ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫

কেন্দ্র ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যার হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান


সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সফল মন্ত্রী শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং নির্মম হত্যার প্রতিবাদে আগামী ২৩ নভেম্বর সোমবার কেন্দ্র ঘোষিত সকাল-সন্ধ্যার হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
এক বিবৃতিতে মহানগরী আমীর বলেন, সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সফল মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন। শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ একটি নাম, একটি ইতিহাস ও স্বর্ণোজ্জল অধ্যায়ের নাম। তিনি দেশ, জাতি, ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ ও আর্ত-মানবতার সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ। তিনি ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রাদেশিক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান , ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে, ১৯৯৪-৯৬ কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা নেতৃত্বদেন তাদের মধ্যে গুরুত্বপুূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর তিনি মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে ৫ বছর সফলতা, দক্ষতা, বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা ও সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্তভাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১/১১ এর সরকার মাইক্রোসকোপ দিয়ে খুঁজেও তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারেনি। তাকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করে পরবর্তীতে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করা হয় এবং গত ২১ নভেম্বর দিবাগত রাতে তাকে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ফ্যাসীবাদী ও স্বৈরাচারি সরকার।
তিনি বলেন, সরকারি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই এই বরেণ্য ও প্রতিভাবান রাজনীতিক ও জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। শহীদ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে অনীত সকল অভিযোগই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ পর্যায়েও তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। মূলত জামায়াতসহ বিরোধী দলকে নিচিহ্নত করে অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্তায়ী করতেই আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। তার পক্ষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের নামে কল্পকাহিনী রচনা করে যে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে তা গোয়েবলসকেও হারা মানিয়েছে। একজন মু’মিন কখনো কোন মানুষের কাছে প্রাণভিক্ষার চাইতে পারে না। সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ দৃঢ়চেতা, আপোষহীন, সাহসী এবং প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার পক্ষে প্রাণভিক্ষার আবেদনের প্রশ্নই ওঠেনা। আসলে প্রাণভিক্ষার আবেদন মিথ্যা, ভিত্তিহনি, অবাস্তব ও অসম্ভব তা তিনি পরিবারের সাথে শেষ সাক্ষাতে দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেছেনা। শুধুমাত্র জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই সরকার এই মিথ্যাচার চালিয়েছে। কিন্তু তারা সফল হয় নি বরং তাদের ষড়যন্ত্র বুমেরাং হয়েছে। জনগণ তা কোনভাবেই বিশ্বাস করেনি। 
তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের লাশ ও জানাজাও আতঙ্ক ও মর্মপীড়ার কারণ হয়েছে। পুলিশ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররামে এই বরেণ্য নেতার গায়েবানা জানাজা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এমন কী জানাজা পরিচালনাকারী ঈমাম বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর ডা, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ফ্যাসীবাদী সরকার। এতে বোঝা যায় সরকার এতই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে যে, তারা মৃত ব্যক্তির জানাজাও সহ্য করতে পারছে না। তাহলে কী এদেশের মুসলমানরা জানাজার নামাজও পড়তে পারবে না ? কিন্তু ইসলাম প্রিয় জনতা সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও গ্রেফতারে থেমে যাবে না বরং দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শহীদদের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করা হবে। তিনি সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা, মুফতি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে হত্যার প্রতিবাদে আগামী ২৩ নভেম্বর সোমরার কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল কর্মসূচী ঢাকা মহানগরীতে সার্বিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ সকল পেশা ও শ্রেণীর নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান। 
বি:দ্র: হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ঔষধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন