ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ঘোষণা দিয়েও মেঘের দায়িত্ব নেননি প্রধানমন্ত্রী

নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘের সব দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি মেঘের দায়িত্ব নেবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দায়িত্ব নেননি। আপনি হত্যাকাণ্ডের বিচার না করলে আমরা মনে করবো আপনিও আমাদের সঙ্গে তামাশা করেছেন।’
সাগর-রুনির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন।
শাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘সাগরের মা বলেছে- তাকে ভুলে যাও। ভাই বলেছে- বিচার আল্লাহর কাছে। সাগর-রুনীর বিচারের দাবি একটি গরম দাবি। যারা এ দাবির সঙ্গে তামাশা করেছে তারা আল্লার বিচার পেয়ে গেছে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও মহীউদ্দীন খান আলমগীর পরবর্তীতে আর মন্ত্রিসভায় যেতে পারেননি। দেশের ইতিহাসে মাত্র একজন সাংবাদিক হত্যার বিচার ছাড়া আর কারো বিচার হয়নি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
সমাবেশে বিএফইউজের সভাপতি মঞ্জুর আহসান বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিক হত্যা, নির্যাতন হলে বিচার হয় না। আমরা পেশাদারিত্ব সাংগাঠনিক দিকে থেকে সফল না। আমরা আমাদের পেশাকে রাজনৈতিক অন্দরমহলে ঢুকিয়ে ফেলেছি। হত্যাকাণ্ডে বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একটা সঙ্কটে আছি। আমরা আসলে পারলাম না। অনশন হয়েছে, মিছিল হয়েছে, বিক্ষোভ হয়েছে। ২৪, ৪৮, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম অতিক্রম হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। পুলিশ বার বার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে সাগর-রুনীর হত্যাকারীদেরও বিচার হবে।’
ডিইউজের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের নখ ও দন্ত নেই। আমাদের সহকর্মীর বিচার হয়নি। এজন্য এক মিনিটের জন্য কলম বন্ধ রাখতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।’
বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হয় এটা চরম হতাশাজনক। সারগর-রুনীর হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকারের ভূমিকা রহস্যজনক।’
এদিকে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে যদি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ১১ মার্চ প্রতিবাদ সভা করা হবে। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, জাতীয় প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচি থেকে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহ।
সমাবেশে বাদশা বলেন, ‘আজকে রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে আমার বিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন করছি। এ জন্য আন্দোলনের সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে সাগর-রুনীর হত্যার বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। আজ তিনটি বছর অতিবাহিত হলেও খুনিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা খুনিদের দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে হতাশার কারণে সাগরের মা তার সন্তান ও বউকে ভুলে যেতে বসেছেন।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন