ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

আজ কবি আল মাহমুদের ৮০ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

আবহমান বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্যের শ্রেষ্ঠ রূপকার, দেশের প্রধান কবি আল মাহমুদের আজ ৮০তম জন্মদিন। বাংলা ভাষার অন্যতম কবি আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়ির ব্যবসায়ী ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মদিন উপলক্ষে আজ ১১ জুলাই কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাবেন।
বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আল মাহমুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে কবির জন্মদিন উৎসব ও ইফতার মাহফিলের। আল মাহমুদ ক্লাবের সভাপতি আসাদ চৌধুরী ভক্ত-শুভাকাক্সক্ষীদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ, স্বাধীনতা, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এবং গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সমান্তরালে তিনি নিজেকে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
ভাষা আন্দোলনের সময় নিয়াজ মোহাম্মদ হাইস্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভাষা আন্দোলন কমিটির লিফলেটে তার কবিতা ছাপা হলে পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে। সে সময় ভাষার মিছিলে গলায় হারমোনিয়াম ঝুলিয়ে আল মাহমুদের কবিতা গান হিসেবে গাওয়া হতো।
লেখালেখি ও স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য তিনি ঢাকায় আসেন ১৯৫৪ সালে। চাকরি নেন দৈনিক মিল্লাতে। ১৯৫৫ সালে বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা পত্রিকায় আল মাহমুদের কবিতা ছাপা হলে বাংলা সাহিত্যে সাড়া পড়ে যায়। ১৯৬৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দেন প্রুফ রিডার হিসেবে। সে বছর বন্ধুজন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, হাশেম খান, কবি আসাদ চৌধুরী ও রফিক আজাদের সহায়তায় কপোতাক্ষ থেকে আল মাহমুদের প্রথম কবিতার বই ‘লোক লোকান্তরে’ প্রকাশিত হয়। আল মাহমুদ তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালি কাবিন’ এর এক নম্বর সনেটটি চট্টগ্রামে বসে লেখেন।
আল মাহমুদ ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত আল মাহমুদ ১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭২ সালে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের বিশ্বাসীদের মুখপত্র এবং সরকারবিরোধী একমাত্র রেডিক্যাল পত্রিকা ‘গণকণ্ঠ’ বের হলে তিনি এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গণকণ্ঠ সে সময় ব্যাপক আলোচনায় আসে। তার লেখা বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালি কাবিন’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৭৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমীতে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেন। এ সময় তার গল্পগ্রন্থ ‘পানকৌড়ির রক্ত’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৪ সালে কলকাতা থেকে কবিতার জন্য কাফেলা সাহিত্য পুরস্কার এবং ছোটগল্পের জন্য বাংলাদেশে হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮৬ সালে কবিতায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক পান।
শীর্ষ নিউজ/আনসারী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন