স্বদ্য জন্ম নেওয়া তিন মাসের মাইশাকে বাসায় ঘুম পাড়িয়ে রেখে আফসানা দুই তলা থেকে চার তলায় এসেছিল শুদ্ধভাবে কোরআন শিখতে।সামনে রমজানে যেন কাজে লাগাতে পারে।
অনেকদিন ধরে ভাবে কোথাও যেয়ে শিখবে, বিভিন্ন কারনে হয়ে ওঠেনি। এবার যখন সুইটি আপা খবরটা দিল এই সুযোগ আর ছাড়তে ইচ্ছা হলনা।
একই ফ্লাটে এই সুযোগ পাওয়া গেলে কে ছাড়তে চায়...!!
সিজারিয়ান প্যাশেন্ট হওয়ায় চার তলায় উঠতে একটু কষ্ট হল।
নির্দিষ্ট রুমে যেয়ে আফসানা সকল কষ্ট ভুলে গেল। জান্নাতুল করীম সুইটি আপা সহ ২৫/২৬ জন মেয়েকে দেখতে একটা ফুলের বাগানের মত লাগছে!
ছাত্রী সংস্থার এই বাগানের একজন জনশক্তি হতে পেরে অনেক ভাল লাগে তার...
শুরু হয়েছে কোরআন শিক্ষার তালিম। নাজমা আপা শুরু করলেন, তিনি কোরআনের হাফেজ। কি মধুর কন্ঠ তার...!
তার তেলাওয়াত শুনতে শুনতে মন টা সিক্ত হয়ে উঠছে।
সাথে ভাবতে থাকে একটু নীচ থেকে ঘুরে আসার কথা।
তিন মাসের মেয়েটা একটু পর পর ঘুম থেকে উঠেই কান্না শুরু করে খাবার জন্যে। এই উঠছি,
এই উঠছি করেও উঠা হয়না, শুনতে থাকে কোরআন পাঠ।
এরই ভিতর দরজায় ধাক্কা ধাক্কির শব্দ শুনা যায়। এই বাসার খালাম্মা দরজাটা খোলার সাথে সাথে হুড়মুড় করে রুমের ভিতর ঢুকে পড়ে পুলিশের পোশাক পড়া একদল জানোয়ার।
পশুর মত দাত বের করে খিস্তি মারতে থাকে নিস্পাপ মেয়ে গুলির সাথে। তাদের অনুমতি ছাড়া কোরআন পাঠের আয়োজন করার মত সাহস আমরা কোথায় পেলাম এটাই তারা জানতে চায়।
সুইটি আপা দড়াজ গলায় উত্তর করল- যে কাজের অনুমতি আল্লাহ দিয়েছেন সেটার অনুমতি আপনাদের কাছ থেকে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনা।" আমাদের সবাইকে এক প্রকার বেধে নিচে নামিয়ে আনতে থাকে।
প্রথম পুলিশ দেখে অবাক ও আতংকিত হলেও সুইটি আপার উত্তর শুনে সকল ভয় চলে যায়।
পুলিশের গাড়িতে উঠার আগ মুহুরতে মাইশাকে দেখতে পেলাম তার বাবার কোলে।
গলা ফাটিয়ে চিতকার করছে,
যেন তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে সে। মাইশার বাবা ধীরে ধীরে গাড়ির কাছে এসে আফসানার হাতে হাত রাখে। বলে-
আমি খুব খুশি হয়েছি তোমার চোখে পানি না দেখে,
তোমার চোখের পানি দেখলে এই জানোয়ার গুলা বন্য আনন্দ লাভ করতো।
তুমি চিন্তা করনা। আল্লাহ এর প্রতিদান দিবেন.....
গাড়ি আগাতে শুরু করে,
বাচ্চাটা বড় বড় চোখে ঘাড় ফিরে মা কে দেখতে থাকে।
একদম বাবার মত মায়া ভরা চোখ পেয়েছে!!
দুই চোখ জ্বালা করে ওঠে আফসানার,
মনে হয় চোখের পানির বাধ ভেংগে যাচ্ছে। নাহ,
আমি কাঁদবো না, কিছুতেই না...
অনেকদিন ধরে ভাবে কোথাও যেয়ে শিখবে, বিভিন্ন কারনে হয়ে ওঠেনি। এবার যখন সুইটি আপা খবরটা দিল এই সুযোগ আর ছাড়তে ইচ্ছা হলনা।
একই ফ্লাটে এই সুযোগ পাওয়া গেলে কে ছাড়তে চায়...!!
সিজারিয়ান প্যাশেন্ট হওয়ায় চার তলায় উঠতে একটু কষ্ট হল।
নির্দিষ্ট রুমে যেয়ে আফসানা সকল কষ্ট ভুলে গেল। জান্নাতুল করীম সুইটি আপা সহ ২৫/২৬ জন মেয়েকে দেখতে একটা ফুলের বাগানের মত লাগছে!
ছাত্রী সংস্থার এই বাগানের একজন জনশক্তি হতে পেরে অনেক ভাল লাগে তার...
শুরু হয়েছে কোরআন শিক্ষার তালিম। নাজমা আপা শুরু করলেন, তিনি কোরআনের হাফেজ। কি মধুর কন্ঠ তার...!
তার তেলাওয়াত শুনতে শুনতে মন টা সিক্ত হয়ে উঠছে।
সাথে ভাবতে থাকে একটু নীচ থেকে ঘুরে আসার কথা।
তিন মাসের মেয়েটা একটু পর পর ঘুম থেকে উঠেই কান্না শুরু করে খাবার জন্যে। এই উঠছি,
এই উঠছি করেও উঠা হয়না, শুনতে থাকে কোরআন পাঠ।
এরই ভিতর দরজায় ধাক্কা ধাক্কির শব্দ শুনা যায়। এই বাসার খালাম্মা দরজাটা খোলার সাথে সাথে হুড়মুড় করে রুমের ভিতর ঢুকে পড়ে পুলিশের পোশাক পড়া একদল জানোয়ার।
পশুর মত দাত বের করে খিস্তি মারতে থাকে নিস্পাপ মেয়ে গুলির সাথে। তাদের অনুমতি ছাড়া কোরআন পাঠের আয়োজন করার মত সাহস আমরা কোথায় পেলাম এটাই তারা জানতে চায়।
সুইটি আপা দড়াজ গলায় উত্তর করল- যে কাজের অনুমতি আল্লাহ দিয়েছেন সেটার অনুমতি আপনাদের কাছ থেকে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনা।" আমাদের সবাইকে এক প্রকার বেধে নিচে নামিয়ে আনতে থাকে।
প্রথম পুলিশ দেখে অবাক ও আতংকিত হলেও সুইটি আপার উত্তর শুনে সকল ভয় চলে যায়।
পুলিশের গাড়িতে উঠার আগ মুহুরতে মাইশাকে দেখতে পেলাম তার বাবার কোলে।
গলা ফাটিয়ে চিতকার করছে,
যেন তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে সে। মাইশার বাবা ধীরে ধীরে গাড়ির কাছে এসে আফসানার হাতে হাত রাখে। বলে-
আমি খুব খুশি হয়েছি তোমার চোখে পানি না দেখে,
তোমার চোখের পানি দেখলে এই জানোয়ার গুলা বন্য আনন্দ লাভ করতো।
তুমি চিন্তা করনা। আল্লাহ এর প্রতিদান দিবেন.....
গাড়ি আগাতে শুরু করে,
বাচ্চাটা বড় বড় চোখে ঘাড় ফিরে মা কে দেখতে থাকে।
একদম বাবার মত মায়া ভরা চোখ পেয়েছে!!
দুই চোখ জ্বালা করে ওঠে আফসানার,
মনে হয় চোখের পানির বাধ ভেংগে যাচ্ছে। নাহ,
আমি কাঁদবো না, কিছুতেই না...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন