বন্ধুরা আমাদের জীবন বিধান পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মানব জাতীর উপকারের জন্য তাঁর অনন্য সৃষ্টি উট সম্পর্কে গবেষণা করতে বলেছেন। শত ব্যস্ততার মাঝে আমাদেরকে সে দিকেও কছুটা মনোনিবেশ করা উচিৎ । তবে হা তাহলে চলুন দেখি আল্লাহ্ তায়ালা এব্যপারে কি বলেছেন ঃ أَفَلَا يَنظُرُونَ إِلَى الْإِبِلِ كَيْفَ خُلِقَتْ আয়াতটির অর্থ হল তারা কি উষ্ট্রের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে ?
সুরা আল গাশিয়াহ,আয়াতঃ ১৭ ।
আল গাশিয়াহ শব্দের অর্থ হল ঃ আচ্ছন্নকারী কেয়ামত ( যা নিশ্চিতভাবেই সংঘটিত হবে যার মাধ্যমে আল্লাহ্ সৃষ্টিকুলের সকল কিছুই ধ্বংস করবেন)
আমাদের সকলের সুপরিচিত ইসলামের ইতিহাসের সাথে রয়েছে যার নিবির সম্পর্ক এই উট সম্পর্কে চলুন কিছুটা জানা যাক ।
উট আল্লাহ্ তায়ালার সৃষ্টি কুলের এক অনন্য সৃষ্টি । লম্বাদেহী ও শক্তিশালী প্রানী,যার মাথা ও পাগুলোও লম্বা জাকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয় । কারণ জাহাজ যেমন পানি পথে মানুষ ও তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় ঠিক তেমনি উটও মরু পথে মানুষ ও মালামাল একজায়গা থেকে অতি সহজেই অন্য জায়গায় নিয়ে যায় । অল্প পানি ও আহারে নরম বালুময় মরু রাস্তায় অতি সহজেই বহন কাজে সহযোগিতা করে । উট তার নিজের শরীরে বেশ কয়েক দিন যাতে চলতে পারে সে রকম পরিমানের পানি সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। ইহার দুধ খুবি পুষ্টিকর খাবার। চলন্ত অবস্থায় শরীরের নিরদারিত স্থান থেকে গোস্ত কেটে রান্না করে খাওয়া যায় যা দুধের মতোই পুষ্টিকর । আল্লাহুর সন্তুষ্টি অর্জনে ইহাকে কুরবানী দেয়া হয় । উটের অনেক উপকারিতা রয়েছে । মরু অঞ্চলেই এদের বসবাস। পৃথিবীতে ইহার পদচারনা অনেক প্রাচীন যার সঠিক হিসাব একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনই ভালো জানেন। মধ্য প্রাচ্যে ইহার আদিবাস হলেও আরও বেশ কয়েকটি দেশেতিপদচারনা বিদ্যমান । বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন উত্তর আমেরিকাতে ৪০ মিলিয়ন বছর আগেই উটের বসবাস সেখানে যা আইস যুগের আগের খবর। এশিয়া, আফ্রিকা,দক্ষিণ আমেরিকা,ইউরোপ ও অষ্টেলিয়ায় এদের দেখা মিলে। সেন্ট্রাল অষ্টেলিয়ার মরুভূমিতেই প্রায় ২,৫০,০০০ উট বর্তমানে বিদ্যমান। আরব লীগের ( ২১ দেশ ) ২০০৮ সালের এক জরিপে আরবদেশ গুলতে ১৫. ৮৯ মিলিয়ন উট ছিল এবং তাদের প্রতি ২১জন লোকের জন্য ১ টি করে উট ছিল তখন সেখানে লোক সংখ্যা ছিল বছর শেষে ৩৩৪মিলিয়ন । বর্তমান বিশ্বময় ব্যাপী কত উট আল্লাহ্ সৃষ্টি করে রেখেছেন তার প্রকৃত সঙ্খ্যা তিনিই ভাল জানেন। এতো উপকার ও গুনের জাদুকর এই উট সম্পর্কে আল্লাহ্ গবেষণা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। বহুমুখী উপকারী এই প্রাণীটিকে কে সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য? উত্তরে বলা যায় নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মেহের বানী করে আশারাফুল মাখলুকাত এই মানুষের সুবিধার জন্যি সৃষ্টি করেছেন।ইহাকে তিনি আমাদের জন্য রিজিক ও রিজিকের মাধ্যম করে দিয়েছেন। কোন ব্যাক্তির পক্ষে তা সৃষ্টি করা সম্ভব নয় । কাজেই আমাদেরকে ম্যান মেইড ইজম তথা মানব রচিত সর্ব কালের সকল মতবাদ ভুলে হৃদয় ও মন- মানুষিকটা থেকে সেগুলোর চিরদিনের তরে মূল উৎপাটন করে একমাত্র শুধুমাত্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টি কর্তা ও সকল সৃষ্টির নিরঙ্কুশ মালিক যিনি সেই আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ঈমান সহকারে কোরআন-সুন্নার আলোকে বাকী জিন্দেগী তাঁর এবাদাত বন্দেগী করার জন্য বন্দু তোমাদের প্রতি রইল দাওয়াত ও জান্নাতে লাল গালিচার শুভেচ্ছা । বিজ্ঞ বন্দুরা আজে বাজে কাজে আল্লাহুর দেয়া পবিত্র সময় নষ্ট না করে আল্লাহুর সৃষ্টি সম্পর্কে বেশী বেশী চিন্তা ও গবেষণা করুন। দেখবেন আপনার জীবন থেকে অন্ধকার বিধুরিত হবে মিলে যাবে স্রস্টার সাথে আপনার জীবনে সমীকরণ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন