ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০১৫

গভীর রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রাবাস ও মহসিন কলেজ থেকে ঘুমন্ত ছাত্রদের আটক,পুলিশের কথিত অস্ত্র উদ্ধার নাটকে নগর শিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ছাত্রাবাসে গভীর রাতে পুলিশী তল্লাশীর নামে ঘুমন্ত ছাত্রদের আটক ও কথিত অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানোর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি নুরুল আমিন ও নগর দক্ষিণ সভাপতি এম.এইচ.সোহেল। যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য সরকারী মদদে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী উঠে পড়ে লেগেছে। এজন্য তারা আবাসিক ছাত্রদের হয়রানী করতেই গভীর রাতের অন্ধকারে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানীতে হানাদার বাহিনীর মতো ঘুমন্ত ছাত্রদের আটক করেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শুধু ছাত্রদের আটক করে ক্ষান্ত হয়নি সে সাথে কলেজ দু’টির বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ নস্যাৎ করার জন্য কথিত অস্ত্র,গোলা বারুদ উদ্ধারের শতাব্দী নিকৃষ্ট জঘন্য মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে। কলেজের সুনাম নষ্ট করতে ইতোপূর্বে আ’লীগ ক্ষমতার মসনদে আরোহনের পর যতবারই পুলিশী অভিযান চালিয়েছে ততবারই তাদের হীন আকাক্সক্ষা ব্যর্থ হওয়ায় এবার রাতের গহীনকে বেছে নিয়েছে। অভিযান চলাকালে পুলিশ ছাত্রদের আটক করে নিয়ে যাবার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ,গণমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে শিক্ষক ডরমেটরীর পাশে মাটির ভেতর থেকে কথিত অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানোয় কলেজের হাজারো ছাত্র ছাত্রী,অভিভাবক ও সচেতন সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মৌলিক অধিকার আদায়ে জনতার নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বেসামাল হয়ে অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দেশ সেরা এ দু’কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার জন্য এ ধরণের ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী জালিম সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাদের সেবাদাস বানিয়ে গভীর রাতে ছাত্রাবাস থেকে ঘুমে থাকা শতাধিক নিরীহ ছাত্রদের আটক করে তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করছে। আটককৃতদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ছাত্র আগামী এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া এইচ,এস,সি ও সম্মান ১ম বর্ষের পরীক্ষার্থী। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন বর্বর আচরণে কলেজ পড়–য়া ছাত্রদের মাঝে গভীর শংকা দেখা দিয়েছে। জনগণের খাজনার টাকায় লালিত এসব কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের সেবা পরিত্যাগ করে দলীয় কর্মীর মতো আচরণ করে চলেছে। যেটি কখনো সভ্য সমাজে করো কাম্য নয়। শিবির নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন একটি আদর্শিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রশিবির কখনো অস্ত্র, গোলাবারুদের রাজনীতি করেনা। ছাত্রশিবির কর্মীরা পড়া লেখার মাধ্যমে নিজেদের চারিত্রিক মানকে উন্নততর করার মধ্য দিয়ে সমাজ,দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে বদ্ধপরিকর। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে কথিত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা সরকার ও তাদের সেবাদাস পেঁটুয়া বাহিনীর সম্পূর্ণ সাজানো নাটকেরই অংশ। যা দেশের সচেতন মহল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা কলেজ দু’টির ভাবমূর্তি নষ্ট ও দেশবাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই এহেন জঘণ্য কান্ডের অবতারনা করেছে। নেতৃবৃন্দ সরকার ও সরকারের দোসরদের এমন ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার কাজ থেকে বিরত থাকার এবং এ কাজে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জোর দাবী জানান। একই সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবৈধ আওয়ামী সরকারের আনুগত্য বাদ দিয়ে জনগণের মনের ভাষা,অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে বলেন। সে সাথে একপেশে নয় বরং বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করার জন্য গণমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন