কক্সবাজারে কর্তব্যরত এক সংবাদকর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে জেলা সদর হাসপাতালের ইন্টার্নি ডাক্তার নামধারী ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। ১৫ মার্চ রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতালে কর্তরত ইন্টার্নি ডাক্তার মারুফ ও ফরহাদ এ হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে জানান আহত সংবাদকর্মী হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, এরা ডাক্তার নামধারী ছাত্রলীগ ক্যাডার। তাদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক বেদম মারধরের পর জরুরী বিভাগের সিটে ফেলে রাখে। এ দিকে একজন সংবাদকর্মীর উপর হামলার খবর পেয়ে সহকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। তবে তাৎক্ষণিক ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত কয়েকদিন ধরে কতিপয় ইন্টার্নি ডাক্তার হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছে। তারা অনেক সময় মারমুখো হয়ে উঠে। সন্ত্রাসী আচরণ করছে। হাসপাতালের দেওয়ালে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য সেটে দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতার সর্বশেষ সংযোজন সাংবাদিকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটলো।
উল্লেখ্য, গত ১২মার্চ খুরুস্কুল হামজার ডেইল এলাকার আনোয়ার হোসেনের শিশু পুত্র আব্দুল্লাহকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয় বলে অভিযোগ উঠে। এই ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচার হলে ঐ ইন্টার্নি ডাক্তারেরা সংবাদ কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরের দিন জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার রতন চৌধুরীর অনুরোধে সাংবাদিকদের সাথে ডাক্তারদের সমঝোতা বৈঠক হয়। বৈঠকে শিশু মৃত্যুর ঘটনার জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঐ কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে শিশু মৃত্যুর আসল রহস্য বের করে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়। কিন্তু ইন্টার্নি ডাক্তারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সন্ত্রাসীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের দিকে বার বার তেড়ে আসে। উক্ত সংবাদের জের ধরে ১৫ মার্চ রাত ৯টার দিকে সন্ত্রাসী হামলা চালায় ঐ ইন্টার্নি ডাক্তারেরা। ডাক্তার মারুফের প্রত্যক্ষ ইন্দনে সন্ত্রাসী ফরহাদসহ ২০/২৫জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক হারুনুর রশিদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সে গুরুত্বর আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে, ইন্টার্নি ডাক্তাররা চোর ছিনতাইকারীর মতো লোহার রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে কর্তব্যরত সাংবাদিককে। এসময় কয়েকজন ছুরা হাতেও আঘাত করে তাকে। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীর মতো তারা সাংবাদিকের ১টি মূল্যবান ক্যামরা, নগদ ১০হাজার টাকা,রেবন চশমা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফেলে রাখা হয়।
আহত সাংবাদিক হারুনুর রশিদ জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হাসপাতালের ডাক্তার মারুফের প্রত্যক্ষ ইন্দনে ইন্টার্নি ডাক্তার নামধারী সন্ত্রাসী ফরহাদের নেতৃত্বে ২০/২৫জন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার পর হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলা করে আমাকে জরুরী বিভাগে ফেলে রাখে ডাক্তারেরা।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে আহত হারুন ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান। অপরদিকে হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসকের সাথে কথা বলতে চায়লেও তারা সাড়া দেননি। আরএমও ফোন রিসিভ করেননি।
enewsbd24.com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন