ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে--ডা. শফিকুর রহমান

গত ২৩ জুলাই মগুরায় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় গোলাগুলীতে অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা নাজমা বেগম তার পেটের সন্তান গুলীবিদ্ধ হয়ে সন্তান প্রসবের পর সন্তান এবং মহিলা উভয়ই আশংকাজনক অবস্থায় থাকা এবং অপর একজন নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছেন 
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৫ জুলাই তারিখে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তার সোনার ছেলেদের উদ্দেশ্যে অনেক উপদেশ দিয়ে বক্তব্য রাখলেন। বিরোধীদলকে জঙ্গি আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন। অথচ তার কয়েকদিন পূর্বেই ২৩ জুলাই মাগুরায় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে মা তার গর্ভে থাকা এক শিশু গুলীবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে দেশে কারা সন্ত্রাস করছে?
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় গুরুত্বপূর্ণ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ বিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলোর ওপর হামলা-মামলা দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি তো আছেই। আধিপত্য বিস্তারের জন্য নিজেদের মধ্যেই গোলাগুলী করে নিহত আহত হচ্ছে। অথচ পুলিশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বন্ধ এবং তাদেরকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা বরং তাদেরকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সহায়তা করছে। একটি শিশু জন্মগ্রহণের পূর্ব মুহূর্তে গুলীবিদ্ধ হয়ে সাক্ষী হয়ে থাকলো বাংলাদেশে কারা সন্ত্রাস করছে? শিশু শিশুর মায়ের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান।
তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা না হলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তাই তিনি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান

উদ্যোগহীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই উদ্যোগ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে
সোমবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষামন্ত্রী।

বর্তমানে অনুমোদিত ৮৩টি বেসরকারি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরতে বেঁধে দেওয়া চতুর্থ দফার সময় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি সচিবালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন অনিয়ম, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা এবং অনিষ্পন্ন বিষয় পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী বলেছিলেন, স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসের তথ্য তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাসে গিয়েছে। ৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক এবং ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে অবকাঠামো তৈরি করছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্ল্যান পাস করেছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জমি কিনেছে। নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে যারা একেবারেই উদ্যোগ নিচ্ছে না, নিশ্চয়ই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো- বলেন মন্ত্রী। ব্যবস্থা নিতে গেলেও মামলার কারণে তা আর এগোয় না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মামলা করে আদালতের অনুমতি নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মামলায় রায় পেলেই এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৯৭৩ সালের ইউজিসি কাঠামো নিয়ে ২০১৫ সালে এসে কাজ করা যায় না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউজিসিকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। ইউজিসিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়াও শেষের দিকে বলে জানান মন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ৬৩ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে বলে বৈঠকে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল
মান্নান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা, পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে জানিয়ে এগুলোর পড়াশোনার মান কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে ইউজিসি বৈঠক করবে। ওই বৈঠকে নিজস্ব ক্যাম্পাসে না যাওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।....... খবরঃ বাংলা নিউজ২৪

উল্লেখ্য,স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়া প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার অদূরে সীতাকুন্ডের কুমিরায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ৪০একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন আই আই ইউ সি ক্যাম্পাস। এছাড়া এ ক্যাম্পাসের উন্নয়নের কাজ চলমান আছে এবং  ভবিষ্যতে ১৫০ একর মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে। ৫টি আবাসিক হল,৪টি একাডেমিক বিল্ডিং,১টি প্রাশাসনিক ভবন,১টি মসজিদ ভবন, ১টি লাইব্রেরী ভবন, ১টি  অডিটোরিয়াম ও শিক্ষক আবাসিক এলাকা সহ খেলার মাঠ, বাস্কেট গ্রাউন্ড,ক্যাফেটেরিয়া,ম্যাডিকেল সেন্টার ইত্যাদি স্থাপনা নিয়ে সুসজ্জিত বর্তমান ক্যাম্পাস।  ইতিমধ্যে আরো একটি নতুন ভবন ও ২টি হলের কাজ শেষ হওয়ার পথে। 

কারাগারে প্রত্যেকে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন বগুড়ায় দীর্ঘ এক মাসেও ৫ মহিলা জামায়াত কর্মীর জামিন হয়নি

বগুড়ায় ইফতার মাহফিল থেকে গ্রেফতারকৃত মহিলা জামায়াতের ৫ কর্মী দীর্ঘ এক মাসেও জামিন পাননি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এসব মহিলা শারীরিক নানান জটিল অসুখ নিয়ে কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে। 
গত ২৮ জুন দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিল থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মহিলা জামায়াতের ৫ কর্মীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল মজিদের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (৫২), আব্দুল গফুরের স্ত্রী নিলুফা ইয়াসমিন (৪০), সুলতান আলীর স্ত্রী জাকেয়া খাতুন (৪২), মৃত রায়হান আলীর স্ত্রী পিয়ারা ওরফে সুমাইয়া (৪৫) এবং আবু বকরের স্ত্রী ও সাবেক শিবির নেতা শহীদ আবু রুহানীর মা রেহেনা বেগম (৪৫)। পরদিন সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাকেয়া খাতুনের বাড়িতে তিনি ছাড়া অন্য কোন মহিলা না থাকায় ঈদের দিন বাড়িতে কোন রান্না হয়নি। তার স্বামী আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খেয়েছেন। এছাড়া অন্যদের বাড়িতেও ঈদের কোন আনন্দ ছিলো না।
গ্রেফতারকৃত রেহেনা বেগমের বড় ছেলে রফিকুল আলম জানান, ছোট ভাই আবু রুহানীর শহীদ হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে ঈদের দিনে কোন আনন্দ উৎসব হয় না। এবার মা কারাগারে থাকায় ঈদের দিন পরিবারে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। তিনি বলেন, মা ডায়াবেটিকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। সবসময় ওষুধ খেতে হয়। শারীরিক জটিলতা নিয়ে তিনি কারাগারে খুব কষ্টে আছেন।
জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানাগেছে, গ্রেফতারকৃত ৫ মহিলা জামায়াত কর্মীর জামিনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হলেও সরকারি আইন কর্মকর্তাদের তীব্র বিরোধিতার কারণে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেননি। মানবিক বিবেচনায় খুব শীঘ্রই এসব বৃদ্ধা মহিলাকে জামিনে মুক্তি দেয়া হবে বলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ আশা করছেন।

জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে : জামায়াত

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহালের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াত। দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান আজ এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 
তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে দেশবাসীর মত আমরাও উদ্বিগ্ন। 
তিনি বলেন,জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার এ ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার যে স্বপ্ন দেখছে জনগণ তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না।

বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ডে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি:-সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড জাতীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ জামায়াত


বাংলাদেশ বার্তা নিউজ ডেস্ক: ২৯ জুলাই ২০১৫; সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড জাতীয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ জামায়াত। সরকার বিরোধী দলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।

সরকার দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে ‘সরকার বিরোধীদলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার যে ষড়যন্ত্র করছে তা বন্ধ করার’ আহ্বান জানান তিনি। ডা. শফিকুর বলেন, ‘সরকার বিরোধীদলীয় দেশপ্রেমিক জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করার কৌশল হিসেবে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এতে দেশবাসীর মত আমরাও উদ্বিগ্ন। জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার এ ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ সরকার জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার যে স্বপ্ন দেখছে জনগণ তা কখনো বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জামায়াতে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি।

বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫

রাজীব আহসানকে রিমান্ডে নেয়াটা হাস্যকর ও প্রহসন ছাড়া কিছুই নয় : ছাত্রদল

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও সাধারন সম্পাদক মো.আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকে মিথ্যা মামলায় রিমান্ড দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন,মিথ্যা, বানোয়াট আর উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলায় দেশের জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের সভাপতিকে ৮ দিনের রিমান্ড দেয়ায় দেশের ছাত্র সমাজ স্তম্ভিত। তারা বলেন, যেখানে তাকে আটক করাটাই দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ, সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়াটা হাস্যকর ও প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।
নেত্বদ্বয় অবিলম্বে ছাত্রদল সভাপতির নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এদিকে আরেক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এবং যুগ্ম সম্পাদক কালাম মল্লিককে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেত্বদ্বয় অবিলম্বে তাদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করে সরকারের প্রতি অব্যাহত জুলুম নির্যাতন বন্ধের আহবান জানান।

জনগণ জামায়াতকে ক্ষমতায় দেখতে চায়: -সেলিম উদ্দিন। .


জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মো: সেলিম উদ্দিন। বুধবার সকালে রাজধানীর ভাটারায় জামায়াতের এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
.সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত দিনের উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি নির্বাচনে জামায়াতের অভাবনীয় সাফল্যই প্রমাণ করে যে এদেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়।
.তিনি বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের চেয়ে সামান্য কিছু ভোট বেশি পেয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সর্বমোট ভোট পেয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ + আর জামায়াত পেয়েছে ১কোটি ২০ + লাখ। শেষের দিকে কেন্দ্র দখল আর ব্যালট ছিনতাই না হলে জামায়াতের ভোট আরো বেশি হতো।
.তিনি আরো বলেন, জামায়াতের উপর সরকারের জুলুম-নির্যাতন যত বাড়বে জামায়াতের প্রতি জনগণের সমর্থন ও সহমর্মিতা ততই বাড়বে। ইসলামী আন্দোলনের দাওয়াত মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারলে সরকারের সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।

একজন সালাহউদ্দিন কাদের ও বিএনপির বিস্ময় এবং মৃত্যুদন্ডের ভবিষ্যত --শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ

শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ: বিএনপি হতাশ, বেদনাহত এবং বিস্মিত। কেন? উত্তর হলো তাদের একজন সর্বোচ্চ পরিষদ স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যকে হাসিনা ওয়াজেদের অবৈধ সরকারের ক্যারিশমায় বিচারিক হত্যার পর্ব চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই বিএনপি বিস্মিত। কিন্তু তারা ক্ষুব্ধ নয়। কেন নয়? তারা নিজেরাও তা জানে না। জানে কি? ভেবে দেখুন। বিএনপির এই অথর্ব ও অক্ষম অবস্থান ভবিষ্যতে যে আরো বিএনপির জায়ান্ট ও বাঘা নেতাদের মৃত্যুদন্ড দেয়ার পথকে প্রশস্ত করবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? সামনে কি বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতাকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার মত মামলা হাসিনা গংদের হাতে নেই? তখন আল্লাহ না করুন এমন কিছু একই ভাবে হলে নেতা কর্মীরা কি একইভাবে জবাব দেবেন? ভোরের সূর্য দেখেই কিন্তু দিনের হালচাল বোঝা যায়। বিএনপির ভেতরে মেধাহীন চাটুকারদের কারণে বিএনপির সমালোচনাকে বিএনপির প্রতি শত্রুতা হিসেবে ধরা হচ্ছে। যে কারণে জাতীয়তাবাদের পক্ষের লেখক সাংবাদিকরা রয়েছেন নিশ্চুপ। আর এতে বিএনপি ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে তার নিজের ভুলগুলো। যে ভুলগুলোর উপর জমা হচ্ছে প্রতিনিয়ত ভুলের পাহাড়। তারপরেও লির্লজ্জভাবেই আজকের লেখাটি লিখলাম।
মৃত্যুদন্ড পাওয়া বিএনপির নেতা একসময়ের মন্ত্রী, তাকে বাংলাদেশের অন্যতম তুখোড় পার্লামেন্টারিয়ান বলা হয়; সেই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পিতা ছিলেন অখন্ড পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পীকার এমনকি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিও। তার পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর নাম শোনেন নাই বা জানেন না এমন ব্যক্তি অন্তত রাজনীতির লোক নয়। চট্টগ্রামের উন্নয়নে ফজলুল কাদের চৌধুরীর অবদান যারা অস্বীকার করে তারা কোন মানুষের পর্যায়ের প্রাণী নয়। মরহুম শেখ মুজিবর রহমানের উন্নয়নে ও পরিবার চালানোয় তাঁর অবধান অনেকেই জানেন না।
সেই ফজলুল কাদের চৌধুরীর সন্তান যিনি আপন যোগ্যতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে মুসলমানদের জন্য গড়ে নিয়েছিলেন একটি নিজের একটি আসন, সেই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী আজ শুনলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিকৃস্টতম রায় ''মৃত্যুদন্ড বহাল'' আর বিস্মিত হয়ে বেদনায় আহত হয়ে হতাশা জানালো বিএনপি। কিন্তু বিএনপি কেন বিস্মিত হলো তা আমার বোধগম্য হলো না। একসময় নিজের নেতা কর্মীদের ধরে ধরে লাগাতার ক্রসফায়ারে হত্যা করা বিএনপি আজ হাসিনা গং কর্তৃক সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীদের মারার চূড়ান্ত আয়োজন করছে দেখে ক্ষুব্ধ না হওয়াই স্বাভাবিক বলে যদি কেউ কেউ মনে করে সেটি কি অস্বাভাবিক হবে ? নাকি রাজনীতিতে কেউ যাতে স্বমহিমায় গড়ে উঠতে না পারে হাসিনার মত তেমনি একই সামন্তরাল চিন্তাকে ধারণ শুরু করেছে বিএনপি নেতৃত্ব?
অনেকদিন লিখি না। ভেবেছিলাম দেশের অর্থনীতি ও হাসিনা গংদের দম্ভের উৎস নিয়ে লিখবো। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রতি তার দোল বিএনপির আচরণ দেখে আমি নিজেই বিস্মিত হয়ে গেলাম; কিন্তু আশ্চর্য হই নাই ; যেমন আশ্চর্য হয় নাই লাখ লাখ বিএনপির নেতা কর্মীরা। এই একটি আচরনই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কেন বিএনপির জন্য আন্দোলনে নেতারা দুরে সরে ছিল? সবাই কি নিজেকে বাচাতে দুরে ছিল? নাকি আসলেই ভেতরে ভিন্ন কিছু রয়েছে? বিএনপির নেতা কর্মী হলে আপনিই বুকে হাত রেখে বলুন বিএনপির জন্য আপনি কি নিজের জীবন বাজি রাখবেন?
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে একসময় বিএনপির জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতো যে নেতা কর্মীরা তারা আজ জীবন বাজী রাখতে চায় না কেন? বিএনপি নেতৃত্ব কি কখনো তা অনুধাবনের চেষ্টা করেছেন? নাকি নেতৃত্বের চারপাশে পরগাছা, দাগ খতিয়ান বিহীন প্রানীদের চাটুকারিতায় বিমুগ্ধ হয়ে খোয়াবে মশগুল হয়ে আছেন? একবারও কি নেতারা হিসেব করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমানের বিএনপি আর আজকের বিএনপির পার্থক্য কোথায়? কেন আপনারা জিয়ার কাজগুলোকে এগিয়ে নেয়া তো দুরের কথা ধরেও রাখতেই পারেন নি? কেন মেধাবী মানুষের পরিবর্তে চাটুকার আর মেধাহীন লোকজনে ভরে যাচ্ছে চারপাশ? হটিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের যাদের অবদানে গড়ে উঠেছিল জাতীয়তাবাদী প্ল্যাটফর্ম যারা ধরে রেখেছে এই পর্যন্ত জিয়ার আদর্শকে। তাহলে এরা করা যারা জিয়ার দলকে জিয়ার আদর্শ ও কর্মসূচির বাইরে নিয়ে যাচ্ছে?
বিএনপির ভবিষ্যত বিএনপিই নির্ধারণ করবে তাদের কর্মের ভেতর দিয়ে। প্রত্যেক ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ থেকে কারুর নিস্তার নেই। তা আল্লাহকে বাদ দিয়ে দিল্লিকে প্রভু মানলেও নিস্তার পাওয়া যাবে না।
সাকা চৌধুরীর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর অর্থায়নে ও পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী জাতির পিতা শেখ মুজিবর রহমান গড়ে উঠেছিলেন। মুসলিম লীগের নেতাদের মধ্যে রেষারেষির ফাঁকে শেখ মুজিব ফজলুল কাদের চৌধুরীর টাইম ভিড়ে যান সেদিন। শেখ মুজিবর রহমান সেদিন মুসলিম লীগই করতেন কংগ্রেস নয়। গোপালগঞ্জের বিখ্যাত নেতা পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং আজকে যেটি বাংলাদেশ ব্যাংক সেটির সেই আমলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ওয়াহিদুজ্জামান ঠান্ডা মিয়ার সাথে রাজনৈতিক ঠান্ডা লড়াইয়ে ঘি ঢালতেন শেখ মুজিবর রহমান। আর সেই ফাঁকে আনুকুল্য নিতেন ধনাঢ্য ফজলুল কাদের চৌধুরীর। রাজনীতি করার অম পরিবার চালানোর টাকা পয়সা এবং পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থানকালীন সময়ে ফজলুল যাদের চৌধুরীর বাসায়ই থাকতেন শেখ মুজিবর রহমান। এগুলো আজকেও যারা পুরনো রাজনীতিক বা সাংবাদিক জীবিত আছেন তাদের অজানা নয়। সেই ফজলুল কাদের চৌধুরীর অর্থানুকুল্যে যে মুজিব পরিবার বেড়ে উঠেছে সেই পরিবারের সরাসরি বেনিফিসিয়ারী সন্তান মিসেস হাসিনা ওয়াজেদ; তার হাতেই আজ ফজলুল কাদের চৌধুরীর সন্তান সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী সংহার হচ্ছেন আর বিএনপি তা হতাশ হয়ে দেখছে। আফসোস।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানে দেখেছেন। এর চাক্ষুস স্বাক্ষী বর্তমানে হাইকোর্টের বিচারপতি শামিম হাসনাইন, যিনি স্বাক্ষী দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু হাসিনার বানানো আদালত আর প্রসিকিউশনের কারণে তা ব্যর্থ হয়। এরপর হিয়ারসে (শোনা কথা) এভিডেন্সের উপর ভিত্তি করে ভারতের নীল নকশা মোতাবেক সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। 
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে এই হত্যা প্রক্রিয়া হলো বাংলাদেশকে মুসলিম জাতিসত্বার অস্তিত্বকে ধংস করে দেয়ার অংশ; এটি ওপেন সিক্রেট। কিন্তু বিএনপির এই প্রতিক্রিয়ায় প্রশ্ন জাগে বর্তমান বিএনপিও কি ভারতের এই নীল্ নকশা বাস্তবায়নকে মৌন সম্মতি দিয়েছে? যদি না দেয় তবে তার প্রকাশ কোথায়? সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী যদি অপরাধীই হবেন তবে বিএনপির সংবিধান মোতাবেক একজন সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীকে যেভাবে বহিস্কার করার কথা তা করা হয়নি কেন?

এর পাশাপাশি প্রশ্ন জাগে জেনারেল জিয়াউর রহমান যাদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে জাতীয়তাবাদ এগিয়ে নিয়েছিলেন সেই অবস্থান কি ভুল ছিল? জিয়াউর রহমান সেই মানুষগুলোকে (যেমন শাহ আজিজুর রহমান, আব্দুর রহমান বিশ্বাসসহ অনেকেই) নিয়ে যে দল গড়েছিলেন তা কি তাঁর ভুল পদক্ষেপ ছিল? যদি ভুল হয় তবে সেই ব্যাখ্যাও বর্তমান বিএনপিকে দিতে হবে। আর পরিস্কার করতে হবে বিএনপির বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান। যেনতেনভাবে বা ভারতের আনুকুল্য নিয়ে ক্ষমতায় গেলেই জেনারেল জিয়ার আদর্শ বা কর্মকে জিইয়ে রাখা যে যাবে না এটা হলপ করে যে কেউ বলে দিতে পারে। আর বাংলাদেশীদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা হাসিনা গংদের মতই সম্ভব হবে না।
বর্তমানের নেতা কর্মী ও আগামীর নেতা কর্মীরারা বিএনপিকে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশপ্রেমিক মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বশীল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও জেনারেল জিয়াউর রহমানের নিরলস পরিশ্রমের ফসল হিসেবে একইভাবে জনগনের সমর্থনে এগিয়ে নিয়ে যাবে কিনা তা আজ প্রশ্নবোধক হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইলিয়াস আলীর বিষয়ে বিএনপির অবস্থানের ব্যাখ্যা পরিস্কার হওয়া এবং বিএনপির দেয়া নিজ নেতা কর্মীদের ক্রসফায়ারগুলোর জবাবের মধ্যেই এর উত্তর নিহিত।
সেই গল্পটি সংক্ষিপ্ত করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ''একে একে নাৎসীরা সবাইকে মারলো আমি কোন প্রতিবাদ করি নাই। কিন্তু যখন তারা আমাকে মারতে আসলো তখন প্রতিবাদ করার আর কেউ নেই।'' বিএনপির নেতারা এটি অনুধাবন করলে তাদের লাভতো হবেই জাতিরও উপকার হবে অনেকখানি।

'প্রত্যেক ছাত্রের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে'


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন মহান আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর খেলাফতের দায়িত্ব দিয়ে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এজন্য তিনি যুগে যুগে প্রত্যেক জাতির নিকট নবী-রাসূল পাঠিয়েছিলেন যারা পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিতেন। একইভাবে মক্কার মরুর বুকে মানুষ যখন এক আল্লাহর দাসত্ব ভুলে অসংখ্য মূর্তি পূজা, জীবন্ত কন্যা সন্তান কবর দেয়া, একে অপরের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হন ঠিক তখনই মহান প্রভু মানবজাতিকে হেদায়াত দেয়ার জন্য সর্বশেষ নবী হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছিলেন। তিনি আরবের আইয়্যামে জাহেলিয়াতকে দূরীভূত করে এক শান্তির সমাজ কায়েম করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একই সাথে তাঁর পরে আর কোন নবী-রাসূল পাঠাবেন না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে স্রষ্টার দেয়া দায়িত্ব ভুলে অন্ধকার পথে পরিচালিত হলে তাকে সু-পথে আনার দায়িত্ব শেষ নবীর উম্মত হিসেবে আমাদের উপর অর্পন করেছেন। এ দায়িত্ব পালন না করার কারনে প্রত্যেক মুসলমানকে শেষ বিচার দিনে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেন। তাই দিকভ্রান্ত মুসলিমকে আল্লাহর দেয়া দায়িত্ব-কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিতে হবে আমাদেরকে। এর মাধ্যমেই আমরা পরকালের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব। এজন্য প্রতিটি শিবির নেতা কর্মীদের পরকালীন জবাবদিহিতার মানসিকতা নিয়ে সকল ছাত্রের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান। 
চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের ষান্মাসিক সদস্য বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২৮.০৭.’১৫) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর সভাপতি নুরুল আমিন’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সালাউদ্দিন মাহমুদ’র সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সহ-সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, সাবেক নগর সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী,মিজানুর রহমান, শিবির নেতা তৌহিদুল ইসলাম,কায়েস মাহমুদ প্রমুখ। বৈঠকে বিগত দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আর সুন্দর ব্যবহারের চাইতে বড় কোনো ভদ্রতা নেই


হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) বলেনঃ
আমি নিবেদন করলাম, ওগো আল্লাহ রসূল আমাকে উপদেশ দিন? তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি আল্লাহকে ভয় কর । কারণ এটাই তোমার সমস্ত কাজকে সৌন্দর্য দান করবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন?
তিনি বললেন : কুরআন পাঠ এবং আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর বিষয়ে আলোচনাকে নিজের কর্তব্য কাজ বানিয়ে নাও, এতে আকাশে তোমায় নিয়ে আলোচনা হবে আর এটা পৃথিবীতে তোমার পথের আলো হবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন?
তিনি বললেন : বেশী সময় নীরব থাকবে , কম কথা বলবে। এটা শয়তানকে তাড়াবার হাতিয়ার হবে এবং তোমার দীনের কাজের সহায়ক হবে।
আমি আরয করলাম , আমাকে আরো আদেশ দিন?
তিনি বললেন তিক্ত হলেও সত্য কথা বলবে।
আমি নিবেদন করলাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন?
তিনি বললেন : ইসলামী আন্দোলন ( জিহাদ ) করাকে নিজের কর্তব্য বানিয়ে নাও। কারণ এটাই মুসলমানদের বৈরাগ্য।
আমি বললাম , আমাকে আরো কিছু বলুন?
তিনি বললেন : দরিদ্র লোকদের ভালোবাসবে এবং তাদের সাথে উঠাবসা করবে।
আমি বললাম , আমাকে আরো উপদেশ দিন?
তিনি বললেন : তোমার নিজের মধ্যে যেসব দোষ ত্রুটি আছে , সেগুলোর দিকে তাকাও । অন্যের মধ্যে যে দোষ ত্রুটি আছে তা খুজে বেড়ানো এবং বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকো।
অতপর তিনি আমার বুকে হাত মেরে বললেন , আবু যর ! কর্মকৌশল ও কর্মপ্রচেষ্টার চাইতে বড় বুদ্ধিমত্তা আর নেই। হারাম ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার চেয়ে বড় বীরত্ব কিছু নেই। আর সুন্দর ব্যবহারের চাইতে বড় কোনো ভদ্রতা নেই।
[ ইবনে হিব্বান ]

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম: শিক্ষক-কম্যকর্তাদের ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ বার্তা নিউজ ডেস্ক: ২৭ জুলাই ২০১৫: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ফেকাল্টির ডীন ও ক্যম্পাস চীফ প্রফেসর ডঃ মোঃ দেলাওয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কুরআনিক সায়েন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ এর এসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ শফি উদ্দিন, স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স  ডিভিশনের এডিশনাল ডাইরেক্টর জনাব চৌধুরী গোলাম মাওলা। অন্যান্যের মধ্যে ইলেকট্রিকেল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের হেড প্রফেসর আবদুল মান্নান, কুরআনিক সায়েন্স ও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের হেড জনাব ডঃ মোঃ রশিদ জাহিদ, দাওয়াহ ও ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের হেড ও এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব মুহাম্মদ আবুল কালাম, ইটিই ডিপার্টমেন্টের এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও হেড ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুল গফুর, ল’ডিপার্টমেন্টের হেড জনাব মোঃ সাইদুল ইসলাম, প্রফেসর ডঃ শেখ সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর মোঃ ইউনুস, প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের সুপারিনটেন্টডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন, লাইব্রেরী ও ইনফরমেশন ডিভিশনের ডাইরেক্টর(ইনচার্জ) জনাব মুহাম্মদ নুরুল কবির খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। ঈদ পূনর্মিলনী ও মতবিনিময় সভার সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের এসোসিয়েট প্রফেসর জনাব মুহাম্মদ জুনায়েত কবির।
বক্তাগণ রমজান, কুরআন, তাকওয়া এবং সদ্য সমাপ্ত ঈদু ফিতরের নানা  শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন এবং সেই শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে ব্যক্তিগত জীবনের কর্মকান্ড ও অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার আহবান জানান। 

মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫

এপিজে আব্দুল কালামের শিক্ষণীয় ১৪টি উক্তি


সৃষ্টির নির্মম পরিহাস, জন্ম হলে মৃত্যু একদিন হবেই। মানুষ মরে যায়, পেছনে রেখে যায় তার ভাল ও খারাপ কর্ম। যা তাদের পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখেন। এমন কিছু মহৎ ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, যারা মৃত্যুর পরও পৃথিবীতে তাদের ভাল কর্মের জন্য চিরঞ্জীব। আব্দুল কালামের অসংখ্য ভাল কর্ম রয়েছেন।
এপিজে আব্দুল কালামের শিক্ষণীয় ১৪টি উক্তি
১. তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যা দেখ তা স্বপ্ন নয় বরং যা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না সেটাই স্বপ্ন।'
২. 'সূর্যের মতো দীপ্তিমান হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতোই পুড়তে হবে।'

৩. 'যদি তুমি তোমার কাজকে স্যালুট কর, দেখো তোমায় আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না। কিন্তু তুমি যদি তোমার কাজকে অসম্মান কর, অমর্যাদা কর, ফাঁকি দাও, তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।'
৪. 'যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।'
৫. 'ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এ সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।'
৬. 'জীবন একটি কঠিন খেলা। ব্যক্তি হিসেবে মৌলিক অধিকার ধরে রাখার মাধ্যমেই শুধুমাত্র তুমি সেখানে জয়ী হতে পারবে।'
৭. 'উৎকর্ষতা একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।'
৮. সকল মানুষের প্রতি বিশেষ করে তরুণদের প্রতি আমার বার্তা, তারা যেন ভিন্নভাবে চিন্তা করার সাহস করে, নতুন কিছু আবিষ্কার করার চিন্তা করে, অনাবিষ্কৃত পথ ভ্রমণ করে, অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা করে এবং সমস্যা সমাধান করে সফল হতে পারে।
৯. যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হয় এবং একটি সুন্দর মনের রাষ্ট্রে পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে আমি মনে করি এর জন্য সমাজের তিনজন সদস্য রয়েছে, যারা এই পরিবর্তন আনতে পারেন। তারা হলেন, মা, বাবা এবং শিক্ষক।
১০. নেতার সংজ্ঞা করা যাক। তার অবশ্যই লক্ষ্য ও চেষ্টা হতে হবে যেন সে কোন সমস্যা দেখে ভীত না হয়। এর পরিবর্তে সেই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়, তা জানতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, তাকে সততার সাথে কাজ করতে হবে।

১১. চলুন, আমরা আমাদের বর্তমানকে ত্যাগ করি, তাহলে আমাদের সন্তান ভাল একটি ভবিষ্যৎ পাবে।
১২. মানুষের জীবনে কষ্ট থাকার প্রয়োজন আছে, তাহলে তারা সফলতাকে ভালভাবে উপভোগ করতে পারবে।
১৩. আকাশের দিকে চেয়ে দেখ। আমরা একা নই। মহাবিশ্ব আমাদের বন্ধু, তারা সবসময় আমাদের সব কাজে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। আমাদের শুধু স্বপ্ন দেখতে হবে আর কাজ করতে হবে।
১৪. আল্লাহ্‌ শুধু তাদের সাহায্য করে, যারা কঠোর পরিশ্রম করেন। এই নীতিটি খুব স্পষ্ট......
সংগৃহীত

বেআইনীভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদে জামায়াতের নিন্দা


ভোটার তালিকা হালনাগাদের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অসংগতি এবং আইন লঙ্ঘন করে ১৫ থেকে ১৭ বছরের নাগরিকদের নিবন্ধন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ধারা ৭(১)(খ) অনুসারে ১৮ বছর বয়স হলেই কেউ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবার ১৫ থেকে ১৭ বছরের নাগরিকদের নিবন্ধন করছে কি উদ্দেশ্যে তা দেশবাসীর নিকট বোধগম্য নয়। নির্বাচন কমিশনও এর কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। ফলে জনগণের মনে সন্দেহ-সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কেন আইন লঙ্ঘন করে এবং অতীতের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে ১৫ থেকে ১৭ বছরের নাগরিকদের নাম নিবন্ধন করছে তা জাতির নিকট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সরকারের গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করারই অংশ বলে মনে করি।'
শফিকুর রহমান আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকারকে খুশি করার জন্য নতজানুনীতি গ্রহণ করা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয় দেশে গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকিও বটে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যে নির্বাচন হয়ে গেল তা নির্বাচনের নামে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্বল ও নতজানু নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, গত ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এ অবস্থায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কতটুকু যুক্তি সঙ্গত? রহস্যজনকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রচারণা তেমন একটি নেই।
একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না মনে করে তিনি বলেন, 'সঠিকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা না হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের জনগণের আর কোন আস্থাই থাকবে না।
তাই নির্বাচন কমিশনকে সরকারের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অসৎ পথ পরিহার করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় এর সকল দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।'

আবদুল কালামের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক


ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ শোক প্রকাশ করেন।
মকবুল আহমাদ বলেন, “ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। তার মৃত্যুতে উপমহাদেশের মানুষ একজন প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদকে হারাল।”