জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. রেজাউল করিম বলেছেন, এবারের ঈদে বাংলার আকাশ সন্তানহারা মায়ের আহাজারী, স্বামীহারা স্ত্রীর আর্তনাদ আর ভাই হারা বোনের মর্মস্পর্শী মায়াকান্না ভারী করে তুলছে। আব্দুল কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, রানাপ্লাজা ট্রাজেডি, সিলেটে শিশু রাজনের নির্মম হত্যা, পরপর গণহত্যা, খুন আর গুমের কারনে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য মায়ের সন্তানের অনুপস্থিতি তাদের পরিবারে ঈদে আনন্দের পরিবর্তে নির্মম বেদনা নিয়ে এসেছে।
ছাত্রশিবির লক্ষ্মীপুর শহর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেজাউল বলেন, ইসলামী আন্দোলনের লাখো নেতাকর্মী আজ কারাগারে বন্দী। অসংখ্য নেতাকর্মী ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া, পরিবার ছাড়া। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অসংখ্য মানুষ। জাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে নিহত হওয়া ২৭ জনের পরিবারেও নেই ঈদের আনন্দ। সীমান্তে বিএসএসেফর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীর পরিবারেও নেই কোনো ঈদ।
তিনি বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের উন্নয়নের পরিবর্তে নাস্তিক মোরতাদদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। অন্যদিকে এদেশের ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র, আলেম ওলামাদের অপমান এবং পবিত্র রমজান মাসে ও কোরআন তালিম থেকে বোরকা পরিহিত মহিলাদের গ্রেফতার করে দেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। নারী সমাজকে করেছে অপমানিত।
তিনি শিবির কর্মীদেরকে তাদের মেধা ও নৈতিকতার মাধ্যমে আধুনিক জাহিলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কোরআন, সুন্নাহ, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিজেদেরকে গড়ে তোলার মাধ্যমে সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত, মজলুম মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামের বিজয়কে সুনিশ্চিত করার আহবান জানান।
শহর সেক্রেটারি ফয়েজ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক শিবির নেতা আব্দুল আউয়াল রাসেল চৌধুরী ও মিরাজ হোসাইন প্রমুখ।
এ ছাড়া তিনি ঈদের দিন ৯নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নে ঈদ সামগ্রী ও ঈদ পোশাক বিতরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শহর শিবির সভাপতি মু. হারুনুর রশিদ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি প্রফেসর মোস্তফা মোল্লা প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন