ණ☛ রাজতন্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সারা দেশ আজ শেখ পরিবারের পোস্টার নগরী। যেদিকেই চোখ যায়, পোস্টার আর পোস্টার। আমার জানা নেই, এদের কোন লজ্জা-শরম বলে কিছু আছে কিনা? হাসিনার ছেলে আমেরিকায় থাকে, অথচ দেশে তার কোন অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও সারা দেশ জুড়েই মুজিবকোর্ট পরিহিত তার পোস্টার দেখে আমি তাজ্জব। আমিও আমেরিকার বাসিন্দা।
ණ☛ আমার অবাক লাগে, একটি পরিবারে লাজ-লজ্জাহীন এতোগুলো মানুষের সমাহারে। এতোদিন বিদেশে থেকে অন্তত তার বোঝা উচিত ছিলো, এইসকল পোস্টার কতোটা কুরুচি এবং তৃতীয় শ্রেণির মানুষের পরিচয়। দলের প্রায় সকলেই উম্মাদ জানি, কিন্তু আমেরিকায় থাকার কারণে অন্তত উম্মাদদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারতো। অন্তত উম্মাদদেরকে শুধরাতে পারতো। ভদ্রলোকের জানা উচিত, ইরানের শাহ্-এর মতো শক্তিশালী রাজতান্ত্রিক পরিবার কেউই নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও অত্যাচারির শাস্তি ভোগ থেকে রক্ষা পায়নি শাহ্। সময়মতই জনগণ জবাব দিয়েছে। শেখ পরিবার যদি ভুলেও মনে করে এই দেশে শেখ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, হয়তো কিছুদিন সেটা চলবে কিন্তু দুঃসময় এলে তাদেরকে রক্ষা করবে কে? বিষয়টি এমন বিষাক্ত, বেঁচে থাকলে চাইলে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে রাজতন্ত্র ধরে রাখা ছাড়া এই পরিবারের জন্য অন্য কোন পন্তুা নেই।
ණ☛ কথায় কথায় মন্ত্রী যায়, মন্ত্রী আসে। লাগে না যোগ্যতা, লাগে না অভিজ্ঞতা। একমাত্র যোগ্যতা, কে কতো বেশি আওয়ামী লীগ। একমাত্র অভিজ্ঞতা, কে কতো বেশি মুজিবকোট লাগিয়ে ৩২ নম্বরের সামলে স্লোগান দিয়েছে। যাকে খুশি তাকেই মন্ত্রী বানায়। মন্ত্রীত্ব যেন শখের পুতুল খেলা। শপথ নেওয়ার পরেই চলতে থাকে ৩২ নম্বর থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত কয়েকদিন ধরে মুজিব পূঁজা। মুজিব পুঁজা যেন শেষ হয় না। এতো বেশি পুঁজা করলে কাজ করার সময় কখন। আর না করলে দলনেত্রী নাখোশ। সুতরাং মন্ত্রনালয়ের অবস্থা তো পোকা খাওয়া হবেই। প্রায় প্রতিটি মন্ত্রনালয়ে দুরাবস্থা নাকি নৈরাজ্য, কোনটা আগে বলবো?
ණ☛ আওয়ামী গডফাদারদের দৌরাত্বে মন্ত্রণালয়ের চেহারা এখন শিকাগোর কুখ্যাত গডফাদার আলকাপোনের আন্ডারগ্রাউন্ড অপরাধের স্বর্গরাজ্যের মতো। সর্বশেষ মন্ত্রী বদল এবং সংযোজনে একাধিক মন্ত্রীর আত্মপ্রকাশে আমরা শঙ্কিত। মন্ত্রীর বদলে এদের পরিচয়, চাটুকার। অনেকের মন্ত্রীত্বই হাসির খোরাক।
প্রবাসী লেখিকা ও অনলাইন একটিভিস্ট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন