আইসিসি চেয়ারম্যান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন, প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন ও সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল
আইসিসি সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন আইসিসি চেয়ারম্যান ও কার্যকরী প্রধান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। ফাইনালে পুরুস্কার বিতরণে আমন্ত্রণ না জানানোয় কামাল ক্ষুব্ধ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিস্বরূপ এই একশন শ্রীনিবাসনের।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ নিয়ে। ম্যাচে ভারতের পক্ষে বেশকিছু উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয় দুই আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি। কার্যতই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আম্পায়ারদের সামান্য সমলোচনা করেন আইসিসি সভাপতি ও বিসিবির সাবেক প্রধান মুস্তফা কামাল। অসুন্তষ্টি জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তবে এতে কামালের ওপর ব্যাপক ক্ষেপে যান আইসিসির ভারতীয় কর্তা শ্রীনিবাসন। সাথে সাথেই সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে দিয়ে কামালের বিরুদ্ধে বিষেদগার করান। এছাড়াও, হিংসাপ্রসুত হয়ে ফাইনালের আগে এক অনির্ধারিত সভা ডেকে নিজেই অপমান করেন কামালকে, যিনি কিনা বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রীও। সাফ জানিয়ে দেন, কামালকে ফাইনালে পুরুস্কার দিতে দেওয়া হবেনা। যদিও আইসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই অধিকার ছিল কামালের।
তবে সেখানেই শ্রীনিবাসন থামেননি, আবার চরম ঐদ্ধত্য দেখিয়ে নিজেই ফাইনালে পুরুস্কার বিতরণ করলেন, যদিও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও তার থাকার কথা নয়।
একটি দেশের মন্ত্রী হিসেবে তার সাথে ভারতের এক জুয়ারী ব্যবসায়ীর এহেন আচরণে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ হন কামাল। শ্রীনিবাসনের গোমর ফাঁসের হুশিয়ারী দেন তিনি।
তাই তাকে নতুন শাস্তি হিসেবে এবার সভাপতি পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা শ্রীনিবাসনের। এ জন্য ইতিমধ্যেই সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক পরিকল্পনা হিসেবে রেখেছেন আম্পায়ারদের দিয়ে মামলা করিয়ে কিংবা বোর্ড মিটিং ডেকে আরও অপমান করা, যাতে কামাল নিজ থেকেই সরে দাঁড়ান। এতে কাজ না হলে আছে বিকল্প নোংরা ব্যবস্থা।
জানা গেছে, আইসিসির সভাপতি পদ বাংলাদেশ অর্থাৎ কামালের হাতে যাওয়া নিয়ে শুরু থেকেই চরম হিংসা ছিল ভারতের। বাংলাদেশকে শ্রীলংকা ও পাকিস্তান সমর্থন করায় পদটি দখল করতে ব্যর্থ হয় ভারত।
তখনই শুরু হয় তাদের নোংরামি। কূটকৌশলের মাধ্যমে আইসিসির গঠনতন্ত্র বদলিয়ে সভাপতির সকল ক্ষমতা দেওয়া হয় চেয়ারম্যানকে, যে পদটি দখল করে নেয় ভারত।
এরপরই বিশ্ব ক্রিকেটে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্যেগ নেয় ভারত। বেশ কিছু ম্যাচেই প্রভাব-বলয়কে কাজে লাগিয়ে জিতে নেয় “টিম ইন্ডিয়া”। পরিকল্পনা ছিল যে করেই হোক বিশ্বকাপ আবারও জিততে হবে তাদের, তা চুরি করেই হোক না কেন! এ জন্য হ্যাশট্যাগ #WontGiveItBack চালু করে তারা। অর্থাৎ বিশ্বকাপ এবার তারা আর ফেরত দিচ্ছেনা!
তবে এই পরিকল্পনাতেই বাধ সাধেন মুস্তফা কামাল। সমলোচনার দরুন আর চুরি করার সাহস পায়নি অস্ট্রেলিয়ার সাথে। ফলসরূপ অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলারদের সামনে দাড়াতেই পারেনি ভারতীয় “কাগুজে বাঘরা”। আর তাই এবার প্রতিশোধ বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়ারও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা আছে শ্রীনিবাসনের। ভবিষ্যতি বলে দেবে বাংলাদেশের ভাগ্যে কি আছে।
উৎসঃ তাজা খবর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন