গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে শক্তির জোরে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য দেশে অব্যাহতভাবে গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সরকার দেশের জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়ে দেশকে একটি সন্ত্রাসী পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী এক হয়ে গোটা দেশকে সন্ত্রাস এবং ঘুষ ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। তারা দেশের মানুষকে গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করছে, অপহরণ ও গুম করছে। তাদের হত্যা ও সন্ত্রাসী তা-বের বিরুদ্ধে দেশের সংগ্রামী জনগণ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের সাহসী জনগণ রুখে দাঁড়াচ্ছে।
স্বৈরাচারী সরকারের হঠকারিতা ও একগুঁয়েমির কারণে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। সেদিকে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সরকার মানুষ হত্যা করে মানুষের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়। সরকার দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধান না করে পাশবিক শক্তির জোরে ক্ষমতা দখলে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। ক্ষমতার নেশায় সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এ ষড়যন্ত্র দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমেই ব্যর্থ করে দিবে।
সরকার গণআন্দোলন দমন করার জন্য আজও রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০ দলীয় জোটের প্রায় দুইশত নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। এভাবে জুলুম-নির্যাতন ও গণগ্রেফতার অভিযান চালিয়ে জনগণের আন্দোলন কিছুতেই দমন করা যাবে না। গণহত্যা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করে পদত্যাগ করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
২০ দলীয় জোটের ঘোষিত গণঅবরোধ, হরতাল ও মিছিলসহ সকল কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন