মধ্য এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে পার্শ্ববর্তী রুশ ও পশ্চিমাপন্থী দেশগুলোকে উসকে দেয়া এবং ভারতকে এশিয়ার সুপার পাওয়ার হিসেবে সামনে অগ্রসর করার প্রচেষ্টা, যাতে এশিয়ার ইসলামী দেশগুলো এবং সেখানকার সক্রিয় ইসলামী সংগঠনগুলোকে নির্মূল করার পরিকল্পনা সহজেই বাস্তবায়ন করা যায় সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের বিরাট চক্রান্ত আর ধর্মবিমুখ পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করতে মহা আয়োজনে চলছে সেকুলার শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়নের জোর প্রচেষ্টা। তারই বাতাস বইছে আজ পুরোধমে বাংলাদেশে। পশ্চিমারা দেড়শো বছরের মধ্যে ৬০ হাজার এরও বেশি বই লিখেছে ইসলামের বিপক্ষে। তাহলে দেখা যায়, প্রত্যেক দিন ইসলামের বিপক্ষে একাধিক বই লেখা হয়েছে। আজকে বিশেষভাবে মুসলমানদের টার্গেট করছে মিডিয়া। যদি কোন মুসলমান মহিলা হিজাব পরেন, তাকে টার্গেট করা হবে। একই সাথে গির্জার নানকদের দেখেন তারাও একই রকম পোশাক পরেন, মুখ আর হাত বাদে পুরো শরীর ঢাকা। মানুষ তাদের শ্রদ্ধা করে কেন?
পার্থক্যটা কোথায়? যদি কোন মুসলমান দাড়ি রাখে, তার মানে হচ্ছে সে একজন সন্ত্রাসী। কিন্তু শিখরাও দাড়ি রাখে, তাতে কোন সমস্যা নেই। ওরা পাগড়ি পরে, তাতেও সমস্যা নেই। কানাডিয়ান একজন শিখ কোর্টে মামলা করেছেন এ কারণে যে, কানাডিয়ান আর্মিতে পাগড়ি খুলবে না বলে এবং তিনি মামলায় জিতেছিলেন। আর যদি কোন মুসলমান দাড়ি রাখেন মানুষ তখন অন্য কিছু ভাবে। দাড়ি কী ক্ষতি করতে পারে। একটা টুপি কী ক্ষতি করতে পারে? সিনেমা নাটকে এখনও সবচেয়ে খারাপ অভিনয়টির দাড়ি ও টুপি পরেই করানো হয়। যাতে নতুন প্রজন্ম মুসলান স¤পর্কে খারাপ ধারণাটি নিয়েই সমাজে বেড়ে ওঠে। আর আমাদের দেশের হুমায়ূন আহমদ সাহেবদেরতো ইসলামকে খোঁচা না মারতে পারলে নাটকই হালাল হয় এমন এক অবস্থা এখানে।
ডঃ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন