্ডারের নিরাপত্তা সম্পূর্ণ পিসি মশাইয়ের মর্জির উপর নির্ভর করছে। গ্রামের মানুষ ক্ষুধার্ত চোখে স্ত্রীর চৌদ্দ আনা খোলা নিম্নাঙ্গের দিকে দৃষ্টি হানছে। হতবিহ্বল সেই স্বামীর মত দেশবাসীও এখন কপাল চাপড়াচ্ছে।

পুলিশ লীগের কয়েকজন নেতা সরকারের পক্ষ হয়ে রাজনৈতিক নেতার মত বক্তৃতা দিচ্ছে । পলিটিকেল থাগের মত বিভিন্ন বাহিনী প্রধান গণ জনগণকে সরাসরি গুলির হুমকি দিচ্ছেন । প্রধান মন্ত্রী মানুষ হত্যার দায় প্রকাশ্যে নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিয়েছেন । এই সব কাজের পরেও সরকারের কেউ সামান্য লজ্জা বা অনুশোচনা অনুভব করছে না।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির ক্লিনিকেল মৃত্যু সম্পন্ন হয়েছিল। ১৬ই ডিসেম্বরে শুধু ভেন্টিলেটরটি খোলা হয়েছিল।
অনেকটা একই ভাবে গত ৫ই জানুয়ারীর পর থেকে আওয়ামী সরকারের ক্লিনিকেল মৃত্যু সম্পন্ন হয়ে গেছে। কাজেই অান্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকল উদ্বেগ উৎকন্ঠাকে তোফায়েলদের কাছে ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। তোফায়েলের কথামত জাতিসংঘ ষড়যন্ত্র করছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ষড়যন্ত্র করছে। জয়ের কথামত সংলাপের কথা বলে দেশের সকল সুশীল সমাজ পাগল হয়ে গেছে, জাতিসংঘ পাগল হয়ে গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাগল হয়ে গেছে। কারন সবাই সংলাপের কথা বলছে। এখন দেশের মধ্যে শতভাগ অ-পাগল আছে শুধু জয় আর ওর মা।

মগজের কোষগুলি মরে গেলে যেমন তা আর পুনরায় জীবিত হয় না, এই ব্রেইন ডেড সরকারেরও আর রিভাইভ করার কোন সম্ভাবনা নেই।
ব্রেইন ডেডের অন্য অর্থ হলো এক্সট্রিমলি স্টুপিড। সরকার বেগম খালেদা জিয়ার খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এক জাসদ নেত্রী বোমা মেরে বেগম জিয়ার অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন । ব্রেইন ডেড বা চরম স্টুপিড একটি সরকারই এমন জঘন্য ও নোংরা কাজ করতে পারে। বর্তমান পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সরকারগুলি জেলখানার বন্দিদের ও খাবার বন্ধ করে না।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় একমাত্র ইয়াজিদের বাহিনী ফোরাতের তীরে ইমাম হোসেইনের সঙ্গী সাথীদের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমান হাসিনা সরকার তার দ্বিতীয় নমুনাটি স্থাপন করেছে।
কাজেই এই সরকার এখন irreversible stage এ পৌছে গেছে। এখান থেকে ফেরা আর সম্ভব নয়। প্রশাসনের যে সব অতি উৎসাহীরা কৃত্রিম ভেন্টিলেটরটি ধরে রেখেছে তারাও অতি সত্ত্বর জনরোষের সম্মুখীন হবে। মাঠের উত্তাপ অনুভব করে ধান্ধাবাজ পলিটিশিয়ানরা থেমে গেছে। বগার মত প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা গলা এগিয়ে দিয়েছে। এদের অনেকেই অান্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। এদেরকে অভিযুক্ত করতে সুখরঞ্জন বালির মত জোর খাটিয়ে সাক্ষী জোগাড় করতে হবে না। শত শত ভিডিও ফুটেজ এদের কুকর্মের প্রমান ধরে রেখেছে। ডিজিটাল এই জমানায় নিজেদেরকে আড়াল করে রাখতে পারবে না। 
দেশবাসী সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন অপেক্ষায় আছে, কখন এই ভেন্টিলেটরটি খোলা হবে ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন