ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪

জাতির মর্যাদা সমুন্নত রাখতে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে -শিবির সভাপতি

ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্বের বার্ষিক থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার বলেছেন, বাংলার এ জমিন হাজার বছরের ঐতিহ্য নিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত ছিল। কিন্তু আদর্শহীন ক্ষমতা লিপ্সুদের নিকৃষ্ট অপকর্ম জাতির মর্যাদা বার বার ভূলুন্ঠিত করছে। কিন্তু আমাদের বসে থাকলে চলবে না। জাতির মর্যাদা সমুন্নত রাখতে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। 
গতকাল শনিবার ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পূর্বের বার্ষিক থানা দায়িত্বশীল সমবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শাখা সভাপতি রেজাউল হক রিয়াজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি এম শামিমের পরিচালনায় সমাবেশে শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
শিবির সভাপতি বলেন, যে জাতি জীবনবাজী রেখে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে সে জাতি দ্রুততার সাথে উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু লজ্জার বিষয় হল স্বাধীনতার পর থেকেই জাতিকে দুর্ভাগ্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে। রক্তে অর্জিত দেশকে বাকশাল, সিমাহীন দুর্নীতি, গুম, খুন ও অপশাসনের চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছিল। আজও তাদের উত্তরসূরিরা একই কাজ করছে। মাতৃভূমি আজ বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে পরিচিত। গণতন্ত্রকে হত্যা করে নব্য বাকশালীরা দেশের কপালে সৈরাচারের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় শক্তি কর্তৃক গণহত্যা, গুম, খুন, নৃশংসতা, গ্রেফতার নির্যাতন দেশকে বদ্ধভূমি ও বৃহত্তর কারাগার হিসেবে পরিচিত করেছে। ইসলামের বিরুদ্ধে আইন, ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র, নাস্তিক্যবাদের লালন মুসলিমদের শঙ্কিত করে তুলেছে। এসব অপকর্ম বার বার জাতির মর্যাদাহানী করছে। 
তিনি বলেন, তবুও আমরা আশাবাদী। কারণ এদেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠার ইতিহাস বিরল নয়। এখনো দেশ ও ইসলাম রক্ষায় নারী, শিশু, আলেম-ওলামা, ছাত্রজনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাতিলের প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। আদর্শহীনরা দেশের মর্যাদাহানী করেই যাবে কিন্তু আদর্শবাদীদের বসে থাকার সুযোগ নেই। ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা দেশের মর্যাদা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, বেহায়াপনা, অপসংস্কৃতিমুক্ত এবং দেশ ও ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এ সংগঠন আজ মানুষের আশার স্থলে পরিণত হয়েছে। সুতরাং জাতির প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি গঠনে দাওয়াত ও সংগঠনের কাজের গতি আরও তীব্র করতে হবে। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন