১. তোমরা যে অবস্থায় থাক না কেনআযান শোনার সাথে সাথেনামাযের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করবে।
২. কোরআনকে পাঠ কর এবং এটা নিয়েগবেষণা কর। যত কম সময়ই হোক না কেনসেটাকে আজে বাজে কাজে ব্যয়করো না।
৩. সবসময় স্পষ্টবাদী হওয়ার চেষ্টা কর,কেননা এর দ্বারা প্রমাণিত হবে যে,তুমি মুসলমান। আরবি শিখার চেষ্টাকর,কেননা কেবল আরবি ভাষার মাধ্যমেইকুরআন কে ভালোভাবে বুঝা সম্ভব।
৪. কোন বিষয়েই মাত্রাতিরিক্ততর্কে জড়াবেনা। কেননা এটা কোনসময় সফলতা বয়ে আনে না।
৫. কখনোই বেশি হাসবে না, কেননাআল্লাহর সাথে সম্পর্কিত আত্মা সবসময়শান্তচিত্ত ও ভারি হয়।
৬. কখনোই মশকরা করনা। কেননা একটিমুজাহিদ জাতি গম্ভীর ছাড়া অন্য কিছুহতে পারে না।
৭. শ্রোতা যতটুকুন পছন্দ করে ততটুকুই তোমার আওয়াজকে কর। কেননা এটা স্বার্থপরতা ও অন্য কে নিপীড়ন করার শামিল।
৮. কখনোই কাউকে ছোট করো না। কল্যাণকর ছাড়া অন্য কোন ব্যাপারে কথা বলো না।
৯. তোমার প্রতিবেশী কোন ভাই তোমার সাথে পরিচিত হতে না চাইলেও তার সাথে পরিচিত হও।
১০. আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আমাদের যতটুকু সময় দেওয়া হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশী। অন্য জনের সময় বাঁচানোর জন্য সবসময় ব্রত হও। যদি তোমার উপর কোন দায়িত্ব অর্পিত হয় সেটাকে সবচেয়ে সহজ পন্থায় ও সুন্দর করে করার চেষ্টা কর।
১১. সব সময় পরিষ্কার পরিছন্নতার দিকে নজর দিবে। তোমাদের ঘরবাড়ি;পোশাক পরিচ্ছদ; শরীর ও তোমাদের কাজের জায়গাকে পরিচ্ছন্ন রাখ। কেননা এই দ্বীন পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতার উপরেই নির্মিত হয়েছে।
১২. তোমাদের ওয়াদা; তোমাদের কথা ও কাজে সবসময় মিল রাখবে। শর্ত যাই হোক না কেন সর্বদাই এর উপর অটল অবিচল থাকবে।
১৩.পড়া লেখায় মনোযোগ দাও। মুসলিমদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিন নিয়ে পরস্পর আলোচনা কর। ছোট করে হলেও নিজস্ব একটা লাইব্রেরি গড়ে তুল। নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে গভীর জ্ঞানের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা কর।
১৪. কখনো সরকারের মুখাপেক্ষী হবেনা। কেননা রিজিক এর সবচেয়ে সংকীর্ণ দরজা হল তাদের দরজা। তবে তোমাদেরকে যদি সুযোগ সুবিধা দেয় সেটাকে প্রত্যাখ্যান কর না। তোমাদের দাওয়াতকে ও তোমাদের নিজস্ব গতিকে স্তব্ধ করে না দেওয়া পর্যন্ত এর থেকে পৃথক হবে না।
১৫. তোমাদের সম্পদের একটা অংশ সংগঠনে দান কর। আর ফরজ যাকাত একসাথে করে দাও। সেটার পরিমান যত সল্পই হোক না কেন সেখান থেকে গরীব দুঃখীদের দান কর।
১৬. অপ্রত্যাশিত বিপদ আসার আগেই স্বল্প পরিমান হলেও সম্পদের একটা অংশকে সঞ্চয় করে রাখ এবং কখনো জাঁকজমকপূর্ণ আসবাবপত্র ক্রয়ে সম্পদ ব্যয় কর না।
১৭. সকল অবস্থায় তাওবা ও ইস্তিগফার পাঠ কর। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক মিনিট আত্ম-সমালোচনা কর। হারাম থেকে বেঁচে থাকার জন্য সন্দেহ জনক বিষয় থেকে বেঁচে থাক।
১৮. বিনোদন এর জায়গা থেকে এই ভেবে দূরে থাক যে এর বিরুদ্ধেই আমার সংগ্রাম। সকল প্রকার প্রসন্নতা ও আরামদায়ক বিষয় থেকে দূরে থাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন