ভোটার তালিকা হালনাগাদের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অসংগতি এবং আইন লঙ্ঘন করে ১৫ থেকে ১৭ বছরের নাগরিকদের নিবন্ধন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ধারা ৭(১)(খ) অনুসারে ১৮ বছর বয়স হলেই কেউ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এবার ১৫ থেকে ১৭ বছরের নাগরিকদের নিবন্ধন করছে কি উদ্দেশ্যে তা দেশবাসীর নিকট বোধগম্য নয়। নির্বাচন কমিশনও এর কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। ফলে জনগণের মনে সন্দেহ-সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতি বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন কেন আইন লঙ্ঘন করে এবং অতীতের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে ১৫ থেকে ১৭ বছরের নাগরিকদের নাম নিবন্ধন করছে তা জাতির নিকট মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সরকারের গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করারই অংশ বলে মনে করি।'
শফিকুর রহমান আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকারকে খুশি করার জন্য নতজানুনীতি গ্রহণ করা শুধু দুর্ভাগ্যজনকই নয় দেশে গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকিও বটে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যে নির্বাচন হয়ে গেল তা নির্বাচনের নামে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ধরনের দুর্বল ও নতজানু নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, গত ২৫ জুলাই থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করা হয়েছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এ অবস্থায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা কতটুকু যুক্তি সঙ্গত? রহস্যজনকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রচারণা তেমন একটি নেই।
একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না মনে করে তিনি বলেন, 'সঠিকভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা না হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দেশের জনগণের আর কোন আস্থাই থাকবে না।
তাই নির্বাচন কমিশনকে সরকারের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অসৎ পথ পরিহার করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায় এর সকল দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন