বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, ইসলামী মূলবোধের ভিত্তিতে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ছাত্রশিবির কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু এ পথ কন্টকমুক্ত নয়। বাধা আসবেই। সকল বাধা মোকাবেলা করেই লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আজ ছাত্রশিবির ঢাকা উত্তর অঞ্চলের বার্ষিক রিপোর্ট পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী তারেক হাসানের পরিচালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোবারক হোসেন।
সেক্রেটারী জেনারেল বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথে বাধা আসবে এটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা। এই বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে ছাত্রশিবিরও। বাতিলের মোকাবেলা করতে গিয়ে শত শহীদের রক্তে ¯œাত হয়েছে এই কাফেলা। হাজারো নেতাকর্মী আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেক নেতাকেই হারাতে হয়েছে যাদের সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সভাপতি থেকে শুরু করে সমর্থক পর্যন্ত অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে চলেছে। কারাগারে রয়েছে শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী। শুধু ইসলামী আন্দোলন করার অপরাধে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস, বাড়ী ঘর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। প্রত্যাখ্যাত আদর্শের অনুসারীরা হত্যা, জুলুম, নির্যাতন চালিয়ে বাংলার জমিন থেকে ইসলামী আন্দোলনকে নির্মূল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়নি বরং বুমেরাং হয়েছে।
তিনি বলেন, বাতিলের হত্যা, জুলুম,নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করার কারণেই ছাত্রশিবির আজ বাংলার জমিনে দেশ ও ইসলাম রক্ষায় এক অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের নাম। বাতিলের ষড়যন্ত্র ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদেরকেও বাতিলের সকল প্রকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিয়েই ময়দানে কাজ করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে হত্যা নির্যাতন আমাদের ভীত করতে পারেনি বরং শহীদের প্রতিফোটা রক্ত আমাদেরকে এগিয়ে চলার গতিকে বেগবান করেছে। শত মায়ের আহাজারি আমাদেরকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে সহযোগিতা করেছে। হাজারো ষড়যন্ত্র আমাদেরকে মহান আদর্শের পথে দৃঢ় করেছে। কোন বাতিল শক্তি আমাদের দমিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা।
তিনি শাখার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা একটি বছর পার করেছি কিন্তু দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। আগামী দিনে সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সর্বাতœক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন