গত ০৭ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে অন্যায়ভাবে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলমকে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও তাকে আদালতে হাজির না করায় উদ্বেগ প্রকাশ ও তার সন্ধান দাবী করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, গতকাল কোন কারণ ছাড়াই রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুল আলমসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। প্রকাশ্যে দিবালোকে গ্রেপ্তারের পর এখনো তাকে আদালতে হাজির না করায় নানা আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। তার উপর জুলুম নির্যাতন চালানোর জন্যই বেআইনিভাবে তাকে আদালতে হাজির করা হচ্ছেনা বলে আমরা মনে করছি। এই অমানবিক আচরণে তার পরিবার গভীর ভাবে উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছে। অন্যায়ভাবে নিরাপরাধ ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির না করা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের চরম লঙ্ঘন। আইনের রক্ষকদের এমন বেআইনি আচরণ কোন ভাবেই কাম্য নয়। অন্যান্য নাগরিকের মত নিরাপত্তা, আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার পাওয়া আমাদের অধিকার রয়েছে। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক বিরোধীতার কারণে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের প্রতি বিরুপ আচরণ করে যাচ্ছে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একটি নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর এমন নিষ্পেষণমূলক অগণতান্ত্রিক আচরণ আইনের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠির ইশারায় ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্যায়ভাবে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে। এর আগেও এভাবে গ্রেপ্তারের পর অনেক মেধাবী ছাত্রকে নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যা আমাদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সংগত কারণেই তার পরিবারের সাথে সাথে আমরাও তার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। অবিলম্বে আমরা গ্রেপ্তারকৃত শিবির নেতার অবস্থান নিশ্চিত ও তাকে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। অন্যথায় নিজেদের জান-মাল রক্ষায় কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা থাকবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন