ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, এই সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে জঙ্গি দল বানানোর অপচেষ্টা করছে।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর ন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএনএস) এক প্রকাশনা উৎসবে একথা বলেন তিনি।
শফিক রেহমান বলেন, ‘সরকার যা করছে, এটা উচিৎ নয়। বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক দলগুলোকে জঙ্গি দল বানানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর পরিণতি কারো জন্যই শুভ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন দাঁড়ি-টুপিওয়ালা লোক দেখলেই তাকে জামায়াত-শিবির বানানোর চেষ্টা করা হয়। বিনা দোষে পুলিশে দেয়া হয়। নির্বিচারে নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হয়।’
শফিক রেহমান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। পক্ষান্তরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের ব্যবস্থা করছেন।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। আদালত রায় দিয়েছিল আরো দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে।
তিনি বলেন, দেশের বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক দলগুলোও একই পরামর্শ দিয়েছিল। সবার মত ছিল, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর এসব কথাগুলো ক্ষমতাসীনরা জনগণকে আজ ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
দেশ রাজনৈতিক সংকটে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একাত্তরের ন্যায় আওয়ামী লীগ আরো একবার দেশকে স্বৈরশাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের এই চেষ্টা সফল হতে দেয়া যাবে না।’
প্রসঙ্গত, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট’ শীর্ষক বইটি গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ থাকাকালীন লেখা। লেখক মেজর (অব.) শাফাওয়াত উল্লাহ।
বইতে গণতন্ত্রকে অস্বীকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ গত তিন মাসের আন্দোলনে দেশে নিহত, আহতদের সংখ্যা এবং জ্বালাও-পোড়াওয়ের উপর সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ুম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন