ঢাকার নিউজ-১৮ মার্চ ২০১৫: ঝিনাইদহ জেলায় বিএনপি-জামায়াতের প্রায় ১০/১৫ হাজার নেতাকর্মী একাধিক মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের কেউই বাড়িতে ঘুমাতে পারেন না। এলাকা ছেড়ে অনেকে অন্য জেলায় আত্মগোপনে করেছেন। আবার কেও দেশ ছেড়েছেন গুম হওয়া বা গুপ্ত হত্যার ভয়ে। তৃনমুল পর্যায়ে বিএনপি ও জামায়াতের বহু নেতাকর্মী আর্থিক ভাবে দেওলিয়া হয়ে পেড়েছেন। দলদারী করতে গিয়ে অনেকের সংসার প্রায় অচল। মামলা হামলায় জর্জরিত দল দুইটির নেতাকর্মীরা এখন বিচ্ছিন্ন। দিক নির্দেশনা দেওয়ার মতো শক্ত কোন নেতা নেই বললেই চলে। সবার মোবাইল বন্ধ। টাকা দিতে হবে বলে আর্থিক দুর্দশাগ্রস্থ নেতাদের এড়িয়ে যাচ্ছেন এমন অভিযোগও উঠেছে। এদিকে দলীয় ভাবে কোন সহায়তা না পেয়ে মহেশপুর কোটচাঁদপুর এলাকার বহু নেতাকর্মী জমি বিক্রি করে মামলা চালাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে কদাচিত ঝিনাইদহ শহর ছাড়া আর কোন উপজেলায় বিএনপির দলীয় কর্মসুচি তেমন একটা পালিত হয় না। বসন্তের কোকিল খ্যাত মহেশপুরের নেতারা তৃনমুলের কোন খোজ রাখেন না। এমনকি একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত নেতারাও। দলীয় কর্মসুচিতে টাকা জোগান হচ্ছে না। সব খানেই যেন ভাটার টান। ফলে তৃনমুলে হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দল পরিবর্তন নয় তো সরকারী দলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলছেন। নেতা কর্মীরা গ্রামে বসবাস করলেও হয়ে আছে নিজ ঘরে পরবাসি। জানা গেছে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান, জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, মুন্সি কামাল আজাদ, আব্দুল মজিদ, আব্দুল আলীম, জাহিদুজ্জামান মনাসহ নেতৃত্বস্থানীয়রা এখন আত্মগোপনে। অন্যদিকে দুই বছর ধরে নিরুদ্দেশ রয়েছেন জেলা জামায়াতের আমীর ড. মুজাম্মিল হক। টিকি দেখা যায় না জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ, অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, আব্দুল আলীমসহ অন্যান্যদের। জেলা নেতাদের এই আত্মগোপনের রাজনীতি সাধারণ নেতাকর্মীদের চরম ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। বিএনপি ও জামায়াতের জেলা, থানা, পৌর, ওয়ার্ড এমনকি গ্রামের নেতারাও রয়েছে পুলিশের নজরদারীতে। তাই গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই পালিয়ে রয়েছেন। ঝিনাইদহের পুলিশ অবশ্য মামলাগুলোকে ‘রাজনৈতিক’ বলতে নারাজ। তাদের ভাষায় ‘নাশকতা ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই পুলিশের কাজ’। তবে নাশকতা সৃষ্টিকালে পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে ধরতে না পারলেও চলমান পুলিশি অভিযানে গ্রেফতারকৃতদেরকে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে। পুলিশের সন্ত্রাস ও নাশকতা বিরোধী অভিযানে শাসকদল খুশি হলেও টানা দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। রাতদিন সড়ক ও দোকানপাট পাহারা দিতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে। তবে পুলিশ আন্দোলন ও নাশকতা দমনে ঝিনাইদহে সফল হয়েছে। জানা গেছে গত ৬ জানুয়ারি ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ ঘোষণার পর ঝিনাইদহে কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রোলবোমা মারার ঘটনা ঘটে। এ সব ঘটনায় মামলা হয়। মামলায় আসামি করা হয় খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক এবং থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমকে। এক মামলায় ঘায়েল হয়ে শহর ছেড়েছেন এ সব নেতারা। এসব মামলার অন্যান্য আসামিদের অনেকেই এক বা একাধিকবার কারাগারে গেলেও আর্থিক ভাবে শক্তিশালী নেতারা জেলের ভয়ে আয়েশি পলাতক জীবন কাটাচ্ছেন। সুত্র মতে সারা জেলায় ২২ মামলায় বিএনপির ১১০ জন ও জামায়াতের ৯৮ জন গ্রেফতার হয়েছেন। দুই দল থেকে দাবী করা হয়েছে তাদের ১২”শ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ দশ হাজার জনের নামে মামলা হয়েছে। তার পরও নেতাকর্মীদের দাবি সরকার পতন আন্দোলন চলমান রাখা এবং উচ্চ পদস্থ নেতাদেরকে রাজপথে সক্রিয় হওয়া।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স
লেবেল
- খবর
- মতামত- বিশ্লেষণ
- বিবৃতি
- রাজনীতি
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
- আন্তর্জাতিক
- প্রচ্ছদ
- আইনশৃঙ্খলা
- শোক সংবাদ
- বিবিধ
- স্মৃতি
- আইন-আদালত
- জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- শিক্ষা
- ডেমোক্রেসি
- ইসলাম
- স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- ইসলামী আন্দোলন
- সাহিত্য-সংস্কৃতি
- হাদীসের বাণী
- শীতবস্ত্র বিতরণ
- সভ্যতা
- ইতিহাস
- গল্প
- মিডিয়া
- শোকবাণী
- খেলাধুলা
- জাতীয়
- IIUC News
- চিঠি
- কৃষি
- দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
- প্রবাস
- গবেষণা
- আবিস্কার
- কুরআন
- সম্পাদকীয়
- বাণী
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- সাইবার ক্রাইম
- দারসুল কুরআন
- ব্রেকিং নিউজ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন