ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০১৫

সঙ্ঘবদ্ধ নারীদুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য চরমে


ফার্মগেট ফুটওভার ব্রিজ। সকাল থেকেই এখানে চোখে পড়বে রহস্যজনক কয়েক তরুণী। এদের অনেকের মুখ ঢাকা। কারো কারো পরনে বোরকা, আর কেউ কেউ হালফ্যাশনের মডার্ন তরুণী। দেখলে মনে হবে এরা ভদ্রঘরেরই কেউ হবেন। আসলে এরা নারীদুর্বৃত্ত। দিনভর এদের কাজ হচ্ছে মানুষের পকেট থেকে অর্থ-কড়ি হাতিয়ে নেয়া। কখনো ধরা পড়লে উল্টো অ্যাকশন। এদের সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের পুরুষ সদস্যরা তখন তেড়ে আসবে ইভটিজিং অথবা নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু ফার্মগেটেই নয়, গোটা রাজধানীজুড়েই ঈদকে সামনে রেখে নারীপ্রতারক ও দুর্বৃত্তরা এখন বেপরোয়া। পুলিশের চোখের সামনেই ঘটছে এসব প্রতারণার ঘটনা। কখনো পুলিশ নির্বিকার, আবার কোনো কোনো সময় খোদ প্রতারকদের পক্ষেই তাদের অবস্থান বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফার্মগেট এলাকায় কমপক্ষে দুই ডজন নারীপ্রতারক ও দুর্বৃত্ত রয়েছে। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারকারী পথচারীরাই এদের টার্গেট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুটওভার ব্রিজটি সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকে। অনেক সময় পথচারীদের ঠাসাঠাসি করে ব্রিজ পার হতে হয়। আর এই সুযোগটি নিচ্ছে নারীপ্রতারকরা। তারা পথচারীদের গা ঘেঁষে ব্রিজে ওঠার ভান করে হাতিয়ে নেয় পথচারীদের টাকাপয়সা ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান মালামাল। টাকাপয়সা নেয়ার সময় কেউ টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো ঝামেলা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবাদ করলে আরো বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়। তখন মারধর খাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এই সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের অন্য সদস্যরা তখন প্রতিবাদকারীকে হয়তো ইভটিজার, না হলে নারী নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত করে উল্টো নাজেহাল করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি এভাবে দুর্বৃত্তদের খপ্পরে পড়েন। তিনি বুঝতে পারছিলেন তার পকেট থেকে কেউ কিছু উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ তিনি হাতটি ধরে ফেলেন। এরপরই পাশ থেকে মেয়েটি বলে ওঠে হাতটি ছেড়ে দিন না হলে আরো বিপদে পড়বেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণ বলেন, বড় ধরনের কোনো বিপদের আশঙ্কায় তিনি বিষয়টি চেপে গেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের চোখের সামনে এসব ঘটনা ঘটছে। পুলিশ এই দুর্বৃত্তচক্রের সবাইকেই চেনে। কিন্তু তারা নির্বিকার। 
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় এভাবে আরো একটি শক্তিশালী চক্র রয়েছে। যারা মার্কেটে আসা ক্রেতাদের টাকাপয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে কৌশলে। এই চক্রের মূল আড্ডা হচ্ছে বলাকা সিনেমা হলের সামনে। এরা নিউমার্কেট, গাউছিয়াসহ এই এলাকার মার্কেটগুলোতে আসা মহিলা ক্রেতাদেরকে টার্গেট করে। সুযোগ বুঝে তাদের ব্যাগ খুলে নিয়ে যায় মোবাইল ফোন, টাকাপয়সা এবং মূল্যাবান মালামাল। সূত্র জানায়, যানবাহনের মধ্যেও সম্প্রতি এই দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে দেখা যায় সজিব নামে এক পথচারীকে ঘিরে কয়েক তরুণী। ওই তরুণীরা নিজেদের হকার বলে পরিচয় দেয়। তারা জানায়, সজিব এক নারী হকারের কাছ থেকে বাসের মধ্যে ব্রাশ কিনে টাকা না দিয়েই শাহবাগে নেমে যাচ্ছিলেন। অপর দিকে সজিব বলেন, টাকা পরিশোধ না করার মিথ্যে অভিযোগ এনে এক তরুণী প্রথমে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে। পরে শাহবাগে বাসটি থামার পর আরো কয়েক তরুণী বাসে উঠে তাকে বাস থেকে নামতে বাধ্য করে। এ সময় সজিবকে জেরা করতে আরো কয়েক তরুণ ছুটে আসে। তারাও নিজেদের হকার বলে পরিচয় দেয়। ভুক্তভোগীরা বলেন, দুর্বৃত্তচক্রের অনেকে হকারীর আড়ালে মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ঈদকে সামনে রেখে এভাবে রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনাল এবং মার্কেটগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠছে এই মহিলা দুর্বৃত্ত ও প্রতারকচক্র। 
এ দিকে এই চক্রের ব্যাপারে মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেলের ডিসি বলেছেন, ইদানীং মহিলাদের মধ্যে বেশ অপরাধপ্রবণতা দেখা দিয়েছে। এই চক্রের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের ওপর নজরদারি আছে। সমন্বিতভাবে এই অপরাধ দমনে তাদের প্রচেষ্টা রয়েছে। 
Courtesy Noya Digonta

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন