ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৫

জনগণের কাছে মাপ চান। তা না হলে আপনার সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না :শেখ সেলিম


বাংলাদেশ বার্তা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে মাপ চাইতে বললেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

তিনি বলেন, “শেখ হসিনার পা ধরে মাপ চান। ওই সময়ে আালোচনা না এসে ভুল করেছিলাম। জনগণের কাছে মাপ চান। তা না হলে আপনার সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না। ”
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর অফিস ও বাসভবনে বোমা হামলার প্রতিবাদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, “খালেদা জিয়া অবরোধের নাটক করছেন। আর বলছেন আলোচনা করতে হবে। কিসের আলোচনা। কার সঙ্গে আলোচনা? আলোচনার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তবে শেখ হাসিনার পা ধরে মাপ চান আর বলেন- আমি ওই সময় ভুল করেছিলাম। এখন একটু আমার সঙ্গে আলোচনা করুন।”
শেখ সেলিম বলেন, “২০১৪ সালে জামায়াত নির্বাচন করেনি তাই আপনিও (খালেদা) নির্বাচনে যাননি। আর এখন গতকাল এক প্রেস কনফারেন্স করে বলেছেন দাবি মানতে হবে। আহারে–যেন মামু বাড়ির আবদার।”
তিনি বলেন, “৫ জানুয়রির নির্বাচন না করে ভুল করেছেন। আগামীতেও যদি এই ভূল করেন তবে আপনার দলের অস্তিত্ব থাকবে না। বিএনপিও মুসলিম লীগের পরিণতি হবে। অবশ্যই বিএনপি মুসলিম লীগের নতুন সংস্করণ। কারণ তারা এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি।”
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার ছেলে বিদেশে বসে বলে জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও। দেশকে বিচ্ছিন্ন করে দাও। স্পষ্ট বলতে চাই, জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না।”
তিনি বলেন, “নেতা দেখো বিএনপির সব। খালেদা অবরুদ্ধ সেখানে কোনো নেতার খবর নেই। কাল জিয়া জন্ম না মৃত্যু দিন ছিল। সেখানেও কোনো নেতা যায়নি। ‘ওরে আমার বিপ্লবী নেতা রে!”
সেলিম বলেন, “ওদের কোনো সাহস নেই। ওই বাসার সামনে দুইটা বোমা মারে। আরে সাহস থাকলে সামনে আসুন। সময় দেন। খালেদা জিয়া আপনিও সময় দেন। কোথায়, স্থান ও সময় নির্দিষ্ট করেন। আপনিও নামবেন আমরাও নামবো। দেখা যাবে কার সঙ্গে জনগণ আছে।”
খালেদা জিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করছেন উল্লেখ করে সেলিম বলেন, “৪ জানুযারি আপনি হঠাৎ করে গাট্টি-বোক্সা নিয়ে অফিসে উঠেছেন। বলছেন আপনাকে অবরুদ্ধ করেছে। এই জন্য সারা দেশে অবরোধ ডেকেছেন। মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। এটা কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন না। আপনি যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন এর জন্য আপনার বিচার হওয়া উচিত।”
খালেদা জিয়ার এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাকে গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
দেশীয় বুদ্ধিজীবী ও বিদেশি কূটনীতিকদের সমালোচনা করে বলেন, “কিছু পণ্ডিত ব্যক্তি আছে যারা বলে-একটু আলোচনা করলেই তো হয়। বিদেশিরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ বলে, আলোচনার কথা। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের কোনো বিদেশি প্রভু নেই। এখানের রাজনীতি কী হবে এদেশের মানুষ নির্ধারণ করবে। ওই সব তত্ত্ব-ফত্ত্ব বাদ দেন।”
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে সেলিম বলেন, “আপনি এক বছর আগে নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছিলেন। প্রায় দুই হাজার মানুষ মেরেছেন। পুলিশ, আনসার সদস্য এমনকি সেনাবাহিনীও হত্যা করেছেন। প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করেও নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। আপনি তো চেয়েছিলেন হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনী আসবে। তারা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে।”
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “শায়েখ আব্দুর রহমান, উলফা-তুলফা এই সরকারের কিছু করা যাবে না। বাংলাদেশে একজন ছিল সিরাজ সিকদার।‘এখন কোথায় সেই সিরাজ সিকদারের দরাজ?একটা টিকটিকিও নাই।”
বিএনপির লোকেরাই খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে গুলি করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য আপনার লোকেরাই রিয়াজ রহমানকে গুলি করেছে। সব ধরা পড়েছে। সময়মত সবই জানতে পারবেন।”
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন