ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

ক্লান্তি প্রবাসীর গল্প -


আমার বেতন মাসে ৮০হাজার টাকা .থাকা খাওয়া ও কাজের অবস্থা অনেক ভাল.কিন্তু তবু আমি প্রবাস জীবনে সবচেয়ে দু:খি.যখন নিজের ১৭ বছরের প্রবাস জীবনের কথা ভাবি তখন চোখদুটো আমাকে ফাঁকি গিয়ে কষ্টগুলো জল হয়ে বাহির হয়.জীবনের পাওয়ার ,না পাওয়ার হিসাব মিলাতে গিয়ে অনেক কেঁদেছি রাতে আঁধারে .প্রিয়জনদের মানসিক আঘাতে অনেক কেঁদেছি .এই ১৭ বছরে যা রোজগার করেছি সবই ব্যয় করেছি শুধু পরিবারের সুখের জন্য .আজ পরিবারের বিলাসিতার পাথরে আমার বুকের পাজরগুলো ভেঙ্গে গেছে.বুকের ভিতরের কষ্টগুলো নিয়ে এখনো ৫৪বয়সে সিঙ্গাপুর একা একা কাঁদি .তবে সবচেয়ে কষ্ট পাই যখন পরিবারের আমার প্রতি ওদের খামখেয়ালির কথাগুলো শুনি.ভাবছেন ৮০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে কোনো আমার এত কষ্ট.১৭ বছরে এখনো আমার কোন ব্যালেন্স নেই.তাই যখন ভবিষৎতের কথা ভাবি তখন নিজে কাঁদতে না চাইলে ও কাঁদতে হয়.আমার বাড়ি বরিশাল.বাপদাদার বিশাল বাড়ি আঁছে কিন্তু পরিবার সবাই রবিশাল থাকবে না কারন সেখানে ছেলেমেয়েদের ভাল ভাবে মানুষ করা যাবে না.তাই ২৬হাজার টাকা দিয়ে ফ্লাটবাসা ভাড়া নিয়ে থাকে ঢাকাতে .৩ ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা খরচ আছে ১৫ হাজার টাকা.খাওয়া দাওয়া ও ডাক্তার খরচ ৩০ হাজার টাকা .মোট ৭০ হাজার টাকা মাসে খরচ .আর ১০ হাজার টাকা মাসে জমিয়ে ২বছর পর পর বাড়ি যাই.আমি মরি বাচি প্রতি মাসে এই টাকাগুলো দিতে হবে .আমি প্রতিদিন বলি পরিবারকে বলি দেশের বাড়ি গিয়ে থাকতে কিন্তু কেউ আমার কথা শুনে না.মা বাবা বলে দেশে ডাক্তারে সমস্যা ও আরো সমস্যার কথা ও বউ বলে আমি এখানে থাকতে পারবো না .ছেলেমেয়েগুলো বলে ওখানে থাকতে গেলে পড়ালেখা হবে না.পরিবারে মায়াবি কথাগুলো না রেখে পারি না.অথর্চ সবাই যদি আমার কথা ভাবতো তাহলে প্রতিমাসে ৪০হাজার টাকা সেভ করতে পারতাম .কয়েক বছরে ভাল একটা ব্যালেন্স করে দেশে আসতে পারতাম ও সবাইকে নিয়ে ডালভাত খেয়ে বাকি দিনগুলো শেষ করতে পারতাম কিন্তু সেই কথা কেউ শুনতে চায় না.সবাই চাই বিলাসিতা .আমিও রাগ করে ভাবি আর টাকা দেবো না ততক্ষনে আবার ভাবি টাকা না দিলে ঢাকা শহরে কেমনে চলবে .কারন একজন প্রবাসীর আপনজনরাই সব সুখ .তবে যে ভাবে চলছিলো ভয় ছিলো না কারন যতদিন বাঁচবো সিঙ্গাপুর কাটিয়ে দেবো.কিন্তু কিছুদিন ধরে শুনতাছি সিঙ্গাপুর সরকার নাকি ১৮ বছর হলো পারমিট ক্যানসেল করে দেবো .আর এটাই হলো আমার ভয় .অনেকই বলতাছে মাল্টিস্কেল করলে নাকি থাকা যাবে সিঙ্গাপুর কিন্তু মাল্টিস্কেল করার মত শক্তি ও সাহস আমার নেই বা মন চাইছে না কিন্তু বাড়ি থেকে বলছে আমি যেন মাল্টিস্কেল করি ...........এখন কি করবো বুঝতে পারতেছি না.এই চিন্তায় গত কয়েক রাত ঘুমাতে পারছি না.এখন নিজের কথা ভাবি না যদি ছেলেদের ভবিষৎ গড়ে দিতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম .যখন মনে পরে ১৭বছরে কিছু করতে পারলাম না তখন বুকের ভিতরের কষ্টা সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেয়.এক সময় ভাবছিলাম ভাইবোনের ভবিষৎতের কথা .তারপর বিয়ে ও নিজের সংসারের কথা আর এখন ছেলেমেয়ের ভবিষৎতের কথা .এই ভাবতে ভাবতে জীবন যে কখন ফুরিয়ে গেছে বুঝতে পারলাম না.যদি স্টিকার সময় বিয়ে করতাম তাহলে আজ আমার পাশে তাকে পেতাম .
আমার এই গল্পটি প্রবাসী ভাইয়েরা যারা পড়বেন তাদের একটা অনুরোধ করি নিজের জন্য কিছু টাকা জমা করুন .ভাই ,বন্ধু ,বউ বাচ্চা যা বলেন টাকা ছাড়া কারো কাছে মূল্য নেই এমন কি কোন কোন ক্ষেত্রে বাবাও এর বাহিরে নয় -------
আমি জানি অনেকই গল্পটি পড়ে বলবে এটা একটা স্বার্থপরের ও পরিবার বিরোধী গল্প.কিন্তু গল্পটি সম্পুর্ণ বাস্তব.আসলে আমাদের অনেক প্রবাসী ভাইদের জীবন এমন .আমরা না পারি পরিবারকে ফেলতে আবার না পারি বিদেশ ছাড়তে .তাই রাতের আঁধারে আমাদের কাঁদতে হয়.আমি সবাইকে অনুরোধ করে বলি পরিবারকে টাকা দেবেন ঠ কিন্তু হিসাবটা ঠিক রাখবেন কারন দেশের মানুষ ভাবে বিদেশ মানেই টাকা .........আর গল্পটি পড়া শেষে আপনার মুল্যবান মতামত দিয়ে যাবেন সেই গল্পের ভাইটিকে। । গোন্ডেন বাংলা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন