ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪

আন্তর্জাতিক ক্রিমিন্যাল ট্রাইব্যুনাল জাতীয় ট্রাইব্যুনালও নয়- টবি ক্যাডম্যান

আন্তর্জাতিক ক্রিমিন্যাল ট্রাইব্যুনালকে এক রকম ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার টবি ক্যাডম্যান।
শনিবার বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যামাইকাস্থ ইয়র্ক কলেজ মিলনায়তনে হিউম্যান রাইটস এন্ড পডভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ (এইচআরডিবি’র) আয়োজনে ‘বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুন্দর দেশ। কিন্তু দেশটির সব কিছুর মধ্যেই রাজনীতি। যে কারণে দেশটি এগুতে পারছে না, বরং যুদ্ধাপরাধ ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তবে সে বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মানের বিচার। কিন্তু বাংলাদেশে যে ‘আন্তর্জাতিক ক্রিমিন্যাল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে তা বিতর্কিত। এখানে ন্যায়বিচার ও যথাযথ আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুনের প্রক্রিয়া অনুসরণের কোনো স্থান নেই।
তিনি বলেন, সরকার যতই দাবি করুক না কেন, ট্রাইব্যুনালের গঠন প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিতে যে ত্রুটি রয়েছে তা সংশোধন না করার কারণে এটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল তো নয়ই, জাতীয় ট্রাইব্যুনালও নয়। বাংলাদেশে বিচারের নামে অবিচার হচ্ছে।
সেমিনারে বক্তৃতাকালে ব্যারিস্টার টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া এবং চলমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো ঢাকায় গেলে আমি লাল গালিচা সংবর্ধনা পাই। তবে সম্মান খুবই স্বল্পস্থায়ী হয়েছিল। আমাকে বাংলাদেশ সরকারের তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়।
টবি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইব্যুনাল-এর বিচারকের স্কাইপি সংলাপ প্রকাশের ঘটনাই প্রমাণ করে এই ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ছিল না। এটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল তো নয়ই, জাতীয় ট্রাইব্যুনালও নয়। ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন ও সাক্ষ্য আইনকে গ্রহণ করা হয়নি এবং আন্তর্জাতিক আইনের ধারে কাছেও যায়নি।
ফলে ট্রাইব্যুনালের বিচারে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার যে দাবি সরকার করে আসছে তা রাখা তো দূরের কথা, জাতীয় মানও বজায় রাখা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টবি ক্যাডম্যান বসনিয়ায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর হিসেবে তার আট বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, বসনিয়ার ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ছিল না, সেটি তাদের ন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ছিল। কিন্তু বসনিয়া সরকার বিচার পরিচালনায় আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নিয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক বিচারক, আন্তর্জাতিক প্রসিকিউটর ও আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা ছিল বলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনি।
কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ‘সমগ্র বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত’ সৃষ্টি করতে সকল আন্তর্জাতিক আইন অগ্রাহ্য করেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকেও কেয়ার করছে না, সরকারের ‘ডোন্ট কেয়ায়’-এর উত্তর আমার কাছে নেই।
টবি ক্যাডম্যান আরো বলেন, যেকোন সরকারের সমালোচনাই গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে গঠিত ট্রাইব্যুনালে আর্ন্তাতিক নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না।
উৎসঃ শীর্ষ নিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন