ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

সিরাজগঞ্জে ৩ জামায়াত কর্মীকে আটকের পর ২ জনকে শত শত লোকের সামনে পুলিশের গুলী


সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা : গতকাল শনিবার দুপুরে আবাসিক হোটেল সনিতে বাবুর্চির কাজে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ ৩ জামায়াতের কর্মীকে আটক করে। আটককৃতরা হলো সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার শহিদগঞ্জ এলাকার মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে সাইদুর রহমান ওরফে ট্যাংকী সাইদুর (২৫), আব্দুল মাজেদের ছেলে রফিকুল ইসলাম কালা (২৬) এবং মৃত আবদুল্লাহর ছেলে আবু নোমান (২৪)। পুলিশ শনিবার দুপুরে শহরের সনি হোটেলে অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ট্যাংকী সাইদুর এবং কালা পুলিশের হাতে গুলীবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশী হেফাজতে তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, জেলা শহরের চাল পট্টির সনি আবাসিক হোটেলে শনিবার সকাল থেকে জামায়াত-শিবিরের কতিপয় নাশকতাকারী শহরে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ দুপুর ২ টার দিকে সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় গুলীবিদ্ধ অবস্থায় ২ জনসহ ৩ জামায়াতকর্মীকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৩টি তাজা ককটেল উদ্ধারের দাবি করে পুলিশ। ঘটনায় বড় বাজার ও আশেপাশের এলাকায় এবং শহরবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 
তাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর মাওলানা শাহীনুর আলম, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম একযুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল দুপুরে জামায়াতের কর্মী কালা, সাইদুর, নোমান একটি প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরীর হাল খাতা অনুষ্ঠানে বাবুর্চীর কাজ করছিল। নাশকতার প্রশ্নই উঠেনা, শহরের ভিআইপিদের হালখাতার অনুষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় পুলিশ তাদের আটক করে। এভাবে পুলিশের আচরণের কারণে জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। তারা পেশায় বাবুর্চী। হাল খাতায় আমন্ত্রিত মেহমানদের খাওয়ার সময় পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে এবং কর্মরত অবস্থায় তাদেরকে আটক করে। নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ শহরের প্রাণকেন্দ্রতে অবস্থিত হোটেল সনিতে মেহমান ও বানিয়া পট্টিতে শত শত মানুষের সামনে আটককৃত সাইদুর ও কালার পায়ে গুলী করে তাদের হাসপাতালে নেয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ বিনা কারণে আটক, আটকের পর পায়ে গুলী করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। হত্যা, গুম, খুন করে কোন সরকারই ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকতে পারেনি। নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদান করা তা না করে পুলিশ জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আটকের পর মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পিত গুজব ছড়িয়ে জনগণের মাঝে জামায়াতের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার কাজ চলছে। নেতৃবৃন্দ এহেন কর্মকান্ড থেকে পুলিশকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন