মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়ের পেছনে কাজ করেছিল মত-পথ-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ। এজন্যই সম্ভব হয়েছিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত শক্তিশালী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মাত্র নয় মাসে পরাজিত করা। কিন্তু এর পর ?
বিচারের নামে অবিচার। গায়ের জোরে রায় দিয়ে বিচারিক হত্যা। রাতের আধারে মুক্তি যোদ্ধের প্রকৃত যোদ্ধারের হত্যা। দেশপ্রেমিক নেতাদের , সেনা অফিসারদের গণহত্যা --- এর নাম কি স্বাধীনতা ?
বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিপাগল মানুষের প্রবল প্রতিরোধ আর লড়াইয়ের সময় কোনো ধর্মীয় নিরপেক্ষতা ছিল না। কারো এক নেতা এক দেশের কথা ছিল না। চেতনার বানিজ্য ছিল না। অধিকার আদায়ের নামে বাংলাদেশের মানুষ কে আগুনের মুখে ফেলে কেউ পাকিস্থান, কেউ ভারতে চলে যান। লড়াই করে বাংলাদেশের আপামর জনতা। কিন্তু যারা মহা ফুর্তিতে ভারতে এবং পাকিস্থানে সময় কাটিয়েছিলেন , তারা বাংলাদেশে ফিরেই দেশে সকল লড়াইয়ের বিজয়ের মালিক হয়ে গেলেন। সেটাই বাংলাদেশের মুক্তি যোদ্ধের তামাশা , প্রহসন, নির্মর পরিহাস।
পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক জোন-বি এবং ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর নেতৃত্বে ৯১ হাজার ৫৪৯ পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে।
মেজর জেনারেল জ্যাকবের তৈরি করা আত্মসমর্পণের দলিলে বিকেলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল নিয়াজী ও লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। মুক্তিযোদ্ধের প্রধান সেনাপতি , মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীকে আত্মসমর্পণের দলিলের অনুষ্ঠানে আসতে দেয়নি ভারত এবং তত্কালীন আওয়ামিলীগ।
ছিনতাই করা হলো মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধকে চিনিয়ে নিয়ে গেল ভারতীয়রা। পাকিস্তানি সেনাদের ফেলে যাওয়া এবং আত্মসমর্পনের কোটি কোটি টাকার অস্ত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় ভারত ।
বাংলাদেশের বুকে চেপে বসে একদলীয় বাকশাল। শুরু হয় স্বাধীন দেশে আরেক গণহত্যা।
রক্ষীবাহিনীর হাতে খুন হয় প্রায় ৩৫ হাজার বাংলাদেশী।
রক্ষীবাহিনীর হাতে খুন হয় প্রায় ৩৫ হাজার বাংলাদেশী।
সেই রক্ষীবাহিনীর উত্তরসুরি নেতারা বিনাভোটে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে চালাচ্ছে গণহত্যা।
দেশের সর্বস্তরের মানুষ আজ আইন বহির্ভূত , গণতন্ত্রহীন একটি দেশে নরকে করছে বসবাস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন