বাংলাদেশ বার্তা: ১৯ জুলাই ২০১৫: চাঁদ রাত্রী থেকে একটানা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে ভাসছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। ঈদের দিন দুপুর পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিতে ঈদের আনন্দ নিয়ে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের বাড়ি বাড়ি স্বস্তি ঘুরতে পারেনি নগরী সকল শ্রেণীর মানুষ। দুপুরের সামন্য বিরতি দিয়ে আবারো বৃষ্টি শুরু হলে সারা রাত ধরে চলতে থাকে বৃষ্টি। অতি বৃ্ষ্টির কারণে পাহাড়ী ঢল সেই সাথে বিপরীত দিকে থেকে আসা জোয়ারের পানিতে শহরের নিচু এলাকাসমূহ ডুবে যেতে শুরু করে রাত থেকেই। এতে করে যারা নিচতলায় থাকেন তাদের নানাবিধ বোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। নিচতলার বহুসংখ্যক ঘরে পানি উঠেছে এবং টয়লেট দিয়ে পানি ঢুকে একদিকে পানিতে ঘর প্লাবিত হয়ে ঘরের আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে বাথরুম ও টয়লেট ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে টয়লেট, গোসলসহ ওয়াসিং এর সব কাজ বন্ধ করে অস্বস্তিকর গ্রহবন্দির মতো সময় কাটাতে হচ্ছে নিচতলার অধিবাসিদের। এমনকি রোড-ঘপটেও পানি। তাই গাড়িও চলাচল করতে বিঘ্ন হচ্ছে। কিছু কিছু গাড়ি চললেও একটি নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
বহদ্দারহাট হক মার্কেট ইদ্রীছ ফার্মেসী ও জান্নাত বেকারীর সামনে থেকে সকালে তোলা ছবির দৃশ্য! ক্ষতি হয়েছে লাখ লাখ টাকার ঔষধ সামগ্রী। |
জলাবদ্ধতা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, হচ্ছে কিন্তু নগরবাসী কি আদৌ এই জলাবদ্ধতার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে পারবে কিনা কে দেবে তার নিশ্চয়তা?
জলাবদ্ধতার এই যন্ত্রণা থেকে মুক্ত পেতে আমরা নগরবাসীকে আরো সোচ্চার ও তৎপর হওয়ার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন