দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সভায় বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে সংগঠনের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পদক এডভোকেট মুজিবুল হকের তীব্র বাকবিত-া হয়েছে। এক পর্যায়ে একে অপরের দিকে জুতা নিয়ে তেড়ে যান। তবে জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পূর্বকোণকে জানান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমাদের সংসদ সদস্যরা জামায়াত শিবির নিয়ে চলেন। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। বিশেষ করে আমাদের বাঁশখালীর সংসদ সদস্যের সাথে জামায়াতের নেতারা ঘুরাফেরা করেন। যেকারণে বাঁশখালীতে জামায়াতের আধিক্য দেখা দিয়েছে। এখানে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে। এমনকি অস্ত্রসহ জঙ্গি আটক হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের তার অপর দুইজন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দিতে উঠেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি এডভোকেট মুজিবুল হকের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন, আমি সবাইকে সাথে নিয়ে বাঁশখালীর উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি। জামায়াতের তার কোন সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘বেয়াদব’। না জেনে ভুল তথ্য দিচ্ছেন বেয়াদব। সভাশেষে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জুতা নিয়ে এডভোকেট মুজিবুল হকের দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে তিনি ক্ষান্ত হন। নেতারা উত্তেজিত দুই নেতাকে শান্ত করেন। উভয়কে কোলাকুলি করিয়ে দিয়ে বিবাদ মিটিয়ে ফেলেন। এদিকে, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দুই নেতার মাঝে এমন বাকবিত-া চলাকালে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে সাংসদ মোস্তাফিজের ব্যক্তিগত সহকারি তাজুল, ছাত্রলীগ কর্মী স¤্রাট এবং শেখ মহিউদ্দিন হট্টগোল শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, দুই নেতার মাঝে একটু ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সবার হস্তক্ষেপে তার অবসান হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বকোণকে বলেন, দুই নেতার মাঝে একটু ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সবার হস্তক্ষেপে তার অবসান হয়।
দৈনিক পূর্বকোনের সৌজন্যে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন