চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট বাংলাদেশকে খাদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গভীর খাদে পড়লে মানুষ বাঁচতে নানা পদ্ধতি খুজে। কিন্তু এই রাষ্ট্রটি খাদ থেকে উঠে আসতে পারবে কি! নাকি রক্তে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের অপমৃত্যু হবে! গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার রাষ্ট্রের সকল মেশিনারির অপব্যবহার করছে। ক্ষমতায় আকড়ে থাকতে রাজনীতির চেয়ে রাষ্ট্রীয় মেশিনারি হচ্ছে তাদের মূল হাতিয়ার। রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন শক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের লক্ষ্যে। যে সকল প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষ দমনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা তাদের দায়িত্ব নয়। কারো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন করা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর কাজ হচ্ছে নির্ধারিত বিধি বিধান এবং আইন অনুযায়ী সকলের সমান অধিকার গুলো নিশ্চিত করা। নাগরিক ও মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নাগরিকের পাশে দাড়ানো। সরকার কোন কারনে বেপরোয়া হয়ে উঠলে ভারসাম্য রক্ষা করতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলো দায়িত্ব পালন করার কথা। অথচ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে এখন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মূল টার্গেট। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি বা কর্মী, সমর্থক নয়, মূল শক্তি হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। বিচরালয়, পুলিশ, র্যাব থেকে শুরু করে সবই ব্যবহৃত হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ক্ষুদ্র কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়ে যাবে।
গত ৭ মার্চ গভীর রাত থেকে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মূখপাত্র সালাউদ্দিন আহমদ নিখোঁজ। তাঁর পরিবারের দাবী হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তাঁর স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমদের বর্ণনা অনুযায়ী প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁকে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন আহমদকে ধরে নিয়ে গেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঢাকার উত্তরায় ৩ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সালাউদ্দিন আহমদের স্ত্রীকে সেই বাড়ির কেয়ারটেকার জানিয়েছে যারা ধরে নিয়ে গেছেন তারা হলেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক। গভীর রাতে বাড়িতে প্রবেশে বাঁধা দিলে কেয়ারটেকারকে ডিবির পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন তারা। এছাড়া কেয়ারটেকারকে মারধরও করা হয়েছে তখন। এই ঘটনায় ভীত হয়ে বাড়িটির মালিক পরের দিনই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। হাসিনা আহমদের বর্ণনা অনুযায়ী বাড়ির মালিকও তাঁকে পুরো ঘটনা বলেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কিভাবে সালাউদ্দিন আহমদকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেটা ফোনে জানিয়েছেন বাড়ির মালিক।
একা হাসিনা আহমদের বর্ণনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাম উঠে আসেনি। দৈনিক মানব জমিনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে ঘটনার সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জড়িত থাকার কথা। গত সোমবার মানব জমিনের অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। ‘প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় সেই রাতের ঘটনা’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি পাঠ করলেই বোঝা যায় কারা সালাউদ্দিন আহমদকে ধরে নিয়ে গেছেন। ঘটনার বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছেন ওই প্রতিবেদক। বাড়িটি পরিদর্শন করে কাজের লোক থেকে শুরু করে কেয়াটেকার, পাহারাদার সবার সাথেই প্রতিবেদক কথা বলেছেন। তাদের জবানীতে উঠে এসেছে কারা কিভাবে সালাউদ্দিনকে নিয়ে গেছেন। বাড়ির কেয়ারটেকার, রাস্তায় টহলরত ওই মহল্লার পাহারাদার এবং সংশ্লিস্ট প্রত্যক্ষদর্শী আরো কয়েকজনের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে এতে। তারা দেখেছেন নিয়ে যাওয়ার সময় চোখ এবং হাত বাঁধা ছিল।
ঘটনার পর ৮দিন পার হয়ে গেল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলোর কোন প্রতিষ্ঠান স্বীকার করছে না। বরং সালাউদ্দিনকে পাওয়ার জন্য তাঁর স্ত্রী হাইকোর্ট বিভাগে একটি মামলা করেছিলেন। শুনানীতে হাইকোর্ট এক পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন কেউ নিখোজ হলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব তাঁকে খুজে বের করা। সেই মামলার রুলের জবাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলো সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা সালাউদ্দিন আহমদকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। এমনকি তাকে খুজেও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে এতেই কি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব শেষ! তাহলে একটি রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব কি? রাষ্ট্রেরই বা কি দায়িত্ব নাগরিকের জন্য। আমরা অপেক্ষায় থাকলাম হাইকোর্ট এবিষয়ে কি সিদ্ধান্ত দেয় সেটা দেখার জন্য। নাকি আবার ইলিয়াছ আলীর স্ত্রীর দায়ের করা মামলার মত ডিপ ফ্রিজে চলে যায় সেটাও একটা বিষয়!
শুধু কি তাই! খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একটি বক্তব্য দিয়েছেন এই প্রসঙ্গে। ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতাও বক্তব্য দিয়েছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর বক্তব্যটি হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় থেকে ৮ বস্তা ময়লা আবর্জনা বের করা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের লোকরা এই ময়লা আবর্জনা বের করেছেন। এই ময়লা আবর্জনার বস্তার ভেতরে সালাউদ্দিন আহমদকেও পাচার করা হয়েছে কিনা এই বলে তিনি রহস্য করেছেন। গত সোমবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য শেখ সেলিম বলেছেন সালাউদ্দিনকে খালেদা জিয়াই গুম করেছেন। বেশ ভাল কথা। ময়লার বস্তায় সালাউদ্দিন পাচারের বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর যদি সন্দেহ হয়ে থাকে, সেটা পরীক্ষা করতে বাঁধা দিয়েেছ কে? রাষ্ট্রের সর্বো”চ ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করছেন। সকল গোয়েন্দা বিভাগ তাঁর নিয়ন্ত্রনে। এতকিছু তারা খুজে পায়, বস্তার ভেতর থেকে সালাউদ্দিন আহমদকে বের করতে পারে না কেন! তিনি যেহেতু সন্দেহ করেছেন, চাইলেইতো সন্দেহ দূর করতে পারেন। গোয়েন্দা বিভাগ গুলোকে কাজে লাগিয়ে উদ্ধার করতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে বরং খোদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহাস করা হচ্ছে গোটা জাতির সাথে। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম তো আরো একধাপ এগিয়ে বলেছেন। তিনি দাবী করেছেন বেগম খালেদা জিয়া সালাউদ্দিনকে গুম করেছেন। তিনি যদি এটা জেনেই থাকেন তাঁর দলই তো ক্ষমতায় রয়েছে। কোথায় সালাউদ্দিনকে গুম করে রাখা হয়েছে বের করলেই পারেন। তারাতো হাইকোর্টের দোহাই দিয়ে অনেক কিছুই করছেন। হাইকোর্ট তো রুল জারি করে নির্দেশনা দিয়েছে। সালাউদ্দিনকে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না কেন।
এর আগেও ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর এরকম অনেক উপহাস এবং রহস্যঘেরা বক্তব্য শুনেছি। তখন আওয়ামী লীগের নেতারাই বলেছিলেন খালেদা জিয়ার শাড়ির আচলের নিচে ইলিয়াছ আলীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে গুম করার পর ৩ বছর পূর্ণ হতে মাত্র এক মাস বাকী আছে। আগামী ১৭ এপ্রিল ৩ বছর পূর্ন হবে। ইলিয়াছ আলীর মা, স্ত্রী সন্তানরা এখনো অপেক্ষায় আছেন। ইলিয়াছ আলীর আগে বিএনপি নেতা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর চৌধুরী আলমকেও একই কায়দায় গুম করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে বাড়ির গেইট থেকে সন্ধ্যা রাতে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর আর তাঁর হদিস মেলেনি।
রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটকের পর ২২ ঘন্টা গুম করে রাখা হয়েছিল। ২২ ঘন্টা পর স্বীকার করা হয় তাঁকে আটক করা হয়েছে। ২২ ঘন্টা তাঁকে কোথায় রাখা হয়েছিল সেটা হয়ত: মাহমুদুর রহমান মান্না কোন একদিন বলবেন। কিন্তু মান্নার সাথে টেলিফোন আলাপের সূত্র ধরে আরেকজন ব্যবসায়ীকে আটকের কথা শোনা যায়। গত ৩ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী মশিউর রহমান মামুন নামে এক ব্যবসায়ীকে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে আটক করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি দেশের বাইরে যেতে এয়ারপোর্টে এসেছিলেন। তাঁকে এয়ারপোর্ট থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পরিবার হন্যে হয়ে খুজছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কোন বাহিনী তাঁকে আটকের কথা এখনো স্বীকার করেনি। খোজ নিয়ে জানা গেছে, মশিউর রহমান মামুনের লন্ডন এবং থাইল্যান্ডে ব্যবসা রয়েছে। তিনি বেশিরভাগ সময় বিদেশেই কাটাতেন। মাঝে মধ্যে দেশে যেতেন ব্যবসায়ীক কাজে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাঁর লন্ডনে আসার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন তারই এক বন্ধু। এই রকম অনেকেই গুম হচ্ছেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত ১০ ফেব্রুয়ারী উত্তরা থেকে সোহেল রানা নামে বিএনপি সমর্থক এক আইনজীবীকে উঠিয়ে নিয়ে যায় কিছু লোক। তাঁকেও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম অনেক রাজনৈতিক কর্মী গত ৬ বছরে গুম হয়েছেন।আইন শঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেয়ার পর আর খোজ মেলেনি তাদের। মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর তথ্য মতে শুধুমাত্র গত ফেব্রুয়ারীর মাসের ২৮দিনে ৭জনকে গুম করা হয়েছে। তাদের সবাইকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আর খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের পরিবারের সদস্যকে গুম করা হয়েছে তারাই বুঝতে পারছেন কেমন লাগে। পরিবার গুলোর অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না। যতদিন পরিবারের এসব সদস্যরা বেঁচে থাকবেন ততদিন অপেক্ষা করবেন। এই কষ্ট একমাত্র তারাই বুঝতে পারছেন। অন্য কেউ অনুভব করা এতটা সহজ হবে না।
নির্বাসিত জীবনে গত জুলাই মাসে আমার মা ইন্তেকাল করেছেন। মা-এর ইন্তেকালে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি। আমি বুঝতে পারি মা-এর জন্য কেমন লাগছে। সুতরাং যাদের পরিবারের সদস্য হারিয়েছেন তারাই তোষের আগুনের মত ভেতরে ভেতরে পুড়ছেন। আর যারা আপনজনদের খুজে পাচ্ছেন না তাদের মনের কস্ট কতটা গভীর সেটা একমাত্র তারাই অনুভব করছেন।
কেউ যদি অপরাজনীতি করে তাঁকে মোকাবেলা করার কথা সঠিক রাজনীতি দিয়ে। অপরাজনীতির বিপরীতে সঠিক রাজনীতি করলে মানুষ এমনিতেই বাহবা দিবে। ২০ দলীয় জোট যদি খারাপ রাজনীতি করে সরকারে থাকা দল ভাল রাজনীতির মাধ্যমে সেটা মোকাবেলা করবে। মানুষ এমনিতেই অপরাজনীতিকে ঘৃনা জানাবে। কিš ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর সদস্যদের ব্যবহার করে ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের গুম করা হচ্ছে কেন! এটা কোন ধরনের রাজনীতি। যার দিন শুরু হয় ‘তাহাজ্জুদের নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে’ তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের আমলে মানুষ গুম করা হচ্ছে কেন!
শেষ করতে চাই মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখিত কিছু তথ্য দিয়ে । ফেব্রুয়ারী মাসে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য পরিবেশন করেছে এই সংস্থাটি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোর দ্বারা লঙ্ঘিত মানবাধিকারের ঘটনা গুলো উল্লেখ করলেই অনুমান করা সহজ হবে রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে কতটা অসহায় বাংলাদেশের মানুষ। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮দিনে ৩৭জন বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। তারা সবাই নিহত হয়েছেন আটকের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে। পরবর্তিতে ক্রসফায়ার, বন্ধুকযুদ্ধ, অ্যানকাউন্টার বিভিন্ন ভাবে প্রচার করা হয়েছে এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা। এই ৩৭ জনের মধ্যে ৩০ জনকে হত্যার পর ক্রসফায়ার বা বন্দুক যুদ্ধের গল্প প্রচার হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জনকে র্যাব, ২০জনকে পুলিশ এবং ২ জনকে বিজিবি গুলি করে হত্যা করেছে। বাকী ৭ জনের মধ্যে ৪ জন সরাসরি প্রকাশ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ১জনকে পুলিশ থানায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং বাকী ২জনকে আটকের পর প্রচার করা হয়েছে ট্রাকপাচায় নিহত হয়েছেন।
অধিকারের প্রতিবেদন উল্লেখিত বিচার বহির্ভুত হত্যার শিকার ৩৭ জনের মধ্যে ৯ জন বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কর্মী এবং ৯জন জামায়াতে ইসলামী বা দলটির অঙ্গ সংগঠনের কর্মী। এর বাইরেও পুলিশ আটকের পর ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮ দিনে ১৬ জনকে পায়ে গুলি করে আহত করেছে। তারাও রাজনৈতিক কর্মী। বিভিন্ন জায়গা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলোর সদস্যরা যাকে ইচ্ছা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কারো লাশ পাওয়া যায় আর কাউকে খোজ পাওয়া যায় না। এই যদি হয় একটি রাষ্ট্রের অবস্থা সেটাকে সুস্থ রাষ্ট্র বলা যায়!
লেখক: অলিউল্লাহ নোমানদৈনিক আমার দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন