ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

কনে বেচাকেনার হাট


বিয়ে করবেন? কনে পাচ্ছেন না? সমস্য কী! লাইন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সুন্দরীরা। কেউ রূপচর্চা করছেন। কেউ আবার নিজেদের পোশাক-আশাকের সাথে স্বর্ণালঙ্কার ঠিক করে নিচ্ছেন। 
মনে হতে পারে হয়তো তারা কোনো সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নেমেছে। আদতে তা নয়। অবাক করার মতো বিষয় যে, নতুন সঙ্গী (স্বামী) খোঁজার জন্য তাদের ওই হাটে তুলেছেন তাদের মা-বাবারা।
ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ বুলগেরিয়ায় স্টারা জোগরা শহরের একটি উন্মুক্ত মার্কেটের চিত্র এটি। প্রতিবছর চারবার বসানো হয় এই হাট। রোমা সম্প্রদায়ের (স্থানীয় ভাষায় কালাইদেঝি) গরিব মা-বাবারা তাদের মেয়েদের হাটে তোলেন। এ জন্য মেয়ের বিয়ের সব খরচ বাবা-মাকে দিয়ে থাকে ওই সম্প্রদায়ের একটি ইউনিয়ন।
যুবকরা কনে পছন্দ করতে আসেন ওই হাটে। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকেন সেখানে। উপস্থিত মেয়েদের মধ্য থেকে কনে পছন্দ করেন ছেলেরা। পরে পরিবারের পছন্দ ও সম্মতির পরই তাদের বিয়ে হয়।
এক বছরে চারবার ‘কনে হাট’ বসানো হয়। রোমান যাজকের কৃপা পাওয়ার আশায় ধর্মীয় ছুটির দিন এবং বসন্ত ও গ্রীষ্মে ওই হাট বসানো হয়। হাটে আসা যুবক-যুবতীরা শুধু খোশগপ্প করারই সুযোগ পান না, নিজেরা ম্যাচমেকারের ভূমিকায়ও অবতীর্ণ হন তারা।
কনজারভেটিভ সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা এই সুযোগে একে অন্যকে ধরে নাচে, গান গায় ও নানা ফুর্তিতে মেতে ওঠে। ছবিতে পোজ, এমনকি হালকা পানীয়ও পান করে তারা।
তা¤্রলিপির যুগ থেকে ঐতিহ্যগতভাবে এভাবেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে আসছেন বুলগেরিয়ার প্রাচীন রোমা সম্প্রদায়ের পরিবাররা।
তবে এক মেয়ের বিয়ের পেছনে আড়াই থেকে সাড়ে চার হাজার পাউন্ড খরচ করতে হয় সম্প্রদায়ের ইউনিয়নকে। নিজেদের ঐতিহ্য রক্ষার কথা ভেবে এভাবেই নিজেদের সন্তানদের হাটে তুলছেন পিতা-মাতারা।
সূত্র : ডেইলি মেইল। নয়া দিগন্তের সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন