ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশব্যাপী জামায়াতের আলোচনা সভাঃ গণবিস্ফোরণের আগেই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন -নূরুল ইসলাম বুলবুল


গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজধানীসহ দেশব্যাপী আলোচনা সভা করেছে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগরী আয়োজিত আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জনগণ ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারী সরকারকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য করেছিল। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পেলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে আবারও গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে গলাটিপে হত্যা করেছে। তাই দেশকে বাকশালী ও স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হলে ‘৯০ এর গণআন্দোলনের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি সরকারকে গণবিস্ফোরণের আগেই পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে দুর্বার গণআন্দোলনে মাধ্যমে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে।
রাজধানীতে কেন্দ্র ঘোষিত ‘ গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ফরিদ হোসাইন ও অধ্যাপক মোকাররাম হোসাইন খান, জামায়াত নেতা খন্দকার মিজানুর রহমান, শামীম হাসনাইন ও আব্দুস সাত্তার সুমন প্রমুখ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের একটি নির্বাচিত সরকারকে বন্দুকের নলের মুখে উৎখাত করে গণতন্ত্র হত্যার মাধ্যমে জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিলেন। ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত চালানো হয়েছিল দুঃশাসন ও লাগামহীন দুর্নীতি। ধ্বংস করা হয়েছিল দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার। কিন্তু জনগণ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ ৯ বছর রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। জনতার আন্দোলন যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখনই স্বৈরাচার ও বাকশালীদের অশুভ আঁতাতে গণআন্দোলন বার বার বিভ্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ১৯৯০ সালের ২৭ নবেম্বর নতুন করে ৮ দল, ৭ দল ও ৫ দলীয় জোটসহ জামায়াতে ইসলামী যুগপৎভাবে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করে। এতে শহীদ হন ডা. মিলনসহ আরও অনেকে। স্বৈরাচারী সরকারের গণমাধ্যমের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রতিবাদে স্বৈরাচারের পতন না হওয়া পর্যন্ত সংবাদপত্রের সকল প্রকার প্রকাশনা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। প্রবল গণঅন্দোলনের মুখে ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ৫ ডিসেম্বর লাখ লাখ জনতা রাজপথে নেমে এসে বিজয়োল্লাস প্রকাশ করে। ৬ ডিসেম্বর একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার। আর এভাবেই বীর জনতা গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের হাত থেকে শৃংখল মুক্ত করে। 
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার তা-বের মাধ্যমে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করে দেশের গণতন্ত্রকে আবারও হত্যা করা হয়। আবারও বাকশালী ও স্বৈরাচারী অপশক্তির আঁতাতের মাধ্যমে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা হয়। ৫ বছর ধরে চলে জুলুম-নির্যাতন, অপশাসন-দুঃশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, বেপরোয়া লুটপাট, হত্যা-সন্ত্রাস-নৈরাজ্য। তারা নিজেদের সীমাহীন অপকর্ম ঢাকতে ও নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই ৫ জানুয়ারির তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতা দখল করে। কথিত এই নির্বাচনে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। অন্যরা মাত্র ৫ ভাগেরও কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত বলে দাবি করা হয়। যা বিশ্বের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি নজীরবিহীন ঘটনা। মূলত গণতন্ত্র হত্যা করে দেশে একদলীয় ও বাকশালী শাসন কায়েমের জন্যই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। তাই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশে আবারও গণতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনতে হলে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
রাজশাহী অফিস : জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী ডাক্তার মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিনটি অনন্য উজ্জল। গণভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের একদলীয় শাসন থেকে দেশের জনগণ গণতন্ত্রকে মুক্ত করেছিল। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিজয় লাভ করেছিল। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে আজ আবারো সেই স্বৈরচারী এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করছে। স্বাধীন দেশের জনগণ তা কখনো মেনে নিতে পারে না। অবিলম্বে দেশের জনগণ শেখ হাসিনা ও এরশাদের পাতানো গণতন্ত্র থেকে দেশকে মুক্ত করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে ইনশাল্লাহ। তিনি গতকাল শনিবার জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর উদ্যোগে স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তবে এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মাইনুল ইসলাম, মহানগরীর প্রচার সেক্রেটারী শাহাদাত হোসাইন, জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি স্বীকৃত আদর্শ রাজনৈতিক দল। গণতান্ত্রিক দেশে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক কর্মকা-ের অধিকার এই দলের রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকার জোর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অন্যায়ভাবে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এমনকি মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়ে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দিয়ে দেশ থেকে ইসলামী নেতৃত ¡শূন্যের ষড়যন্ত্র করছে এই সরকার ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ সরকারের আমলে কুরআনের তাফসির মাহফিল বন্ধ করার জন্য ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের লাঠিপেটাও করছে এ সরকার। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ জামায়াত নেতা ও সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা পুনঃস্থাপন, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের জোর দাবি করেন।
চট্টগ্রাম : বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী আ.জ.ম ওবায়েদুল্লা বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। ১৯৯০ সালের এই দিনে দেশের মুক্তিকামী জনগণ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়ে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায় করেছিল এবং গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। জনগণ ফিরে পেয়েছিল তাদের ভোটাধিকার। তিনি আরো বলেন, জনগণের আশা ছিল ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবসের আগেই জনদাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন জনগণ গণতন্ত্রিক স্বৈরাচারকে হটাতে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বেরাচারী এরশাদের মত এই সরকারকেও পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়া ও জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল মজলুম নেতৃবৃন্দদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানান।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা ডা. ছিদ্দিকুর রহমান, আবু বকর ছিদ্দিক, নাজিম উদ্দীন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা অফিস : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, নব্বই দশকে এরশাদের স্বৈরশাসনের রূপেই এ অবৈধ সরকার দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করছে। দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়ে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায় করেছিল এবং গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছিল। ঠিক সেই গণআন্দোলনের মাধ্যমেই এ অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তিনি বলেন, জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছিলেন। জনগণ আন্দোলন করে ‘স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়ে’ ভোটাধিকার আদায় করেছিল। আজকে আবার আওয়ামী মহাজোট সরকার স্বৈরাচারী এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। জাতিকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্য আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। শনিবার খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গণতন্ত্র মুক্তি দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এসময় আরও বক্তৃতা করেন সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, প্রচার সেক্রেটারি আল ফিদা হোসেন, জামায়াত নেতা মনিরুল ইসলাম পান্না প্রমুখ।
সিলেট ব্যুরো : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, দেশপ্রেমিক জনতার দুর্বার আন্দোলনে এরশাদের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। এই দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায় করার মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল। জনগণ ফিরে পেয়েছিল তাদের ভোটের অধিকার। আবারও স্বৈরশাসনের প্রেতাত্মা আওয়ামী অপশক্তি জাতির ঘারে জগদ্দল পাথরের ন্যায় বসে রয়েছে। তাদের অবৈধ ক্ষমতা লিপ্সা বহু কষ্টে অর্জিত গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। আধিপত্যবাদী-সম্প্রসারণবাদী শক্তি তাদের এদেশীয় এজেন্টদের সহায়তায় বাংলাদেশকে সার্বভৌমহীন ভূ-খন্ডে পরিণত করতে চাইছে। হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী কায়দায় জুলুম, নিপীড়ন ও নির্যাতনের ষ্টীমরোলার এরশাদের স্বৈরশাসনকেও হার মানাচ্ছে। গণতন্ত্র মুক্তি দিবসের চেতনায় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। স্বৈরাচারী এরশাদও যেমন বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরাও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তিনি গতকাল শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর সহকারী সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, জামায়াত নেতা মুফতি আলী হায়দার, মাওলানা আব্দুল মুকিত, আব্দুল্লাহ আল মুনিম, এডভোকেট আলীম উদ্দিন, এডভোকেট জামিল আহমদ রাজু, আনোয়ার আলী, চৌধুরী আব্দুল বাছিত নাহির, শফিকুল আলম মফিক, রফিকুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।
ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীতে গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে গতকাল বিকালে একটি মিলনায়তনে শহর জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহর আমীর মুফতি আবদুল হান্নান। শহর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শহর সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস, ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মিজানুর রহমান প্রমুখ।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন- দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা ছাড়া প্রকৃত গণতন্ত্র এবং শতভাগ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবেনা। তাই মানুষের প্রকৃত অধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা একমাত্র ইসলামের মাধ্যমেই সম্ভব। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল শহর শাখার উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র মুক্তি’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তগণ উক্ত কথা গুলো বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন- জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল জেলা শাখার সেক্রেটারী ও শহর শাখার আমীর আহছান হাবীব মাসুদ। বক্তব্য রাখেন শহর শাখার শু’রা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ জহির উদ্দিন বাবর, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান শেখ, মোঃ হাফিজুর রহমান, ০৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা শওকত আলী, ০২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ শরীফুল ইসলাম ও ১৮ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারী এম.এ. হাকীম প্রমুখ।
শ্রীপুর (গাজীপুর) সংবাদদাতা : শ্রীপুর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে গনতন্ত্র মুক্তি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আমীর অধ্যাপক মো: মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা মো: জাহাঙ্গীর কবির, পৌরসভাপতি অধ্যক্ষ মাও: মো: আতাউল হক, ওয়াহিদুজ্জামান, অধ্যক্ষ মাওলানা মো: আব্দুল মতিন, শিবলী সাদিক, মাও: মো: মনিরুজ্জামান, মো: আজিজুল হক প্রমুখ।
গাজীপুর সংবাদদাতা : গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর থানা জামায়াতের উদ্যোগে শনিবার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। থানা আমীর মোঃ ছাদেকুজ্জামান খান এর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি ইউসুফ আব্দুল্লাহ এর পরিচালনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর মহানগরী জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ এস. এম. সানাউল্লাহ, বিষেশ অতিথি ছিলেন জেলা আমীর আবুল হাসেম খান, মহানগরী জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি হাফিজ ইব্রাহীম অন্যান্যের মাধ্যে বক্তব্য রাখেন জয়দেবপুর থানা দক্ষিণের আমীর মাও. সাইদুর রহমান, গোলাম নজীব, আসাদুল্লাহ্ প্রমুখ।
জয়পুরহাট সংবাদদাতা : জামায়াতের ইসলামী জয়পুরহাট শহর শাখার উদ্যোগে স্থানীয় এক মিলনায়তনে গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহর জামায়াতের আমীর ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিবুল আলম লিটন এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মু. আতাউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহর জামায়াতের রাজনৈতিকসেক্রেটারী এ্যাড: আব্দুল মোমেন ফকির, জামায়াত নেতা আব্দুল বাতেন, মোনায়েম সরদার প্রমূখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন- স্বৈরচারী এরশাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা চালু হয়েছিল নব্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ৫ জানুয়ারী ২০১৪ ভোটার বিহীন নির্বাচনী নাটক করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রেরসে ধারাকে হত্যা করেছে। সরকার জনগণের কাঁধের উপর জগদ্বল পাথরের মত জেঁকে বসেছে। আন্দোলন ছাড়া এ স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার না হটানো পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তি লাভ করতে পারে না। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে আগামী দিনে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।
পাবনা সংবাদদাতা : সৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে পাবনা পৌর জামায়াত গতকাল এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইকবাল হুসাইন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী ইকরামুল হক, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পৌর সভাপতি ইঞ্জি: খোরশেদ আলম প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন