২০০৭ সালে লন্ডনে আসার পর প্রথমবারের শুধুমাত্র সাংবাদিকদের সাথে বসলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ইফতার পূর্ব আলোচনা সভা, প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং ইফতারের পরে ঘন্টাখানিক চলে আড্ডা। এসময় তারেক রহমানকে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে হয় তেমনি প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে চমৎকার আড্ডায় জমিয়ে রাখেন তারেক রহমান। আলোচনা ও প্রশ্নত্তর পর্বে তারেক রহমান যেমন বর্তমান সরকারকে অবৈধ বলে সমালোচনা করেন তেমনি ভবিষ্যতেরও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এসময় তিনি অনেক সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন করতেও দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার লন্ডনের সোনারগাঁও রেষ্টুরেন্টে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার লন্ডনের সোনারগাঁও রেষ্টুরেন্টে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করে যুক্তরাজ্য বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তারেক রহমান।
২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন চলে আসেন তারেক রহমান। তখন থেকে পরিবার নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।
ইফতার মাহফিলে লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক-সম্পাদকগন এতে উপস্থিত ছিলেন । বিএনপির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, মাহিদুর রহমান,যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক, সাধারন সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সাবেক সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুছ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এ সালাম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন, সত্যকে কখনো ঢেকে রাখা যায় না। হয়ত কিছুক্ষন মানুষকে বোকা বানানো যায় তারপর আর নয়।
তিনি দেশের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আমার প্রতি ও আমার দলের প্রতি অনেক অবিচার হয়েছে। দেশে আজ মানুষের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। তিনি সাংবাদিক সাগর রুনির হত্যার প্রসংঙ্গ তুলে ধরেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে ব্রিটেনের মত ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলবেন। সম্প্রতি শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরে ডিম, জুতা নিক্ষেপ করে দেশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করা হয়ছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী যখন ভোট ডাকাতি করে তখনও দেশের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হয়।
ইফতার পর্ব শেষে তারেক বেশ কিছুক্ষন সাংবাদিকের সাথে চা পর্বে আড্ডায় মেতে উঠেন। এসময়ও অনেক সাংবাদিক প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন এবং বিএনপির ভবিষ্য পরিকল্পনা জানার চেষ্টা করেন। এসব অনেক প্রশ্ন কর্তাকে তারেক রহমান পাল্টা প্রশ্ন করেন।
এসময় স্থানীয় এক সাংবাদিক জামায়াতের সাথে তারেক রহমান কিংবা দলের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা মিডিয়ার সৃষ্টি । মিডিয়া অনেক কিছু লেখে। আজ পর্যন্ত আমি কিংবা আমার দলের পক্ষ থেকে এমন কোন বক্তব্য আসেনি। তিনি বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেছেন জামায়াতের সাথে আগের মতই জোটগত ভাবে আমরা আছি। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসংঙ্গে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিচার হলে সবার মত আমরাও মেনে নিতাম। দেশে আইনের শাসন অনুপস্থিত। রাজনৈতিক কারনে অনেককেই ফাঁসি দেয়া হচ্ছে।
ইফতার মাহফিলে প্রায় ২শতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সাংবাদিক গন হচ্ছেন| লন্ডন বাংলা পত্রিকার সম্পাদক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, সাবেক সম্পাদক শাহ ইউসুফ, জনমতের প্রধান সম্পাদক নাহাস পাশা, নিউজ এডিটর মুসলেহ উদ্দিন, সায়েম চৌধুরী, চ্যানেল আই ইউরোপের ম্যানেজিং ডায়রেক্টর রেজা আহমদ ফয়ছল চৌধুরী সুয়েব, সুরমার পত্রিকার সম্পাদক আহমেদ ময়েজ, নিউজ এডিটর আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, বাংলা পোষ্ট ব্যারিষ্টার তারেক রহমান, লন্ডনবাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহিব চৌধুুরী, সাংবাদিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক শেখ মোজাম্মেল হোসেন কামাল, সময় নিউজ এর সাঈদ চৌধুরী, দেশ পত্রিকার সম্পাদক তাইছির মাহমুদ, চ্যানেল এস এর চিফ রিপোর্টার মোহাম্মদ জুবায়ের, এক্সিকিউটিব এডিটর সালেহ শিবলী, এটিএন বাংলা মোস্তাক আলী বাবুল, লন্ডন বিডিনিউজ২৪ এর চিফ এডিটর কামাল মেহিদী, সম্পাদক জাকির হোসেন কয়েছ, চ্যানেল এস এর সিনিয়র রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিল, বেতার বাংলার সিইও নাজিম চৌধুরী, নিউজ এডিটর সৈয়দ শাহ সেলিম আহমদ, সাপ্তাহিক পত্রিকার মতিউর রহমান চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলা মিররের সম্পাদক আব্দুল করিম গনি, একাত্তর টিভির লন্ডন প্রতিনিধি তানভির আহমদ, ইকরা টিভির অনুষ্ঠান প্রধান হাসান হাফিজুর রহমান, দর্পন সম্পাদক রহমত আলী, বাংলাদেশ প্রতিদিন যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি আ স ম মাসুম, বাংলা সংলাপ মোশাহিদ আলী, বাংলা নিউজ এর সম্পাদক সুয়েব কবির, দ্যা গ্লোবাল নিউজ২৪ এডিটর নাজমুল হুসাইন, লন্ডন বাংলা কলামিস্ট এনাম চৌধুরী সহ অনেক সাংবাদিকবৃন্দ ৷ যুক্তরাজ্য বিএনপির মিডিয়া সেল এর তাজ উদ্দিন, আক্তার হোসেন, ড. মুজিবুর রহমান, নাজমুল হোসেন জাহিদ, ব্যারিস্টার জোহা, আক্তার মাহমুদ। এছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আলহাজ্ব তৈমুছ আলী, উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান মুজিব, মঞ্জুরুস সামাদ চৌধুরী, তাজুল ইসলাম, বিএনপি নেতা কামাল আহমদ, মাহতাব হোসেন, খছরুজ্জামান খছরু, আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নাসির আহমদ শাহীন, সচিব আবুল হোসেন, যুবদল আহবায়ক দেওয়ান মোকাদ্দেম চৌধুরী নিয়াজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন