বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী জনাব মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বাণীতে বলেন, রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজানের বিদায় কালে সমাগত পবিত্র ঈদুল ফিতর। রোজাদার মুসলমানদের দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনার পর এই ঈদুল ফিতরের আনন্দ উৎসব। মাহে রমজানের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও নফসের অন্যায় প্রবণতা থেকে মুক্ত করে মানুষকে আল্লাহর অনুগত বান্দা হিসেবে গড়ে তোলার প্রশিক্ষণের পরই এই ঈদ উৎসব। ঈদুল ফিতরের দিন হোক ইসলামী আদর্শ রক্ষার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বজ্র কঠোর শপথ গ্রহণের দিন। জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমদের প্রতিরোধের শপথ গ্রহণের দিন।
বিবৃতিতে নগর জামায়াত নেতা বলেন, ঈদ মুসলমানদের জাতীয় উৎসব। আনন্দ ও খুশীর বার্তা নিয়ে এ ঈদ উৎসবের আগমন ঘটে। ঈদুল ফিতর অর্থ আনন্দ, খোলার উৎসব। মুসলিম জীবনকে যাবতীয় অস্বচ্ছতা, কুটিলতা, অন্যায় প্রবণতা থেকে মুক্ত করে সম্পুর্ণ আল্লাহর অনুগত করে তোলার মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের পরেই এ উৎসব আসে।
ঈদুল ফিতরের দিনে মুসলমানদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্ববোধ গভীর করে তোলে। যাবতীয় হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে, সমাজের অসহায় দু:স্থ মানুষের অভাব দূর করা, পরস্পরের সুবিধা, অসুবিধা দূরীকরণের চেষ্টা ইত্যাদির মাধ্যমে যে সহানুভুতি, সহমর্মিতা ও ঐক্য সংহতির দৃশ্য ফুটে উঠে।
নগর জামায়াত সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সিয়াম সাধনার মাধ্যমে লদ্ধ এই মানবিক গুণাবলী যাদের অর্জিত হয় তাদের সমাজে অশান্তি ও অপরাধ প্রবণতা থাকতে পারে না। মুসলমানদের অনৈক্য ও দ্বন্দ কলহের সুযোগে ইসলামের শক্ররা আজ মুসলিম জাতিসত্তা ও ইসলামকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।
জামায়াত নেতা বলেন, যেখানে ইসলামী জাগরণ দেখা দিয়েছে সেখানে তাদের ষড়যন্ত্র ও জুলুমের হস্ত সম্প্রসারিত হচ্ছে।
দেশের এ সংকটময় পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের উদযাপনকে আত্মপর্যালোচনা, সিদ্ধান্ত গ্রহন ও সর্বোপরি দেশ ও জনগণের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের শপথ গ্রহণের জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
নগর জামায়াত সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,“ঈদুল ফিতর বয়ে আনুক আমাদের জীবনে অনাবিল শান্তির বারতা”। জুলুম-নির্যাতন প্রতিরোধ ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়াই হোক আমাদের আজকের প্রত্যাশা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন