ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫

গলায় স্টেথোস্কোপের বদলে পায়ে যখন ডান্ডাবেরী!!!!!

তানভীর, এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র। আর তিন মাস পরেই সে ডাক্তার হবে। শান্ত চেহারার তানভীরের মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকতো। তার সঙ্গে পরিচয়ের তিন বছরে কখনো তাকে হাসি মুখ ছাড়া দেখিনি। কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা কর্মচারী সবার কাছেই সে খুব প্রিয়।
গত ৯/২/১৫ তারিখে পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে গ্রেফতার করে। তার নামে কোন মামলা না থাকলেও গ্রেফতারের পরে মামলা দেওয়া হয়। কি অদ্ভুত আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থা।
তানভীরকে ভাইভা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জেল থেকে কলেজে নিয়ে আসা হয় পুলিশ প্রহরায়। কিন্তু একি ! তার পায়ে ডান্ডা বেরী কেন ! আশ্চর্য হয়ে গেলাম আমাদের আইন প্রশাসনের কর্মকান্ড দেখে। শুনেছি, বড় বড় সন্ত্রাসী যাদের তিনটির অধিক হত্যা মামলা থাকে তাদেরই নাকি ডান্ডা বেরী পরানো হয়। কিন্তু একজন মেধাবী ছাত্র যে আর কয়েকদিন পরেই সমাজের একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হবে এবং মানবসেবার মহান পেশায় নিয়োজিত হবে তার সঙ্গে এ কেমন আচরণ? শুধু তার সাখেই না শুনেছি তার বৃদ্ধ পিতামাতাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে পরে অবশ্য মা কে ছেড়ে দিয়েছে।
জানি লোভ আর হিংসা মানুষকে নির্মম আর নিষ্ঠুর করে তোলে, মানুষের হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। সরকারী দলেরও ঠিক একই অবস্থা হয়েছে। ক্ষমতার লোভে হিংসার বশবর্তী হয়ে তানভীরের মত অসংখ্যা নিরীহ ও মেধাবী ছাত্রদের জুলুম নির্যাতন করছে। হয়তো এদের কিছুই করার নেই কিন্তু বিশ্বাস করি ”সময়” কখনো অত্যাচারীকে ছাড়েনি। এ নিরীহ মানুষদের বুকের চাপা কষ্ট আর স্বজনদের চোখের অশ্রু কখনোই বৃথা যাবেনা। কোন টিভি চ্যানেল কিংবা পত্রিকার পাতায় এদের আর্তনাদ প্রকাশ করা হবেনা।
তানভীরের সহপাঠী এক ছাত্রী পুলিশকে জিঙ্গাসা করছিল কেন তাকে এভাবে ডান্ডা বেরী পরিয়ে আনা হয়েছে? পুলিশ কোন উওর দিতে পারেনি শুধু বলেছে, ‘’ উপরের নির্দেশ ”। হ্যা , আমরাও বলছি ওপর ওয়ালার ও একজন ওপরওয়ালা আছেন যিনি সব দেখছেন। তিনিই একদিন বিচার করবেন । ঈমানের পরীক্ষায় একজন মুসলিম হিসেবে তানভীরকে দেখেছি শান্ত, অটল, সাহসী ও হাস্যোজ্বল। চরম কষ্টের মাঝে যে হাসতে পারে সেইতো শ্রেষ্ঠ বীর। অসংখ্যা মানুষের দোয়া আর ভালবাসা তুমি পেয়েছ, আশাকরি আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দেবেন দুনিয়া ও আখিরাতে। সত্য পথে চলা একদল মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকলে তুমি। দোয়া করি আল্লাহ তোমাকে খুব দ্রুত জালিমের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ তোমাকে ও তোমার পরিবারকে ধৈর্য ধারন করার তৌফিক দিন।
~মোঃ তৌহিদুর রহমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন