ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫

ক্রসফায়ারে নিহত জনির শিশুপুত্রকে খালেদা জিয়ার উপহার

পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির সদ্য জন্ম নেয়া শিশুপুত্রকে নানা উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার দেয়া উপহার সামগ্রী জনির খিলগাঁওয়ের বাসায় পৌঁছে দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। উপহারের মধ্যে ছিলÑ শিশু বাচ্চার ঘুমের জন্য বিশেষ খাট, দোলনা, ক্লথ, ড্রেসসহ নানা খেলনা। খালেদা জিয়ার উপহার পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন  জনির শোকার্ত পরিবারের সদস্যরা। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তারা খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জনি হত্যার বিচারও দাবি করেন তার পরিবার। জনির বাবা ইয়াকুব আলী  বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) উপহার পেয়ে কত যে খুশি হয়েছি, তা বলে বুঝাতে পারবো না। আমার মেয়ে কিছু দিন আগে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলছিল, জনি বেঁচে থাকলে বাবুর জন্য কত কিছু যে কিনে নিয়ে আসতো। ম্যাডাম আমাদের ভোলেননি। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। ইয়াকুব আলী সন্তানকে হারিয়ে এখনও পাগলপ্রায়। তিনি বলেন, কেন আমার নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তার তো কোন অপরাধ ছিল না। আমি এ হত্যাকা-ের বিচার চাই। আল্লাহ যেন এর বিচার করেন। নিহত জনির স্ত্রী  মুনিয়া পারভীন মণিষা শিশুপুত্র নাদিফুজ্জামান নহরকে  কোলে নিয়ে বারবার মূর্ছা যান। কোন কথাই বলতে পারছিলেন না তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৯শে জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাইকে দেখতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন জনি। ওই রাতেই রাজধানীর জোড়পুকুর বালুর মাঠে পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন জনি। এসময় তার স্ত্রী মণিষা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা  থাকা অবস্থায় গত ১২ই ফেব্রুয়ারি বিএনপি  চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা করতে গিয়েছিলেন মণীষা। কিন্তু সেখান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ এক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়। গত ১৩ই মার্চ রাত দেড়টায় পুত্র সন্তান  জন্ম দেন মণীষা।  আগে থেকেই ছেলে নাম নাদিফুজ্জামান নহর ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন