ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫

যে রাজনীতি ছিল জনগণের কল্যানের জন্য সেই রাজনীতি এখন নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে----------------ডাঃ শফিকুর রহমান


বাংলাদেশ  বার্তা: সরকারের নির্দেশে সারা দেশে আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গণহারে গ্রেফতার এবং সরকারী দলের দুর্বৃত্তদের তান্ডবে দেশে এক ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য জামায়াত-শিবির এবং অন্যান্য বিরোধীদলকে নির্মূল করার অভিযান শুরু করেছে। 
সমাজের নিরীহ ও সম্মানীত লোকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। মাসের পর মাস তাদের আটকিয়ে রেখে অমানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মিথ্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে নির্বিচারে শারিরীক নির্যাতন করা হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজবন্দীদের এভাবে শারিরীক নির্যাতনের ঘটনা নজিরবিহীন। শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নয়, সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে পুলিশ বাণিজ্য করছে। এদের হাত থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং ধর্মপ্রাণ মহিলারাও রক্ষা পাচ্ছে না। স্বামী না পেয়ে স্ত্রীকে, পিতাকে না পেয়ে পুত্রকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। এতো দিন যে রাজনীতি ছিল জনগণের কল্যানের জন্য সেই রাজনীতি এখন নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এর ফলে দেশ সুস্থ্য ধারার রাজনীতি শূন্য হয়ে স্বৈরাচারী শাসকদের কবলে চলে যাচ্ছে। কারাগারের বাইরে যারা আছেন তারাও গ্রেফতার আতংকে বাড়ীতে অবস্থান করতে পারছে না। এর ফলে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দেশে অপরাধ প্রবণতা পূর্বের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতংক বিরাজ করছে। 
অপর দিকে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, অন্যের জমি দখল, টেন্ডাবাজী, চাঁদাবাজী, প্রতিপক্ষের বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, আধিপত্য বিস্তারের নামে নিজ দলের মধ্যে গোলাগুলি, হানাহানি, খুন-খারাবি চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এরা পুলিশের সামনে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করলেও পুলিশ দর্শকের মত দাঁড়িয়ে থাকে। বিরোধীদলের লোকদেরকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে দেয়া হলে পুলিশ আক্রমণকারী সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা না করে আক্রান্ত ব্যক্তির নামে মামলা করছে। লোক দেখানো দু’একটি মামলায় সাজা দেয়া হলেও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। সরকারের কাজ যেখানে দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের লালন, সেখানে সরকার সৃষ্টের দমন ও দুষ্টের লালন করছে। কোন ঘটনা ঘটলেই তদন্তের আগেই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল বিশেষ করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে। ¯^য়ং প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দও বিএনপি-জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের উপর দোষ চাপিয়ে যেভাবে কথা বলছেন, তাতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের সুযোগ থাকছেনা। 
ভিন্ন দল ও মতকে আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে এভাবে দমন করার ইতিহাস অতীতে কখনোই ছিলনা। এ দমননীতি অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে দেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে এবং সমাজ থেকে শান্তি বিদায় নিবে। এর পরিণতি কারো জন্যই শুভফল বয়ে আনবে না।
মানুষের নিরাপত্তা দান করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। অতএব দেশ, জাতি ও সরকারী দলের নিজেদের স্বার্থে এ ধরনের নির্যাতন বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।”

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন