ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচনে দখলদার ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ ও র্নিদলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহনে নির্বাচনের দাবীতে ২০ দলীয় জোটের ডাকে দেশব্যাপী চলমান অবরোধ সফল করায় নগরবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার হত্যা করে সরকার শক্তি দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। গণহত্যা, গুপ্তহত্যা, গণনিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় লুন্ঠনের দায় থেকে নিজেদের বাঁচাতেই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনতেই সারাদেশে নৈরাজ্য শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংেকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দেয়া তথ্যমতেই বিনাভোটের দখলদার সরকার গত বছরে অন্তত ১৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে এসব লুন্ঠনের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সেই ভয়ে ক্ষমতা আকড়ে রাখতেই সারাদেশে নৃশংস নির্যাতন চালাচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বাসা থেকে,রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সামনে বোমা ও অস্ত্র সাজিয়ে জঙ্গী ফটোসেশন করে চরিত্র হনন করছে। এধরনের জঙ্গবাদী ফটোসেশন করে সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবেনা।
মাওলানা খান বলেন, জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরাতেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে দলদাস কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করাচ্ছে। কিন্তু অন্যদিকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিরোধীদলের যেসব নেতা উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মিথ্যা মামলায় আটক করে বরখাস্ত করে শাসকদলীয় লোকদের সেসব পদে বসাচ্ছে। নির্বাহী আদেশে গণতন্ত্র হত্যাকারী এই সরকারকে এসব প্রতিটি বেইনসাফীর পরিণতি ভোগ করতে হবে। পতনের শেষ বেলায়ও লুন্ঠনের নেশা ত্যাগ করতে পারছেনা। তাই মঙ্গলবারও শাহবাগ বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডারবাজি নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বন্দুক যুদ্ধে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্য ছাত্রলীগ যুবলীগের এসব সন্ত্রাসীদের কাউকে গ্রেফতার করতে দেখা গেলনা কেন জনগন তা জানতে চায়। আসলে জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় পরিচালিত এ বাহিনীর প্রধান কাজ জনগনের নিরাপত্তা বিধান ও হলেও তারা এখন সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীদের দমনের কাজেই তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।
জামায়াত নেতা তাঁর বিবৃতিতে আরো বলেন, সরকার এখন এতই জনবিচ্ছিন্ন যে বিরোধীদলের যে কোন ব্যানার এমনকি সাধারণ বহুতল ভবনকেও তারা ভয় পেতে শুরু করেছে। ক্রিকেট দলের সাফল্যের বিষয়ে গুলশানে ব্যানার টাঙাতে গেলে ২ জনকে আটক এবং আজ নগরীর পল্লবীতে আনন্দ মিছিলে পুলিশের বাধা ও আক্রমনের তীব্র নিন্দ্রা জানান মহানগরী আমীর।
যাত্রাবাড়ি পশ্চিম থানার ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন ও যাত্রাবাড়ি পূর্বের ওয়ার্ড সেক্রেটারী হাফেজ ফরিদ উদ্দিন এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ছাত্র সায়েদুল ইসলাম খান, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ছাত্র হাসান রাব্বি ও সিটি কলেছের ছাত্র নাকিবুল আরেফিনকে যাত্রাবাড়ি ও কদমতালী থানা পুলিশ গত রাতে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৩ ছাত্রকে এখনও আদালতে হাজির করা হয়নি।
তিনি বলেন, গুম-খুনের লাশের স্তুপ দিয়ে সরকার তার পতন ঠেকাতে পারবেনা। দখলদার সরকারের প্রতিহিংসার কারণে প্রতিটি মানুষ এখন ফুঁসে উঠেছে। গণতন্ত্র ও গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান পতন ঘটাতে পুরো জাতি এখন প্রস্তুত। অবিলম্বে পদত্যাগ না করে শেষ মূহুর্তেও নিপীড়ন চালালে দখলদার সরকার ও তার দোসরদের ইতিহাসের মর্মন্তুদ পরিণতি ভোগ করতে হবে। চলমান হরতাল ও বৃহষ্পতিবার গণমিছিল সফল করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন