সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান |
মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানসহ আরও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষাদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী সোমবার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ঢাকার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুন নাহার নিপুর শুনানি শেষে এ বিষয়ে পরে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে মামলায় সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম, দোহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল কবির ভূইয়াসহ ১০ জনকে সাক্ষি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার দোহার উপজেলার জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আবদুল মান্নান খান দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে যান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আবদুল মান্নান খানের নাম প্রচার না করায় সে ও তার ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে পদদলিত করেন। এরপর মঞ্চে টানানো ব্যানারে ‘নেত্রীর ছবি ও নাম কেন নেই কেন এমন প্রশ্ন করেন দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল করিম ভূঁইয়াকে গালিগালাজ করেন।
মঞ্চে যখন মান্নান খানের নেতৃত্বে এই নিন্দনীয় হামলা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার তা-ব চলছিল তখন সামনে উপস্থিত ৫ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার অনেকে যার যার অবস্থানে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানালে বাদীকেও তারা মারধর করেন।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের এ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুব্ধে মামলায় গত ২১ আগস্ট একটি মামলা করে দুদক। মামলায় আব্দুল মান্নান খান দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে চার লাখ ৫৯ হাজার ৫৯৭ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং তার আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৫ লাখ চার হাজার ২৬২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়।
উৎসঃ ঢাকাটাইমস২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন