ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

পাইপে মানবদেহের অস্তিত্ব নেই, উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত !! অতঃপর ২৩ মিনিটে ২৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।


রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওয়াসার পরিত্যাক্ত পাইপে কোনো মানবদেহের অস্তিত্ব নেই সে বিষয়ে তারা অনেকটা নিশ্চিত বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা।
শুক্রবার বিকেলে শাহজাহানপুরে ওই পাইপে চার বছর বয়সী জিহাদ পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস।

রুদ্ধশ্বাস উদ্ধার অভিযান চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সময়ে সময়ে পাল্টানো হয় উদ্ধার কৌশল। টিভি চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচারে চোখ রাখা দেশবাসী জিহাদের জীবত ফেরার জন্য রীতিমতো প্রার্থনারত।
তবে রাতে রশিতে বেঁধে অনেকদূর পর্যন্ত ক্যামেরা নিয়ে ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের নিচের যে ছবি তোলা হয়েছে, তাতে কোনো মানবদেহের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। তবে ছবি এসেছে কাপড়, স্যান্ডেলের মতো আবর্জনার।
এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারকর্মী দলের সঙ্গে কথা বলে তার ধারণা হয়েছে যে পাইপের ভেতরে শিশুটি নেই।
তবে তারপর বিষয়টি নিশ্চিত হতে কাজ চালিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা। অভিযান শুরুর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ডিএডি মো. হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভেতরে কোনো ভিকটিম নেই।’
অথচ জিহাদ ভেতরে নেই বলে এখন দাবি করলেও শুক্রবার বিকালে ও সন্ধ্যায় তার কণ্ঠ শুনতে পাওয়ার কথা উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছিলেন। তাকে অক্সিজেন ও খাবার দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তারা।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে ডিএডি হালিম বলেন, ‘আমি ভোর ৪টার দিকে এসেছি। এর আগে আমাদের কে কী বলেছিল, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’
এদিকে, জিহাদের বাবা মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশ প্রহরী নাসিরউদ্দিনকে শুক্রবার ভোররাতেই পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। সকাল পর্যন্ত তাকে ছাড়া হয়নি।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তদন্ত এবং নিরাপত্তার স্বার্থেই তাকে আমাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তিনি আমাদের কাছে থাকবেন।’
যে স্থানে গভীর নলকূপে জিহাদ পড়ে গিয়েছিল বলে বলা হচ্ছে, সেই শাহজাহানপুর রেল কলোনির ৪১ নম্বর বিল্ডিংয়ে নাসিরের বাসা। নাসির রাতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে খেলতে জিহাদ ওই গর্তে পড়ে যায় বলে এক প্রতিবেশী তাদের জানিয়েছিলেন।
স্থানীয় গৃহবধূ রাহেলা ও আরিফ নামের এক কিশোরও সাংবাদিকদের একই কথা বলেন। তবে জিয়াদকে পড়তে দেখেছেন, এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান এখনো মেলেনি।
জিহাদের মামা মনির বলেন, ‘আসলে আমরা নিশ্চিত নই। আশে-পাশের লোকজন তাকে পড়তে দেখেছে বলেছিল। আর ফায়ার সার্ভিসও তো বলেছে- ও চারবার ওঠার চেষ্টা করেছিল, জুস খেয়েছে, অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে।’
১৪ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপে আড়াইশ মিটার গভীর পর্যন্ত ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর ভোররাতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি।
প্রথম দফায় পাইপের আড়াইশ মিটার গভীর পর্যন্ত ক্যামেরা নামিয়ে একটি কাপড়, স্যান্ডেল, কর্কশিটের টুকরো, টিকটিকি ও কাগজের মতো অবয়ব দেখা যায়। দ্বিতীয় দফায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সার্ভেইলেন্স আইপি ক্যামেরা নামিয়েও কোনো শিশুর দেহের অস্তিত্বের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

জিহাদের বাবাসহ ৪ জন থানায়


এদিকে পাইপের ভেতর কোনো মানুষের সন্ধান না পাওয়ায় এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই শিশু জিহাদের বাবাসহ ৪ জনকে মতিঝিল থানায় নেওয়া হয়।
এরা হলেন- জিহাদের বাবা মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নৈশ প্রহরী মো. নাছির উদ্দিন বকুল, পাম্পের পাইপে পড়ে যাওয়ার খবর দেওয়া শিশু পুষ্পিতা, তার বাবা জাহিদ, একই কলোনির প্রতিবেশী ফাতেমা।
ডিএমপির এডিসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের শাহজাহানপুর থানায় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শাহজাহানপুর থানায় জিহাদের বাবা নাছির উদ্দিন বলেন, পুষ্পিতার খবরের ভিত্তিতে বিষয়টি আমি সবাইকে জানাই। খবর পেয়ে প্রথমে আমরা টর্চসহ একটি প্লাস্টিকের রশি ভেতরে পাঠাই। ওই সময় সে তা দেখতে পায় বলে আওয়াজ দেয়। এমনকি ওর কান্নার আওয়াজ আমরা পেয়েছিলাম।

রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে আটকে পড়া জিহাদকে ২৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে।


ঘটনাস্থল থেকে সমকালের অপরাধ বিভাগের প্রধান সাহাদাত হোসেন পরশ ও সমকাল প্রতিবেদক আতাউর রহমান এ তথ্য জানান। তারা জানান, বিকেল ৩টার দিকে মজিদ, লিটু ও আনোয়ার নামে ৩ যুবক পাইপের ভেতর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এর ২মিনিট আগে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারের পরপরই শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে সমকাল প্রতিবেদক জয়দেব দাশ  জানান, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গেছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহজাহানপুরের রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন পানির পাম্পের ৩শ ফুট গভীর পাইপে পড়ে যায় চার বছরের শিশু জিহাদ।
প্রথমে শিশুটিকে রশি ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা হয়েছিল। তারপর রশিতে কাঠ বেঁধে দেয়া হয়। সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় রশির সঙ্গে পাইপে একটি বস্তা দেয়া হয়। সর্বশেষ ক্রেন দিয়ে পাইপটি টেনে তোলার চেষ্টা করা হলেও সেটি সফল হয়নি।
সর্বশেষ রাত ৩টার দিকে ৩শ' ফুট গভীর পাইপে শিশু জিহাদের অবস্থান জানতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা পাঠানো হয়।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলেন, ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকিটিকিও দেখা গেছে। কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকে। দফায় দফায় চলা অভিযানেও শিশুটির খোঁজ না পাওয়া উদ্ধার কাজ স্থগিত করে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, 'পাইপের ভেতরে শিশুটির কোনো অস্তিত্ব নেই। তারপরও মানবিক দিকে বিবেচনা করে আমরা অনুসন্ধান কাজ অব্যাবহত রাখি। তবে এখন পর্যন্ত বার বার অনুসন্ধানেও শিশুটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ফলে আমরা আপাতত উদ্ধার কাজ স্থগিত করছি।'
উৎসঃ সমকাল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন