ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

মুসলিম হওয়ার কারণেই মেমনকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে : আসাদউদ্দিন ওয়াইসি


ভারতের মুম্বাইয়ে ১৯৯৩ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজার বিরোধিতা করলো অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন। দলটির প্রেসিডেন্ট আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার ধর্মের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসি দিতে চাচ্ছে। ইয়াকুব মেমন মুসলিম হওয়ার জন্যই তাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। যদি ফাঁসি দিতে হয় তাহলে সমস্তঅপরাধীদের দেয়া উচিত, শুধু একজনকেই কেন?’
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘মুম্বাই দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত অপরাধী, রাজীব গান্ধী হত্যাকারী এবং বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে ফাঁসি দেয়া হয়নি কেন?’
এ দিকে, ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’-এর সাবেক কর্মকর্তা বি রমন। এ ঘটনা এতদিন পরে প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ পোর্টাল রেডিফ ডটকমের জন্য ২০০৭ সালে একটি নিবন্ধ লেখেন ‘র’-এর সাবেক কর্মকর্তা বি রমন। এতে তিনি ‘ইয়াকুব মেমনের ফাঁসির সাজা হওয়া উচিত নয়’ বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি নানা বিষয় তুলে ধরেছেন। ইয়াকুব মেমন তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা ছাড়াও তার পরিবারের অন্যদের আত্মসমর্পণের জন্য রাজি করিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেছেন বি রমন।
রেডিফের জন্য লেখা ওই নিবন্ধ ৮ বছর ধরে ছাপা হয়নি। কিন্তু ফাঁসি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় তার অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা ভাই বি এস রাঘবনের অনুমতি নিয়ে রেডিফ ওই নিবন্ধ ছেপেছে। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) পাকিস্তান ডেস্কের প্রধান ছিলেন বি রমন। ২০১৩ সালে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বাইতে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় টাডা আদালত ২০০৭ সালের ২৭ জুলাই ইয়াকুব মেমনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে। বম্বে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রেসিডেন্টের কাছেও তার সাজা মওকুফের আবেদন বাতিল হয়ে গেছে।
এ দিকে, সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হওয়ার পরে আবারো সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন ইয়াকুব মেমন। মেমনের আইনজীবী দাবি করেছেন, অভিযুক্তের পক্ষে সমস্ত আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা যায় না। কিন্তু মেমন সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করার আগেই দায়রা আদালত এই পরোয়ানা জারি করে দেয়। উত্তর প্রদেশে এক দম্পতির বিরুদ্ধে চলতি বছরের মে মাসে মৃত্যু পরোয়ানা খারিজের উদাহরণ দিয়ে মেমনের আইনজীবী দাবি করেছেন তার ক্ষেত্রেও একই ছাড় দেয়া হোক।
বুধবার মহারাষ্ট্রের গভর্নর বিদ্যাধর রাওয়ের কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও জানিয়েছেন মেমন। সব মিলিয়ে আগামী ৩০ জুলাই নির্ধারিত দিনেই তার ফাঁসি হবে কি না তা নিয়ে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র : রেডিও তেহরান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন