গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের আগে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিচার হওয়া উচিৎ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে আমাদের ভিন্ন মত থাকতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। যতদিন পযর্ন্ত রুখে দাঁড়াতে না পারব, ততদিন পযর্ন্ত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাত্রাও কমবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবিতে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে দেশে এক প্রকার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে, এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিবেশের মধ্যে দেশ চলতে পারে না। অভিজিৎ কে না হয় জঙ্গিরা হত্যা করেছে, কিন্তু সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে তো তারা হত্যা করেনি, আজকে তাদের হত্যার বিচার হচ্ছে না কেন?
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সমলোচনা করে তিনি বলেন, দেশে মানবধিকার বলতে কিছু নেই। পুলিশ বাহিনী সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে নিবির্চারে গুলি করে হত্যা করছে। অথচ তিনি তাদের পক্ষে কথা বলছেন।
সরকারি বাহিনীকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আপনারা হত্যাকাণ্ড চালিয়ে পার পাবেন না, বাংলার জনগণ একদিন আপনাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
তিনি বলেন, এই সরকার একের পর এক খুন-গুম করছে , ক্রসফায়ারের নামে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন- যার মাধ্যেমে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে।
সমাবেশে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমি জীবনে ভাবিনি যে মান্নার মত একজন সৎ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে এতো অপপ্রচার চালানো হবে। সবচেয়ে বড় অন্যায় হলো বিভিন্ন মিডিয়ায় দিনের পর দিন তার কথোপকথেনকে বিকৃতভাবে প্রচার করা।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের একজন অগ্রগন্য রাজনীতিবিদকে ২০ ঘন্টা কোথায় রাখা হয়েছিলো এই প্রশ্নের উত্তর আমরা কোথায় পাব।
নাগরিক ঐক্যর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কারাগারে থাকা মান্নার যে নির্বাচনের অভিলাষ সেটি আপনারা অব্যাহত রাখুন, তার পক্ষ থেকে আপনারা প্রচারাভিযান চালিয়ে যান।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মান্নাকে নাগরিক সমাজের লোক বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অপপ্রচার। তিনি একজন রাজনীতিবিদ।
তিনি আরো বলেন, ১/১১ সময় যখন বড় বড় দলের রাজনৈতিক নেতারা গর্তে ছিলেন, তখনও নাগরিক সমাজের লোকজন কথা বলেছেন। এখনো নাগরিক সমাজকে সকল ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে কথা বলতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড: ফজলুল হক সরকারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, জেএসডির সধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক নাজমূল হাসান প্রমুখ।
উৎসঃ তাজাখবর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন