ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫

শোকাহত পরিবারের সাথে কেন এই জুলুম?

আলী আহম্মদ মাবরুর :ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা (শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদ) এবং তার সহকর্মীদের অপপ্রচারের শিকার আর নির্মম ভিকটিম হতে দেখেছি, এখনও হতে দেখছি প্রতিনিয়তই। এবার তার নিষ্ঠুর শিকার হচ্ছি আমাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।

আমার বাবা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রানভিক্ষা চেয়েছেন এই খবর ২২ নভেম্বর মিডিয়ার মাধ্যমে সর্বপ্রথম জানতে পারি। মিডিয়া কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে কারা কর্তৃপক্ষের বরাদ দিয়ে এই সংবাদ প্রচার করে গোটা দিন। সপ্তাহ খানিক পার হতে চললো আমার পিতার শাহাদাতের। এখনো অনেক সাংবাদিক ফোন দিয়ে প্রশ্ন করে শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদ কি এই ধরনের কোন আবেদন করেছিলেন? অথচ যার নুন্যতম কমন সেন্স আছে তিনিও নিশ্চয়ই বুঝবেন, রাষ্ট্রপতি তথাকথিত প্রানভিক্ষার আবেদন নাকচ করে রাত সাড়ে ১০ টায়। আর কারা কর্তৃপক্ষ শেষ সাক্ষাতের জন্য আমাদের ডাকে রাত ৮ টায়। বিষয়টা যদি মার্সি পিটিশনই হতো, তাহলে প্রেসিডেন্ট তার সিদ্ধান্ত দেয়ার আড়াই থেকে তিন ঘন্টা আগে কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের ডাকতো না। সেই সাহস বা ক্ষমতা অথবা সুযোগ কোনটাই কারা কর্তৃপক্ষের নেই। আসলে এই ধরনের কোন আবেদনের যে কোন অস্তিত্বই নেই, সেদিনের ঘটনার ধারাবাহিকতাই তার প্রমান। তারপরও এই মিথ্যাচার করতে তাদের বিবেক বাঁধা দেয়নি।
আমার বাবার শাহাদাতের দুদিন পর আমার এক খালুর বিরুদ্ধে দৈনিক যুগান্তরের মত পত্রিকায় মিথ্যা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেখানে সেই খালুকে (শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের ভায়রা) জামায়াতের সহ-কোষাধক্ষ হিসেবে অভিহিত করা হয়। জামায়াত সেই সংবাদের প্রতিবাদ জানায়।
আবার শুনলাম, আমাদের পরিবার নাকি বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছে- এই মর্মে কোন দৈনিকে একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে। ২১ নভেম্বর আমরা তার সাথে সাক্ষাত করেছি। শাহাদাতের আগে তার সাথে দেখা করার কোন সুযোগ বা আগ্রহ আমাদের ছিলনা। তাই সেই সময় তার সাথে আমাদের দেখা হয়নি। আর আমরা আব্বার শাহাদাতের পর থেকে ফরিদপুরেই আছি। মাঝে একদিন ঢাকায় গিয়েছিলাম। 
অল্প সময় থেকে আবার ফরিদপুর ফিরে এসেছি। এখানে নেট কানেকশন ভালো না। পত্রিকা পড়ার মত মানসিকতাও থাকেনা। সারাদিন লোকজনের ভীড়। তাই কোন পত্রিকায় কি খবর প্রকাশিত হচ্ছে তা ঠিক জানিওনা।
মানুষের মুখ থেকে শুনি। আমরা যেখানে ঢাকাতেই নেই, সেখানে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ কিভাবে করবো? অথচ তার প্রেস উইং এর জনৈক এক কর্মকর্তার সুত্র দিয়েই নাকি সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। আমি রীতিমত হতবাক।
আসলে শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের বিরুদ্ধে ২২ নভেম্বর থেকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যে নোংরা অপপ্রচার চলছে, এই সব সংবাদ তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। কিন্তু কেন এই অপপ্রচার? একজন মানুষের মৃত্যু নিয়েও কেন এত নাটক? তার শোকাহত পরিবারের সাথে কেন এই জুলুম?
তারা যদি মনে করে এই সব সংবাদ দিয়ে শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদের পরিবারকে তারা কাবু করবে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। কেননা এই সব অপপ্রচারে আমরা আরো সাহসী হই। আমাদের শহীদ বাবাকে নিয়ে আমাদের গর্ব আর সম্মানবোধ আরও বাড়ে। কেননা আমরা বুঝতে পারি, আমার বাবা আসলেই বাতিল শক্তির জন্য মুর্তমান আতংক ছিলেন। ওরা আমার বাবার সাহস, দৃঢ়চেতা মনোভাব আর সততাকে ভয় পায়। তাই জীবিত আলী আহসান মো: মুজাহিদের মত শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদকেও তারা এত ভয় পায়।
আলহামদুলিল্লাহ। এই ভয় তাদের থাকুক। আমাদের সাহস আর সততাই আমাদের শক্তি। আমাদের পিতা আমাদের গর্বের ধন। আর তোমরা শুনে রাখো, আসলেই জীবিত মুজাহিদের তুলনায় শহীদ আলী আহসান মো: মুজাহিদ সহস্ত্রগুন শক্তিশালী। বিডিটুডে এর সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন