২১ মার্চ ২০১৫: গুম, খুনের সাথে জড়িত সরকার পাক হানাদার বাহিনীর মতো এমন বর্বর শাসন করছে। তাদের বাধা না দিলে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যে সাথীরা মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছেন তাদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে।তাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণী-পেশার জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
শুক্রবার রাতে এমন বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাদীন ২০ দলীয় জোটের মুখপাত্র বরকত উল্লাহ বুলু।
বিবৃতিতে তিনি বলেন “প্রার্থীর কৃত্রিম অভাবে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা এবং বাস্তব কারণে অবশিষ্ট আসনগুলোর নির্বাচনী প্রহসনে ভোটারদের অনুপিস্থিতি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির তথাকথিত নির্বাচনকে সর্বকালের এক নিকৃষ্ট কৌতুকে পরিণত করলেও সেই নির্বাচনের সুবাদে ক্ষমতাসীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার বক্তৃতা বিবৃতিতে লাজ-লজ্জার লেশমাত্র না দেখে দেশবাসীই লজ্জিত ও ক্ষুব্ধ।
জনগণের ভোট তথা সমর্থনহীন সরকার তার অবৈধ শাসনকে যথাসম্ভব দীর্ঘায়িত করার জন্য ক্রমাগত গুম, খুন, অপহরণ, আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছা অপব্যবহার এবং গণগ্রেফতার চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গুম করে তা অস্বীকার করার ঘটনা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি জনাব ইলিয়াস আলী, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, বিএনপি নেতা পারভেজ এবং ঢাকার নির্বাচিত কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকার দলীয় নেতাদের নিষ্ঠুর রসিকতা এবং কা-জ্ঞানহীন বক্তব্যে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ।
সরকারের সমালোচনা করে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, গতকাল সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য মিসেস হাসিনা আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে তার কষ্টের কথা বলার জন্য তার কার্যালয়ের গেইটে গেলেও তাকে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি। স্মারকলিপিটি কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে গ্রহণ করার মতো সৌজন্যও দেখানো হয়নি। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছেন একজন অফিস সহকারী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে প্রধানমন্ত্রীকে চোখ মুছতে দেখে যারা আপ্লুত হয়েছেন তারা ক্রসফায়ার কিংবা সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত মানুষের হত্যায় প্রধানমন্ত্রীকে বিচলিত হতে না দেখে কিংবা গুম হয়ে যাওয়া একজন সাবেক নির্বাচিত এমপি, মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতার স্ত্রীর আকুল আর্তনাদ তাকে স্পর্শ না করায় বিস্মিত হতে হয়।
বুলু বলেন, দেশের একজন স্বনামখ্যাত সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি জনাব মাহমুদুর রহমান মান্নার স্ত্রী গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশি হেফাজতে তার স্বামীর উপর নির্মম নির্যাতনের কথা বলে দেশবাসীকে গ্রেফতারকৃত অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে রিমান্ডে নিয়ে কেমন আচরণ করা হয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
উৎসঃঢাকার নিউজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন