ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

পোস্টমর্টেম গাজীপুর : টার্গেট তারেক রহমান নাকি জামায়াত? নাকি চক্রান্ত আরও গভীরে?

আন্দোলনে আবার হোচট লেগেছে, যদিও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মানতে নারাজ। তাদের মতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লাগাতার কর্মসূচি আসছে। আন্দোলনের তোড়ে আওয়ামী গং খড়-কুটোর মত ভেসে যাবে। বিএনপি মনে করে আগামী দুই মাসের মধ্যে মিসেস হাসিনা মিয়ার অবৈধ সরকারের পতন হবে। লন্ডনে নেতা কর্মীদের ক্ষোভের মুখে বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এমন আশার বানী শোনালেন যদিও প্রবাসী নেতা কর্মীদের সন্দেহ এতে কমেছে কিনা বোঝা গেল না। গাজীপুরে সমাবেশে অবৈধ সরকারের ১৪৪ ধারা জারীর বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অনড় যাত্রাকে হঠাত করে হরতালে পরিনত করার মত অপমানজনক কর্মসূচী দেয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতেই পাওয়া গেলো কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএনপির শরিকদল জামায়াতে ইসলামীকে জঙ্গি দল প্রমানে ব্যর্থ হয়ে, আন্দোলন বিমুখ এবং অবৈধ সরকারের সাথে আঁতাতকারী প্রমান করতেই বিএনপির ভেতরের একটি গ্রুপ এ কাজটি করাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। গাজীপুর সেই চক্রান্তেরই একটি অংশ। যদিও এ নাটকের পাশ দিয়ে অবৈধ সরকারকে আরও সুযোগ দিয়ে শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়।
বিএনপির হাইকমান্ড সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় বিএনপির এই চক্রটি মূলত তারেক রহমানের রাজনৈতিক উত্থানকে বাধাগ্রস্থ করতেই অবৈধ সরকার বিরোধী আন্দোলনের গতিকে স্থিমিত করে দিতে চায়। প্রথম দিকে তারেক রহমানের সাবেক হাওয়া ভবনের লোকজনের বিরুদ্ধে এ অবস্থান থাকলেও কালক্রমে সেটি এখন তারেক রহমানের বিরুদ্ধেই দানা বেঁধেছে। এই গ্রুপটি মনে করে তারেক রহমান দলীয় প্রধান বা কো-প্রধান হওয়ার সাথে সাথেই দলীয় কাঠামো এবং দলীয় নেতৃত্বে আমুল পরিবর্তন হবে। সেই পরিবর্তনে বর্ষীয়ানদের অনেকেই বাদ পড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ভেবেই আতঙ্ক বাড়ছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটকে দুর্বল করতে সরকারী টোপ যা 'র' এর নকশার অংশ ছিল তা গিলতে বিএনপির এই গ্রুপটির একটুও কষ্ট হয়নি। টোপ গেলার পরেই জামায়াতকে বিএনপির কাছ থেকে সরাতে এবং গ্রামীণ নিরীহ প্রান্তিক মুসল্লিদের বিএনপি বিমুখ করতেই আন্দোলনে নানান বিপর্যয় সৃষ্টি করা হয়। এতে ইসলামই রাজনৈতিক শক্তির সাথে বিএনপির দুরত্ব বাড়তে থাকে; এমনকি বিএনপিকে ইসলামই শক্তি অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দেখতেও শুরু করে। জনমনেও এর প্রভাব দেখা যায়।
অবৈধ সরকারের গোয়েন্দা সূত্র মতে মিসেস হাসিনার অবৈধ সরকার অনেকখানি নিশ্চিন্তে দেশ পরিচালনা করছে এবং অচিরেই সশস্ত্র পুলিশ হিসেবে আরও ৫০ হাজার দলীয় কর্মী নিয়োগ করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে। এমনকি ৫০ হাজার নতুন পুলিশের মধ্যে কমপক্ষে ৫ হাজার প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ভারতীয় কম্যান্ডো নিয়োগ দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায় গাজীপুরকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি প্রস্তাব দেয়, সেই মোতাবেক বিএনপির নেতা কর্মীরা যাতে কম ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেই লক্ষকে সামনে রেখে গাজীপুরের আশেপাশে টঙ্গিসহ নানা স্থানে হাজার হাজার কর্মী সমাবেশ করে রাখে জামায়াত। বেগম জিয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে ঢাকা থেকে রওয়ানা দেবেন এবং জোট নেত্রী হিসেবে তাকে প্রোটেকশন দেয়াসহ সরকারী ব্যুহ ভাঙ্গার দায়িত্ব ২০ দলকে সাথে নিয়ে পালন করবে জামায়াত। এই প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই হতাশ জনগণের মনোবল চাঙ্গা হবে যা হাসিনার তখতে তাউসকে তাসের ঘরের মত উড়িয়ে দেবে। বেগম জিয়া এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি হাই কমান্ডের একটি অংশ যাদের হঠাত করেই বুকে ব্যাথা সহ নানান বিমারী ধরা পড়ে তাও আন্দোলনের সময়ে তারাই গাজিপুর নাটকে নয়া সংশোধন এতে হরতালে পরিনত করে।
১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা আসার আগে শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন শনিবার গাজীপুরে বিএনপির জনসভা হবেই। আবার সেই মির্জা সাহেবই সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, গাজীপুরে জনসভা ঠেকাতে ১৪৪ ধারা জারি এবং বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ গাজীপুরে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল এবং দেশজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ২০-দলীয় জোট। শুক্রবার রাত ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির আচরনে মনে হয় হাসিনা তাদের সভার স্থান পরিছন্ন করে দেয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তার সবকিছু সরবারহ করবে। না হলে সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল হবে। হরতাল চলবে।
জানা গেছে জামায়াতে ইসলামী সর্বদাই বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের উপর আস্থাশীল এবং সেইভাবেই তারা তার সাথে সংযোগ বজায় রেখে চলেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে জামায়াতে ইসলামীকে হাসিনা গংদের সাথে আঁতাতকারী হিসেবে প্রচারনা চালানোর মূল কারিগরদের সবাই বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত প্রমান পাওয়ার পরেও এমনকি সকল আন্দোলন সংগ্রামকে অংকুরেই বিনাশ করে দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধংস করে দেয়ার এই চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা দেখেই জামায়াতে ইসলামী ধীরে ধীরে নিজেদের গুটিয়ে নেয়া শুরু করেছে।
অবৈধ সরকারী সূত্র মতে ইসলামী শক্তি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির সম্মিলনে জেনারেল জিয়াউর রহমান যে রাজনৈতিক দুর্গ গড়ে তুলেছিলেন, সেটি ধংস করতে ইসলামী শক্তি এবং জাতীয়তাবাদী শক্তির বিভাজনের কোন বিকল্প নেই। 'র' এর ছক মোতাবেক সেটিরই বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর এর সফল বাস্তবায়নেই 'র' এদেশে ভারতের দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় ধংস করে দিতে যাচ্ছে তারেক রহমান ও তার দলীয় শক্তি এবং ইসলামী রাজনৈতিক শক্তিসহ প্রান্তিক মুসলমানদের ঐক্য। ফলাফল বুঝিয়ে বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এক ঢিলে অনেক পাখি সাবার।
উৎসঃ এসনিউজ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন