ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১০ মার্চ, ২০১৫

আন্দোলন ও কূটনীতিতে দিশেহারা আওয়ামীলীগ -ড. এম মুজিবুর রহমান


২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের কারণে দেশ আজ অচল ও অগ্নিগর্ভ। গত দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে চলা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতালে ইতিমধ্যেই দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। কেউ বলছেন দেশের অর্থনীতি গভীর খাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যরা বলছেন দেশটি আজ শুধু ধ্বংসের কিনারায় নয়, ঢুকে পড়েছে ধ্বংসের গভীর গর্তে। দেশ এবং অর্থনীতি যে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই। বিতর্ক শুধু শেষ পরিণতি নিয়ে। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী এরই মধ্যে প্রায় এক লাখ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। দেশ ডুবলেও ভবিষ্যত পরিণতির কথা চিন্তা করে সংলাপে বসার ব্যাপারে নারাজ আওয়ামী লীগ।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “দ্য নিউয়র্ক টাইমস” পত্রিকাটি সম্পাদকীয় লিখেছে “বাংলাদেশে অন দ্য ব্রিংক” অর্থাৎ বাংলাদেশ ধ্বংসের কিনারায়। শুধু “দ্য নিউয়র্ক টাইমস” নয়, নানা দেশের সরকার ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও সেটি টের পাচ্ছে। আসল সত্যটি হল্,ো “দ্য নিউয়র্ক টাইমস”পত্রিকার সম্পাদকীয়তে যা লেখা হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি তার চেয়েও ভয়ানক। সম্প্রতি বাংলাদেশের এফ.বি.সি.সি.আই এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিনের উক্তি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। তার কথা, গত ৪৪ দিনের হরতাল ও অবরোধে ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকার বেশি। সে হিসেবে ক্ষতি এখন প্রায় দ্বিগুণ।
সম্প্রতি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা নিজের লেখা এক নিবন্ধে বাংলাদেশের চলমান সহিংস রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপ অথবা গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সংঘাতের পথ পরিহার করে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করতে না করলে গণতন্ত্র আবারো বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
কৌশলী পথে হাঁটছেন কূটনীতিকরা: জাতিসঙ্ঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটিশ হাইকমিশন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নানামুখী তৎপরতা নিয়ে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে ক্ষমতাসীন দলটিতে। সরকারের মন্ত্রী ও দলের বিভিন্ন নেতা বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে মুখে যা-ই বলেন না প্রকৃত অবস্থা ভিন্ন। সিনিয়র নেতাদের মতে, কূটনীতিকদের এ দৌড়-ঝাঁপের বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। কারণ প্রতিদিন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির যে হানাহানির চিত্র প্রকাশ হচ্ছে তা দেশের ভাবমূর্তির জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। শুরুতে সরকার শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করা হলেও দিন যতই যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্টতা বাড়ছে।
সরকারের কৌশলী বাধা ডিঙ্গাতে পাল্টা কৌশলী পথে হাঁটছেন কূটনীতিকরা। অতীতের মৌখিক বক্তব্যকে আমলে নিয়ে বিফল হওয়ায় এবার আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন। মুখের কথাকে লিপিবদ্ধ করছেন কাগজে। গত ৩ মার্চ মঙ্গলবার রাতে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে যান ৯ দেশের কূটনীতিকরা। তাদের গমন আকস্মিক হলেও পর্দার অন্তরালে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ রোববার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূতরা।
তবে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি কূটনীতিকদের কৌশলী হতে দেখা গেছে। খালেদা জিয়ার সাথে এই রাষ্ট্রদূতদের বৈঠক হয় দীর্ঘ সোয়া ২ ঘণ্টার। আলোচনায় স্থান পায় বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন, মানুষের নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র, চলমান সহিংসতার বিষয়। পরে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আলোচনার বিষয়গুলোর অংশবিশেষ গণমাধ্যমকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, মানুষের নিরাপত্তা, দেশের স্থিতিশীলতা, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা বন্ধ করার জন্য সকল পক্ষকে আহ্বান জানাই। একই সঙ্গে আমরা চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা গড়ে তোলার ওপর জোর দেই। এর আগে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক সম্পর্কেও জানান এই দূত। বৈঠকের এক পর্যায়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের একান্তে ৪/৫ মিনিটের আলোচনা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ভারতও আগের অবস্থানে নেই। পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন এনেছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার দেব মুখার্জি সম্প্রতি বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মোদি সরকার ভারতের পররাষ্ট্র নীতির পরিবর্তন এনেছে। তা হলো প্রতিবেশি সকল দেশের সাথে সমস্যার সমাধান করে সুসম্পর্ক তৈরি করা। সার্কের চেয়েও তারা প্রতিবেশি দেশের সাথে সু-সম্পর্কের গুরুত্ব দিতে চায়। কয়দিন আগে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব জয় শঙ্কর তার প্রতিফলনও দেখিয়েছেন। বাংলাদেশ সফরে এসে তিনি সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছেন। পাকিস্তানের সাথে আগের সরকারের বৈরী সম্পর্কের উল্টো চিত্র দেখাতে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পাকিস্তান সফরে যান। এদিকে গত নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সরকার কূটনীতির শিষ্টাচার বিসর্জন দিয়ে জনগণের পাশে থাকার বদলে সরকারই নয় ‘শেখ হাসিনার পাশে আছে ভারত’ এমন আনুষ্ঠানিক পক্ষপাত দেখিয়েছেন। কিন্তু এবার সে পরিস্থিতি নেই। ভারতের স্পষ্ট বলেছে, দেশের জনগণই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না মোদি সরকার।
আওয়ামী লীগ দিশেহারা: খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করায় বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি। বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে চলেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবেন না। যদি মাথা ঘামান, তাহলে যা দরকার তাই করা হবে।’
সম্প্রতি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কার্যকলাপকে রাষ্ট্রদোহিতা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, ‘তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
সেনাবাহিনীকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কেউ কেউ ভাবেন উত্তরপাড়া থেকে এসে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। তারা যাদের নিয়ে ভাবেন তারাও জানে এভাবে ক্ষমতায় এলে কী পরিণতি হয়। এভাবে ক্ষমতা দখলের পরিণতিও তাদের জানা আছে। ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন তো দেশেই থাকতে পারেনি। এভাবে আগুনে কেউ পা দিতে আসবে না।’
প্রশ্ন হলো সেনাবাহিনী কি অস্পৃশ্য ! জাতির দুর্দিনে বা ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনী কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নাই? আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা কি এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর ‘আই এম নট আনহ্যাপি’ বলে বৈধতা দেন নাই ? এরশাদ সরকারের অধীনে জাতীয় ওয়াদা ভঙ্গ করে কে ৮৬ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল ? আওয়ামী লীগ কি সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে নাই ? সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সমর্থনে পরিচালিত ১/১১ এর সরকারের সকল কাজের বৈধতা দেয়ার অঙ্গীকার কে করেছিল ? মেঠো বক্তৃতা আর বাগাড়ম্বর এক জিনিস আর দেশের বাস্তবতা চিন্তা করে রাজনীতি ভিন্ন।
অনেক ভাগে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির মূল দলের কোন কমিটি নেই। সেখানে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাসাসের কোন নেতার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপির হাই কমান্ডের নির্দেশে আমেরিকাতে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ চেষ্টার যে অভিযোগ করা হয়েছে তাকে ‘কল্পকাহিনী’ ও ‘বালখিল্যপনা’ বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। সজীব ওয়াজেদ জয় একজন আমেরিকান নাগরিক। বাংলাদেশে তিনি আসেন অতিথি পাখির মত। সময় সুযোগ বুঝে আবার সটকে পড়বেন এটাই স্বাভাবিক। গত নির্বাচনের পূর্বে চ্যানেল আইয়ে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে থাকবেন, না হয় আমেরিকা চলে যাবেন। জয় যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনো কোনো ফ্যাক্টর নয় তা বুঝতে স্কুলে ভর্তি হবার দরকার নেই। দেশের সাধারণ একজন নাগরিকও জয়কে নিয়ে চিন্তা করার মত যেখানে কিছু খুঁজে পায় না, সেখানে বিএনপির হাই কমান্ড কোন দুশ্চিন্তায় তাকে নিয়ে চিন্তা করবে তা বোধগম্য নয়।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে সকল কার্ড খেলে এখন ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টিকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে জনগণ যখন জানতে চায় ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যে পড়ে কি না, তখন আওয়ামী লীগ খামোশ। নিজের ঘরে রাজাকারের বংশ বিস্তারের সুযোগ সৃষ্ঠি করে রাজাকার বিরোধী বক্তব্য শোভন কি না, তখনও জবাব মিলে না। যুব লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং আওয়ামী এমপি মির্জা আজমের আপন দুলা ভাই বাংলাদেশে জঙ্গি বিস্তারের মূল নায়ক আব্দুর রহমানকে বিএনপি আদালতের মাধ্যমে ফাঁসি কার্যকর করলেও আওয়ামী লীগ কেন দলীয়ভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয় নাই। তখনো জবাব নাই। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অভিজিত হত্যাকান্ড এখন আওয়ামী লীগের গলার ফাঁস হিসেবে দেখা দিয়েছে। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ব্যবসার পরে আওয়ামী লীগের ‘জঙ্গী কার্র্ডের’ রাজনীতিও এখন পুরোপুরি ফ্লপ। আন্দোলন সংগ্রামে ক্ষমতা ছাড়লে এর পরিণতি নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগ। তাই রাজনীতিতে নিত্য নতুন খেলার মাধ্যমে চলছে জনরোষ থেকে রক্ষার আপ্রাণ প্রচেষ্টা।
বিএনপি জোটের আন্দোলনে বাড়ছে কর্মী ও জনসম্পৃক্ততা: বিশ্লেষকরা মনে করেন দেশ-বিদেশের নানামুখী চাপের মুখে সরকার কিছুটা ব্যাকফুটে গেলেও চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাল না ছেড়ে অন্য পথেই হাঁটছে আওয়ামী লীগ আর বিএনপিকে কোনঠাসা করার নিত্য নতুন ফন্দি আটছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা কর্মীরাও বিষয়টি বুঝতে পারায় আন্দোলনে সতর্কতার পাশাপাশি কৌশলী পন্থা অবলম্বন করছে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুপস্থিতে ও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তৃনমূল নেতা কর্মীদের সকল সময় যোগাযোগ সম্ভব হয়ে না ওঠায় দলে কিছু সুবিধাবাদী নেতার আবির্ভাব ঘটলেও কালের পরিক্রমায় তৃণমুলেরাই আবার দলের মূল চালিকা শক্তিতে ফিরে এসেছে। তৃনমূল নেতা কর্মীর সাথে তারেক রহমানের রয়েছে এক ধরনের আত্মিক বন্ধন। বেগম খালেদা জিয়ার দিক নির্দেশনায় ও তারেক রহমানের গতিশীল নেতৃত্বে তৃনমূল নেতা কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে বিরতিহীন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তাই রাজনীতি বোদ্ধারা মনে করেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা কর্মীরা বর্তমান আন্দোলনকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে তারা শুধুমাত্র বিদেশী কূটনীতির উপর নির্ভরশীল না হয়ে চলমান আন্দোলনে কর্মীদের নতুন ভাবে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি হরতাল অবরোধের সাথে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর মত কর্মসূচিও যোগ হচ্ছে।
লেখক: গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, লন্ডন । ৎ
উৎসঃ ইনসাফ ২৪ ডটকম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন